যদি গোসলের পূর্বে গোসলের ফরজ আদায় করেন তাহলে গোসল শেষে আবার ওযু করতে হবে না।
গোসলের ফরজ ৩ টি।
- গড় গড় কুলি করা।
- নাকের নরম মাংসে পানি প্রবেশ করানো।
- সম্পূর্ন শরীর ভালোভাবে ধৌতকরা।
যদি উপরের ৩ টা ফরজ আদায় করেন গোসলের পূর্বে তাহলে গোসলের পর আবার ওযু করা লাগবে না।
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন প্রথমে তাঁর হাত দু'টো ধুয়ে নিতেন। অতঃপর সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। অতঃপর তাঁর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া খিলাল করতেন। অতঃপর তাঁর উভয় হাতের তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢালতেন। তারপর তাঁর সারা দেহের উপর পানি ঢেলে দিতেন। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৪৮
(২৬২, ২৭২; মুসলিম ৩/৯, হাঃ ৩১৬, আহমাদ ২৫৭০৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৬)
আর একটি হাদিস দেখুন।
মাইমূনাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন।সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৬০
(২৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
উক্ত হাদিস প্রেক্ষিতে যদি আপনি ফরজ গোসলের নিয়ম গুলো ফলো করে এবং সম্পূর্ন ভাবে গোসল শেষ করেন। এবং গোসলের শেষে আবার ওযু করা লাগবে না। এছাড়াও উক্ত গোসলের ওযু দিয়েই আপনি নামায আদায় করতে পারবেন।যদি ওযু নষ্ট না হয়।
আশা করি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।