পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস তৈরী করুন। এটি সবচেয়ে সহজ এবং অনেক কার্যকরী উপায়। সঠিক এবং সুন্দর ঘুম দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধির মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত ব্যায়াম করুন ব্যায়াম বা খেলাধূলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম (ওজন উদ্ধরণ) গ্রোথ হরমোন বাড়ায়। প্রথমে শুরু করতে পারেন বেশ কিছু স্ট্রেচিং দ্বারা। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রা বাড়িয়ে নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন জোড়াগুলোতে ভাল প্রভাব পড়ে। ফলে উচ্চতা দ্রুত বাড়ে। সপ্তাহে ৩ দিন নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। তবে শুরুতেই কিছু ফ্রিহ্যান্ড ব্যায়াম বা হাল্কা দৌড়ে শরীরকে ব্যায়াম করার উপযোগী করে নিতে ভুলবেন না। তবে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত ব্যায়াম অনেক সময় উচ্চতার বৃদ্ধি রোধ করে দেয়। বদভ্যাস ত্যাগ করুন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন বদভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন। মাত্রাতিরিক্ত চা বা কফি কোনটাই খাবেন না। ধুমপান যেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি দেহের হরমোন গঠনও কমিয়ে ফেলে। যা আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। বোতলজাত জুস এবং কোমলপানীয়ও আপনার শরীরের একইভাবে ক্ষতি সাধন করে। খেতে হবে বুঝে শুনে অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার বেশী পরিমানে গ্রহন করেন। বেশি পরিমাণ শর্করা গ্রহণ মানে রক্তে বেশি পরিমান গ্লুকোজ। এর ফলে ইনসুলিন নামক হরমোনও নিঃসৃত হবে বেশি। ইনসুলিন দেহের গ্রোথ হরমোনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। সেই সাথে তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার ,লাল মাংস আপনার শারীরিক বৃদ্ধিতে বাজে প্রভাব ফেলে তাই এসব যতটা সম্ভব ত্যাগ করাই ভাল। মানসিক চাপ কমান মানসিক চাপ আপনার বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বাঁধা। যাতে আপনার হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং করটিসল উৎপাদিত হয়। ভিটামিন সি সম্পূরকসমূহ করটিসল কমাতে জোর সহায়তা করে। চর্চা করুন প্রশ্বাসে গভীরতা বাড়ানোর স্বাভাবিক নয়,প্রশ্বাস নিন গভীরভাবে। যেহেতু সব সময় গভীরভাবে প্রশ্বাস নেয়া সম্ভব নয় তাই দিনের যেকোনো একটি সময় নির্বাচন করে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম করুন। চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন কারণ মেডিটেশনও একই ফল দেয়।