জিনেরা মৃত্যুবরণ করে এটা হাদিসে উল্লেখিত। হাদিস শরিফে এসেছে, মিশকাতুল মাসাবীহ, অধ্যায়ঃ পর্ব-১০ হাদিস নম্বরঃ ২৪৬৩-তে বর্নিত যে, হে আল্লাহ! আপনি চিরঞ্জীব, যিনি কখনো মৃত্যুবরণ করেন না। অথচ মানুষ ও জিন মৃত্যুবরণ করে।
রেফারেন্স: সহীহ বুখারী ৭৩৮৩, মুসলিম ২৭১৭, আহমাদ ২৭৪৮, সহীহ আল জামি ১৩০৯। হাদিসের মানঃ সহিহ।
কিন্তু জিনদের কেউ মারা গেলে তারাও কি মানুষের মত কবর দেয় তা কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত হয়নি।
তবে যেহেতু রাসুল (সাঃ)-কে জিন জাতির জন্যেও প্রেরণ করা হয়েছে, অতএব তারাও মানুষের মত কবর দেওয়ার ইসলামী রীতি অবশ্যই মেনে চলতে বাধ্য।
আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ২৩ নাম্বার আয়াতে ১৪ শ্রেণির নারীদের বিবাহ করা হারাম ঘোষণা করেছেন। তাদের ছাড়া বাকি সবাইকে বিয়ে করা বৈধ।
সুতরাং আপনার বড় দাদার মেয়ের মেয়ের মেয়ে উক্ত ভাগনিকে বিয়ে করা যাবে।
বিবাহ পরবর্তী সময়ে বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সাক্ষাতে উভয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে জামাআতের সহিত দুই রাকাআত নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজ নফল তবে অনেক আলেম এই দু রাকাআতকে মুস্তাহাব বলেছেন।
সুতরাং এই নামাজে ইকামত দেওয়া লাগবে না। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, স্ত্রী স্বামীর কাছে গেলে স্বামী দাঁড়িয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করবে।
নামাজের সময়টি যদি রাতের বেলা হয় তবে কেরাত একটু উচ্চ স্বরে পড়বে আর যদি দিনের বেলা হয় তবে নিম্ন স্বরে পড়বে। সুতরাং আপনি আপনার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়বেন।
রেফারেন্সঃ মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০০-৪০১, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৬/১৯২)।
আদিম মানুষের মাঝে কোনো ধর্ম ছিল কিনা তার কিছু রেফারেন্স পেশ করা হলোঃ
পৃথিবীতে আল্লাহর সৃষ্ট সর্বপ্রথম মানুষ, এবং সেই সাথে সর্বপ্রথম নবী হচ্ছে আদম (আঃ) তাহার হাত ধরেই পৃথিবীর মাটিতে ইসলামের পদচারণার সূচনা।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “প্রত্যেক শিশু ফিতরতের উপর জন্মগ্রহণ করে। তার পিতামাতা তাকে ইহুদী বানায়, খ্রিস্টান বানায় কিংবা অগ্নি উপাসক বানায়। যেমনিভাবে একটি পশু শাবক নিখুঁতভাবে জন্মগ্রহণ করে; তোমরা নবজাতক পশুতে কি কোন ত্রুটি পাও? (সহিহ বুখারীঃ ১৩৫৮ ও সহিহ মুসলিমঃ ২৬৫৮)।
আল্লাহ তাআলা ইসলাম দিয়ে আদম (আঃ)-সহ অসংখ্য নাবী রাসূল প্রেরণ করেছেন, এবং ইসলামকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
(اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِيْنًا)
“আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম।”
না, প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া নবম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া যাবে না।