আমি যদি ৭টা সৃজনশীল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখতে চাই, তাহলে ক, খ, গ, ঘ এগুলো প্রত্যেকটি কত পৃষ্টা করে লিখতে হবে। কিভাবে লিখলে সবগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখতে পারবো এবং মার্কও বেশি পাবো। জানাটা খুব জরুরি। কারণ আমি প্রায়ই শেখা সত্ত্বেই ৭টা সৃজনশীল পুরোপুরি লিখতে পারি না।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সৃজনশীল হোক, আর নৈর্ব্যক্তিক হোক সময় কিন্তু কম থাকে না। এখন ৭টা প্রশ্ন লিখতে হলে যে পরিমান টাইম লাগবে ঠিক ততটুকুই দেওয়া হয়। এর এক্টুকুও কম দেওয়া হয় না। কিন্তু এরপরেও দেখা যাচ্ছে অনেকে ৫ টা বা ৬ টা প্রশ্নই লিখতে পারে না। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলে সময় নাই। দোষটা তখন বোর্ডের উপর চাপায় দেয়। আসলে কিন্তু তা নয়। পুরো প্রশ্ন এর উত্তর লিখার জন্য যে সময় বরাদ্দ আছে সেই সময়টাকে শুধু উত্তর লিখেই শেষ করতে হবে। উত্তর ছাড়া অন্য কাজে টাইম ব্যয় করা যাবে না। অন্যদিকে যত টাইম ব্যয় করবেন উত্তর লিখার সময় ঠিক সময় আপনি কম পাবেন। শেষে দেখা যাবে সব লিখা হল না।


এরজন্য কিছু আমাদের পার্সোনাল কাজ দায়ী।

প্রথমত বলি, অনেকে আছে যারা প্রথম পেজটা লিখার সময় খুবই সুন্দর করার চেষ্টা করে। একটা পেজ এমন সুন্দর করে লিখার চেষ্টা করে যে দুইটা বা তার বেশি উত্তর লিখা যাবে এই পরিমান সময় খরচ করে ফেলে। যার কারণে শেষের দিকে তখন টাইম কম থাকে। সেই কম সময়ে শেষের উত্তরগুলো দ্রুত লিখার জন্য একদিকে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অপরদিকে সঠিক উত্তর আসে না। তাই আপ্নাকেও বলব প্রথম অবস্থায় অযৌক্তিকভাবে বেশি সময় খরচ করবেন না। পরীক্ষকের মন যোগাতে গিয়ে শেষমেশ আপ্নিই বিপাকে পড়বেন এটা অযৌক্তিক।


দ্বিতীয়ত,  অনেকে আছে যারা অহেতুকভাবে ফন্ট স্টাইল করে, খাতার মার্জিন সাজায়। মনে রাখবেন এই অতিরিক্ত কাজগুলো করার জন্য কিন্তু বোর্ড কর্তৃক কোনো টাইম বরাদ্দ নাই। তাই উত্তরের সময়ে এই কাজগুলো না করাই ভাল হবে। যেখানে সময়ের অভাবে আপনি উত্তরই লিখতে পারবেন সেখানে খাতার মার্জিন, সাজসজ্জা আপনার কিছুই কাজে আসবে না। আশা করি আপনার এরকম অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন।


তৃতীয়ত,  অনেক পরীক্ষার্থী আছে যারা পুরোটাই অন্যের উপর নির্ভর করে পরীক্ষা দেয়। মানে অন্যরা যা লিখে সেও তা লিখার চেষ্টা করে। এমন করা যাবে না। কারণ অন্যের দেখে লিখতে গেলে আপনার লাভ হবে যতটুকু তার চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। আপ্নিও চেষ্টা করুন, এরকম না করার।


চতুর্থত বলব, যতাসময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। তা না হলে জার্নি এর ক্লান্তি এক্সামের উপর প্রভাব ফেলে।


ধন্যবাদ। যতটুকু পারলাম শেয়ার করলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই গতিতে লিখলে অবশ্যই শেষ করা সম্ভব। প্রথমে হাতের লেখা ভালো করার নামে আস্তে আস্তে লিখে শেষে শেষ না করার চেয়ে খারাপ হাতের লেখায় শেষ করে আসা উত্তম। আপনি লেখার শুরু থেকেই প্রতিটি সৃজনশীলে সময় মেপে মেপে লিখুন। ক ও খ মিলে ৪ মিনিট। গ এর জন্য ৫ মিনিট ও ঘ এর জন্য ৭ মিনিট। মোট কিন্তু ১৬ মিনিটে হয়ে যায়। বেশি বেশি ধরেই আমি বললাম। আপনি ১৫-১৮ মিনিটের ভেতরে শেষ করার টার্গেট করুন।  এছাড়া বাকি এই সময়গুলোতে পুরনো বছরের পরীক্ষায় আসা সৃজনশীল দেখে দেখে এই সময়ে শেষ করার অনুশীলন করুন। কিছুটা হলেও হাত খুলে যাবে।  আর লেখার জন্য নতুন কলম ব্যবহার করবেন না। আপনার জন্য সবচেয়ে কমফোর্টের কলমটি বাছাই করে আজ থেকেই সেটা দিয়ে লেখা শুরু করুন। প্রতি কলম দিয়ে কমপক্ষে তিন পাতা করে লিখে তারপরে নিয়ে যাবেন। আবার বেশি পুরনো নিবেন না যাতে কালি শেষ হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে।  সবকিছু মিলিয়ে সতর্কতার সাথে পরীক্ষা দিন। কোনো ক্ষেত্রে ঘাটতি না রেখে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করুন। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ