প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর বলে দিয়েছেন।
আল কোরআনকে পৃথিবীর শতভাগ নির্ভুল ও অবিকৃত
ধর্মগ্রন্থ বলার কারণ হলো:
পবিত্র কোরআন শরীফে কোনো ভুল নেই, কোনো ভুল
তথ্য নেই, কোনো অযৌক্তিক বা অনাচার বা পরস্পর
বিরোধী এমন কোনো উক্তি নেই। অন্য দিকে পবিত্র কোরআন
শরীফ ব্যাতিত অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থ এই পৃথিবীর বুকে নেই
যা নির্ভুল, এজন্যই যৌক্তিক ভাবে এবং প্রকৃত পক্ষেই একমাত্র
নির্ভুল ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
কারণ কুরআন আজ থেকে ১৫০০ বছর আগে নাযিল হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করেছে তা ধারণ করছে। বিজ্ঞানের সাথে কুরআন সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর কোনো তথ্যগত ভুল কেউ ধরতে পারে নি। বৈজ্ঞানিক দুয়েকটা তত্ত্ব শুরুতে দ্বিমতে থাকলেও অন্তে এসে ঠিকই তা মিলে যায়। এ সম্পর্কেও কুরআনে আছে- এ সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২) এজন্য কুরআনকে একমাত্র শতভাগ নির্ভুল গ্রন্থ বলা হয়। আর কুরআন সেই শুরুতে যেমন ছিল বর্তমানেও তেমনই আছে। এর কিছুর পরিবর্তন হয় নি। কারণ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এর রক্ষাকর্তা। এ সম্পর্কে তিনি কুরআনেই বলেছেন- আমি স্বয়ং এ কিতাব নাযিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক (সূরা আল-হিজর, আয়াত ৯)। এ কারণে কুরআনকে একমাত্র অবিকৃত গ্রন্থ বলা হয়। কুরআনের মত নির্ভুলতা ও সদা অবিকৃততা অন্য কোনো গ্রন্থে না হওয়ায় এর বিশেষণের পূর্বে একমাত্র যোগ করা হয়েছে।
আল্লাহ পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে বলে। যা মানুষের রচিত নয়। এটা সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত। (বাকারা আয়াতঃ ২)
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এ কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে।
কোনরূপ সন্দেহ নেই অর্থাৎ এতে কোন সংশয়-সন্দেহ নেই। এখানে 'রইবা' শব্দটি সন্দেহ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন আল্লাহ
কুরআনের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করে বলেনঃ
এবং আমি আমার বান্দার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তোমরা যদি সন্দিহান হও, তবে তার সমতুল্য একটি 'সূরা' তৈরি করে নিয়ে এসো। (সূরা বাকারাঃ ২৩)
কুরআন নিয়ে যারাই গবেষণা করেছেন, তারা একবাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, এর ভাষাগত বাহ্যিক রূপ ও মর্মগত আত্মিক স্বরূপ উভয় দিক দিয়েই এটা অতুলনীয়।
মহান আল্লাহ্ বলেন, এ কিতাব প্রজ্ঞাময় সর্বজ্ঞের কাছ থেকে, এর আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট, সুবিন্যস্ত ও পরে বিশদভাবে বিবৃত। (সূরা হুদঃ ১)