যেইভাবেই হোক, একদিন সকালে ৯ টার মধ্যে উঠে যাবেন । প্রয়োজনে কাউকে পানি ঢালতে বলবেন । যেইভাবেই হোক উঠবেন । আশা করি রাত ১১-১২ টার মধ্যেই ঘুম এসে যাবে । তাও ঘুম না আসলে সকাল ৭-৮ টার মধ্যে উঠে যাবেন । উঠতে না পারলে প্রয়োজনে একদিন সারারাত না ঘুমিয়ে, সারাদিন না ঘুমিয়ে পরেরদিন সন্ধায় ৮-৯ টার মধ্যে শুয়ে যাবেন । আশা করি উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
1/ ভাই আপনি কোনো প্রকার চিন্তা করবেন না। প্রতিদিন সম্পুর্ন চিন্তামুক্ত থাকবেন। প্রতিদিন কোন ভাল কাজ করলেন নাকি ভুল কাজ করলেন তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। অতীত নিয়ে চিন্তা করবেন না। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করবেন না। 2/ ভাই আপনি প্রতিদিন সর্বোচ্চ 2ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করবেন। 3/ ভাই আপনি সপ্তাহে চারদিন গোসল করবেন। 4/ ভাই প্রতিদিন আপনি পরিশ্রম করবেন। 5/ ভাই আপনি প্রতিদিন বেশি করে পানি খাবেন। প্রতিদিন 9গ্লাস পানি পান করবেন। 6/ আপনার বিশ্রামের ঘর এবং বিছানা প্রতিদিন পরিষ্কার রাখবেন। ভাই আপনি আমার দেয়া নিয়মকানুনগুলো পালন করুন চ্যালেন্জ্ঞ আপনার ঘুম হবে।
শোবার ঘর শুধু মাত্র ঘুমানোর জন্য। শোবার ঘরে অবাঞ্ছিত কাজ কর্ম পরিহার করতে হবে ,শোবার ঘরে টেলিভিশন ইন্টারনেট সংযোগ রাখা যাবে না। কারণ কোন কারণে ঘুম আসতে সময় নিলেই ওগুলো ব্যাবহার করতে ইচ্ছে জাগবে, আর ঘুমের সময় নষ্ট হবে আরো বেশী। সাধারণত শোবার ২-৩ ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার খেয়ে নেয়া ভালো। বিশেষ করে রাতে যারা large meals গ্রহণ করে থাকে। আর যারা হালকা খাবার খান তারা ১-২ ঘণ্টা আগেই খেয়ে নেয়া ভালো। খেয়েই ঘুমুতে গেলে বদহজম হতে পারে। আর শরীরও মোটা হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগে ভাগেই খেয়ে নেয়া ভালো। উত্তেজক সব ধরনের পদ্ধতি পরিহার করতে হবে, যেমন, কফি, মদ, সিগারেট, অথবা শক্তির পানীয়। এই ধরনের জিনিস এড়ানো উচিৎ বিশেষত সন্ধ্যার পর থেকেই। বিশেষ করে ঘুমুতে যাবার অন্তত আধা ঘণ্টার আগে থেকেই টেলিভিশন/কম্পিউটার পর্দা থেকে চোখ সরাতে হবে। তবে বিছানায় যেতে যেতে বই পড়া যেতে পারে। ঘুমাতে যাবার আগে পানি খেয়ে নেয়া ভালো, আর বিছানার পাশে পানির জাগ রাখা উচিৎ। মাঝ রাতে অনেক সময় দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায় আর তখন পানির খুব প্রয়োজন হয়। আর ঘুম থেকে জেগে পানি খাওয়া ভালো, তাতে সকালের যৌগিকের সময় দেহের বর্জ্য নিঃসরণ হতে সহজ হয়। যেহেতু আমরা যে রুমে রাত কাটাই, সেখানে সারারাত বেশ কয়েক ঘন্টা শ্বাসক্রিয়া নিয়ে থাকি তাই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, যে বায়ু আমরা গ্রহণ করে থাকি তা নির্মল কি না। তাই সর্বদাই কক্ষটি খুব পরিপাটি করে রাখা উচিত। সর্বদা সুসংগত ভিত্তিতে ধুলো মুক্ত করা এবং এমনকি একটি জানালা রাতের সামান্য খোলা রেখে বায়ুচলাচলের সুযোগ করে দিতে হবে। এই স্পষ্টভাবে রাতের ঘুম আরো উপভোগ্য করতে সাহায্য করবে।