যদি কয়েক জন একসাথে এক বর্তনে খায়, আর যদি খাবার এক ধরনের হয় তাহলে নিজের সামনে থেকে খাওয়া। অন্য জনের সামনে থেকে না খাওয়া। যদি বিভিন্ন ধরনের হয় অথবা ফল হয় তাহলে প্রত্যেকদিক থেকে খাওয়ার অনুমতি রয়েছে। আর এই রকম খাওয়া সুন্নত। কিন্ত আজ আমাদের মাঝে অহংকার হওয়াতে, আধুনিকতা প্রাধান্য পাওয়ায় নিজেদের বিবেক সংকুচিত হয়ে গেছে।
মসজিদ হলো ইবাদাতের জায়গা। পারতপক্ষে মসজিদকে খাবার দাবারের স্থান না বানানো চাই। কারণ মৌলিকভাবে মসজিদে ইফতার করা জায়েয হলেও প্রাসঙ্গিক নানা কারণে মসজিদে ইফতারের আয়োজন করা অনুচিত। কারণ এতে মসজিদের পরিচ্ছন্নতার ব্যাঘাত ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে ইফতার বণ্টন নিয়ে বিবাদ বিসম্বদের সৃষ্টি হয়। অপ্রয়োজনীয় উচ্চ বাচ্চও হয় অনেক ক্ষেত্রে। ইফতারী কে দিবে এ নিয়ে গ্রামাঞ্চলে নানা কথা উঠে। কোথাও গ্রামীণ প্রথা বা সামাজিকতার কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে মসজিদে ইফতারী দেয়। পেয়াজ কাটার প্রয়োজন পড়ে। এতে মসজিদে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। মসজিদে ফটোযুক্ত কাগজ ব্যবহার হয়। এ জাতীয় নানা রকম অসঙ্গতির কারণে মসজিদে ইফতারের আয়োজন না করাই ভালো। মুসাফির, অন্য এলাকার মানুষ যাদের উপস্থিত ইফতার করার মত জায়গা নেই তাদের জন্য তো কোনো সমস্যা নেই। সারকথা উপরোক্ত আপত্তিকর অসঙ্গতিগুলো যদি দূর করা সম্ভব হয় তাহলে মসজিদে ইফতারের আয়োজন করতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ এতে ইতিবাচক অনেক দিক রয়েছে। যেটা ধর্মীয় ও সামাজিক বহু কল্যাণের বাহক।