আমার বয়স ১৮ বছর ৮ মাস আমার উচ্চতা ৫ ফুট ৬.৫ ইন্চি,,, ওজন ৫৪ কেজি,,,, আমার উচ্চতা বাড়ানোর জন্য কি করা উচিত ? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এটা পুরপুরি হরমোন এর উপর কাজ করে। তবে এসব করে আপনি উপকৃত হতে পাড়েন। আশ্বগন্ধা (Ashwagandha) গ্রহণ করুণ: আয়ুর্বেদ মতে, আশ্বগন্ধা (বৈজ্ঞানিক নাম: Withania somnifera) এছাড়াও ভারতীয় ginseng হিসাবে পরিচিত যা উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আশ্বগন্ধায় বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে যেযা হাড়ের কঙ্কাল এর ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ফলে শরীরের হাড় প্রসারিত হয়। এর ফলে আপনার উচ্চতাও বৃদ্ধি পাবে। যে কোনো ভেষজ দোকানে আপনি এটা খুজে পেতে পারেন। সেবন পদ্ধতি: ১। প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ করে আশ্বগন্ধার গুড়া গরম পানি অথবা গরুর দুধের সাথে মিলিয়ে পান করুণ। ২। স্বাদ অনুযায়ী চিনি বা গুড় যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশ্রিত করুণ। ৩। আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি জন্য প্রথম অন্তত ৪৫ দিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতি রাতে পান করুণ। বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওষুধ সেবনের সময় ফাস্ট ফুড সম্পূর্ণরূপে এড়াতে হবে। # দুধ পান করুণ দুধ পান আপনাকে লম্বা হওয়ার জন্য অনেক সাহায্য করবে কারণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীররের হাড় এর বৃদ্ধি ঘটায়, আরেকটা বেপার যা আমাদের দেশে নেই সেটা হল আমেরিকায় তাদের গরু মধ্যে বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় যার মাধ্যমে - হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি হয়, এবং সেই প্রকিয়াজাতকরন দুধ হয় সাধারণ দুধ এর বিকল্প। # নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ উচ্চতা বাড়ানোর অন্যতম ভাল উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম বা খেলাধূলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথমে শুরু করতে পারেন বেশ কিছু স্ত্রেচিং দ্বারা। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রা বাড়িয়ে নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন জোড়াগুলোতে ভাল প্রভাব পড়ে ফলে উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। # শ্বাসপ্রশ্বাসের চর্চা করুন: স্বাভাবিক নয়, শ্বাস নিন গভীরভাবে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, গভীরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহন ও বর্জন করলে তা শারীরিক নানা জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে অনেকাংশেই। যেহেতু সব সময় গভীরভাবে শ্বাস নেয়া সম্ভব নয় তাই দিনের যেকোনো একটি সময় নির্বাচন করে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার ব্যায়াম করুন। চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন কারণ মেডিটেশনও একই ফল দেয়। # পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান (proper sleep): আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি বা বিশ্রাম নিই তখন শরীরের টিস্যু পুনরুৎপাদন হয় এবং আকার বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় জানা গেছে হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH) আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হয় তখনই যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি। তাই উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম (proper sleep) অপরিহার্য। কৈশোর থেকেই দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। # বদভ্যাস ত্যাগ করুন: শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন বদভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন। মাত্রাতিরিক্ত চা বা কফি কোনটাই খাবেন না। এগুলো শরীরের উপরে বাজে প্রভাব ফেলে যা পরবর্তীতে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তাও ত্যাগ করতে হবে। বোতলজাত জুস ও কোমলপানীয়ও আপনার শরীরের একইভাবে ক্ষতি সাধন করে। তাই এগুলোও ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়। এসবের বদলে খেতে পারেন গ্রিন টি বা তাজা ফলের জুস। এতে পাবেন আপনার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি । ফলে বেড়ে যেতে পারে আপনার উচ্চতা। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বয়সের সাথে সাথে ২৫ বছর পর্যন্ত আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে- এতে চিন্তার কিছু নাই । তবুও আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করুন- বিশেষ করে সকাল ও সন্ধায়, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। আর আপনি নিয়মিত কলা খেতে পারেন। এতে উচ্চতা বাড়বে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১. প্রথম ব্যায়ামঃ দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়ান। এভাবে দাড়িয়ে নিজেকে দেয়ালের সমান্তরালে সোজা রাখবার চেষ্টা করুন। সেই সাথে চেষ্টা করতে হবে, আপনার শরীরের পেছন দিকটির পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত যেন দেয়াল স্পর্শ করতে পারে। এভাবে দেয়াল স্পর্শ করে সোজা হয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করুন। এভারে ৮ থেকে ১০ বার করুন ব্যায়ামটি। ২. দ্বিতীয় ব্যায়ামঃ প্রথম ব্যায়াম শেষ হবার পরে এই পর্যায়ে রিং বা বারের সাহায্যে হাতের ভরে ঝুলে পড়ুন। শরীররের ভার ছেড়ে দিন। পা দুটিকে দুলতে দিন পেন্ডুলামের মত। অনুভব করুন মধ্যাকর্ষণ শক্তি নিজের উপরে। এভাবে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত ঝুলে থেকে ছেড়ে দিন নিজেকে। আবার একই প্রক্রিয়ায় করুন এই ব্যায়াম। এক সেটে ৮ থেকে ১০ বার করতে পারেন। ৩. তৃতীয় ব্যায়ামঃ এবার আবার রিং ধরুন। তবে এবার ঝুলে থাকতে হবেনা। বরং রিং ধরে নিজেকে উপরে উঠানোর চেষ্টা করুন। এভাবে একবার উপরে উঠতে পারলে তারপর নিজের শরীরের ভার ছেড়ে দিন। ছেড়ে দিয়ে প্রায় ৩ মিনিট পর্যন্ত ঝুলে থাকুন। এভাবে এই ব্যায়ামটি ৬ সেটে শেষ করুন। মনে রাখবেন শুরুতেই ৩ মিনিট ধরে ঝুলবেন না। আপনার শরীর যে পরিমাণ নিতে পারবে সে পরিমাণ করবেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ৩ মিনিট করুন। ৪. চতুর্থ ব্যায়ামঃ এই পর্যায়ে এসে শুধুমাত্র রিং বা বার ধরে ৩ মিনিট করে ঝুলে থাকুন। এভাবে ৬ বার করুন। ৫. পঞ্চম ব্যায়ামঃ এই পর্যায়ে এসে ব্যায়ামটি একটু কঠিন মনে হবে। এবার আপনাকে রিঙে বা বারে উল্টা হয়ে পায়ের হাঁটুর ভাজের সাহায্যে ঝুলতে হবে। উল্টা হয়ে ঝুলে নিজের শরীর ছেড়ে দিন। হাত দুটিকে ঝুলতে দিন। এভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকুন। গোনা শেষ হলে নেমে পড়ুন। এই পর্যায়টি সম্পন্ন করতে কারো সাহায্য নিন। ধীরে ধীরে করার চেষ্টা করুন। একবারে না পারলে জোর খাটাবেন না নিজের প্রতি। ধীরে ধীরে শেখার চেষ্টা করুন। তারপরও আয়ত্তে আনতে না পারলে এই ব্যায়ামটির সব থেকে কাছাকাছি যতটুকু করতে পারবেন তাই করবেন। তাতে কিছুটা হলেও সাহায্য হতে পারে। ৬. ষষ্ঠ ব্যায়ামঃ আপনি যদি এই পর্যায়ে এসে পড়েন তবে আপনার জন্য সুখবর হল, সব থেকে কঠিন পর্যায় পার করে এসেছেন আপনি। এরপরে আর রিং বা বারে ঝুলতে হবেনা আপনাকে। এবার যা করতে হবে তা হল আপনি যেখানে দাড়িয়ে আছেন সেখান থেকে আপনার বাম দিকে দীর্ঘ একটি লাফ দিন প্রথমে। সেই সাথে চেষ্টা করুন ডান পায়ের ভরে অবতরন করতে। অর্থাৎ লাফ দিয়ে নামার সময় ডান পা আগে মাটি স্পর্শ করবে। লাফ দেয়ার সময় চেষ্টা করবেন যত দীর্ঘ সম্ভব তত দীর্ঘ লাফ দিতে। ৭. সপ্তম ব্যায়ামঃ এই পর্যায়ে আমরা আমাদের ব্যায়াম রুটিনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছি। এই পর্যায়ে আপনি আপনার পেটের ভরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আপনার শরীর এবং পা থাকবে সোজা এবং টানটান। হাত দুটোকে তুলে দিন আপনার পেছন দিকে এবং টানটান অবস্থায় রাখুন। এবার এই অবস্থায় থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁকা করে তুলে ধতে চেষ্টা করুন। আপনার মাথা এবং ঘাড় থাকবে সামনের দিকে সোজা অবস্থায়। এভাবে ৮ থেকে ১০ বার চেষ্টা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ