আপনার বোনকে নিয়মিত বেশি বেশি শসা ও ধনেপাতা খেতে বলবেন। এতে তার ওজন কমে যাবে। কেননা, এ দুটি খাদ্য ওজন কমাতে সাহায্য করে। অন্য সব খাবার অল্প পরিমাণে খেতে বলবেন, যতটুকু খেলে চলে। অতিরিক্ত খাবার ওজন বাড়িয়ে ফেলে। পেটের তিন ভাগের ১ ভাগ খাবার আর ১ ভাগ পানি দিয়ে ভর্তি করতে বলবেন। বাকি ১ ভাগ খালি রাখতে বলবেন। সপ্তাহে দুদিন রোজা রাখার চেষ্টা করতে বলবেন। পারলে দুই বেলা খাবার খেতে বলবেন। না পারলে দুই বেলায় পরিমিত ও ১ বেলায় খুবই সামান্য পরিমাণ খাবার খেতে বলবেন। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। ফার্স্ট ফুড খাওয়া পরিহার করতে হবে। তেহেরি, বিরানি, খিচুরি খাওয়া স্টপ রাখতে হবে। অভ্যস্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ তথা ডায়েট কন্ট্রোল (Diet Control) করতে হবে। আশা করি, আপনার বোনের কাঙ্ক্ষিত ওজন কমে যাবে। ধন্যবাদ।
ওজন কমানোর সহজ উপায় নিচে দেওয়া হলো স্বাস্থ্যকর খবার গ্রহণ : স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত শুধু পেট ভরে এটা সেটা খেলেই হবে না। খেতে হবে উপযুক্ত খাবারটি। আপনার তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার শাক সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। একসাথে খাবার নয় : আপনি কম কম করে খান নিদির্ষ্ট কয়েক ঘণ্টা পর পর। ফল, জুস, সালাদ ইত্যাদিও খান। চিপস, তৈলাক্ত নাস্তা, জাঙ্ক ফুড, গ্যাস ড্রিঙ্কস ও না খাওয়াই ভালো। খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার স্বাস্থ্যকর উপায়ে। পানি : প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন। দেহের কোনো পরিবর্তন চাইলে দেহকে আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবারের মাঝখানে কখনই পানি খাওয়া ভালো না। এতে করে খাবার মাঝখানে পানি ক্ষুধাটাকে নিবারণ করে। ফলে ভারী খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না। পর্যাপ্ত ঘুম : যদি সম্ভব হয় দুপুরে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ঘুমান। রাতে দেরি না করে আগে ঘুমিয়ে পড়ুন। এবং দিনে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। নিয়মিত ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়াম করুন শরীরকে ফিট রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আসলে প্রয়োজন শরীরকে ফিট রাখতে। হাঁটতে পারেন বা জগিং বা ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়া সাঁতার কাটতে পারেন, ইয়োগা করতে পারেন বা যেকোনো আউটডোর খেলায় অংশগ্রহন করতে পারেন। এতে দ্রুত ফল পাবেন। লেবুর রস : এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবু চিপে নিন, এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। চিনি দেবেন না। এবার পান করুন প্রতিদিন সকালে। এটি আপনার দেহের বাড়তি মেদ ও চর্বি কমাতে সব চেয়ে ভালো উপায়। চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না : মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিংকস এবং তেলে ভাজা স্ন্যাক্স থেকে দূরে থাকুন। কেননা এ জাতীয় খাবারগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত পেট ও উরুতে খুব দ্রুত চর্বি জমিয়ে ফেলে। তাই এগুলো খাওয়ার পরিবর্তে ফল খান। মশলাযুক্ত খাবার বর্জন : রান্নায় অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করা ঠিক নয়। তবে কিছু মশলা ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতো। রান্নার ব্যবহার করুন দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। মাংস থেকে দূরে থাকুন : অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বেছে নিতে পারেন কম তেলে রান্না করা চিকেন। কাজে সক্রিয় হন : অফিসের কাজ আজকাল বসে বসে হয়, সেখানে শরীরের সচল হওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই। তাই চেষ্টা করুন একটি আগের বাসস্টপে নেমে হেঁটে বাকি রাস্তা যান, সিঁড়ি দিয়ে উঠুন। এর ফলে শরীর অনেকটা সক্রিয় হয়। মেদ জমার সুযোগই পাবে না। প্রতিদিন ফল ও সবজি খান : প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সবজি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন। আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই। সাদা চালের ভাত : সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন। সকালে খাবার গ্রহণ : আপনি সঠিক সময় সকালে খাবার গ্রহণ করতে পারেন। সকালে খবার না খেলে দুপুরে খাবার পরিমাপ বেড়ে যায় এবং এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আছে তাই আপনি সকালের খাবার নিয়মিত গ্রহণ করবেন। নির্দিষ্ট ব্যায়াম : আপনি বোন ওজন কমানোর জন্য এবং শরীর ফিট রাখার জন্যে নির্দিষ্ট ব্যায়াম করতে পারেন যেমন পুশ আপ, সিট আপ, স্পট জাম্প, রানিং, জাম্পিং করতে পারেন। উক্ত কাজগুলো করলে আশা করি ওজন দ্রুত কমে যাবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।