ইফতার এক পবিত্রময় খাবার তাই ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয় একথা বহু হাদিস দ্বারা প্রমানিত ।ইসলামের শরিয়তের অনুযায়ী বেগানা নারী-পুরুষ দেখা সাক্ষাত চলা-ফেরা নাজায়েজ । ্এখন আপনিই আপনার উত্তর দিতে পারবেন । ইফতারের সময় মাহরাম নারী-পুরুষ ছাড়া একসাথে ইফতার করা নাজায়েজ । তা সে/তিনি মুসলিম হোক বা অমুসলিম হোক এক সাথে ইফতার করা যাবে না । এটাই ইসলামের বিধান ।
বিধর্মীরাতো ইফতার করেনা তারা এমনি খানা খায়৷ আর তাদের সাথে ও মেয়েদের সাথে(যদি ফেতনার আশংখা না থাকে) মুসলমানের ইফতার করা বৈধ হবে৷ কারন যেখানে তাদের হাতের তৈরীকৃত খাদ্য খাওয়া ও তা দ্বারা ইফতার করা ( যদি হালাল হয়) বৈধ ( ফতওয়ায় হিন্দিয়া খঃ ৫ পৃ ৩৪৭, দারুল উলুম খঃ ৬ পৃঃ ৪৯৪,) ৷ সুতরাং তাদের সাথে ইফতার করা অবৈধ হবেনা৷ কেননা সে তার খানা খাবে৷ মুসলমান তার খানা খাবে৷ আর মেয়ে যদি এমন হয় যার সাথে ইফতার করলে ফেতনা হবেনা৷ তাহলে বৈধ৷ কেননা মেয়েদের সাথে ইবাদত করা বৈধ৷ যেমন নামায,তওয়াফ৷ আর ইফতার করাও ইবাদত৷ নতুবা ফেতনা হলে বৈধ হবেনা৷
বিধর্মীদের তো রোযা নেই। তাই তারা আপনার সাথে ইফতার করবে না; আহার গ্রহণ করবে। বিধর্মীদের সাথে ইফতার করতে কিংবা তাদেরকে ইফতারীতে শরীক করতে কোনো সমস্যা নেই। প্রতিবেশি হিসেবে তাদেরকে ইফতারীতে নিমন্ত্রণ করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ত করবেন, যাতে সে মুসলমানদের সুন্দর ইবাদত পদ্ধতি ও সুন্দর আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে নেয়। এতে সাওয়াবও হবে এবং প্রতিবেশীর সাথে সদ্ভাবও রক্ষা হবে। তবে বিধর্মীদের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। আর মেয়ে যদি আপনার মাহরাম হয় তাহলে তো তাদের সাথে বসে ইফতার করতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বরং এটি একটি ভালো কাজ। আর যদি গাইরে মাহরাম হয় তাহলে ইসলামী শরিয়া মতে তাদের সাথে বসে ইফতার করা বিধিত হবে না। ফিকহের গ্রন্থগুলোতে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা রয়েছে।