আমার নাম সালমান।আমি একজন হিন্দু মেয়ে কে মুসলিম করে বিয়ে করেছি ৩ মাস হল আমরা সংসার করছি।আমি আমার স্ত্রী কে কোর্ট এ বিয়ে করেছি,আমাদের সাথে কোনো সাক্ষী ছিল নাহ।

আমার স্ত্রী প্রথমে ধর্মান্তরনামায় স্বাক্ষর করে। পরে আমরা বিবাহনামায় স্বাক্ষর করি, উকিল এর সামনে।

পরে উকিল একজন কাজি এর মাধ্যমে প্রথমে আমার স্ত্রী কে কালিমা পড়িয়ে মুসলিম করে। পরে কাজি আমাদের বিয়ে পড়ায়।


আমার মা আমাদের এই বিয়ে মেনে নিতে রাজি নাহ। কিন্তু আমি আমার মা এর কাছে যাওয়া আসা করি। কিন্তু আমার মা আমার স্ত্রূ কে মেনে নিতে চায় নাহ। আমার মা এক তান্ত্রিক এর কথা বিশ্বাস করে। কারণ সে তান্ত্রিক বলেছে যে আমরা যে ভাবে বিয়ে করেছি সে ভাবে বিয়ে হয় নাই। আর আমার স্ত্রীও মন থেকে মুসলিম হয় নাই। কিন্তু আমার স্ত্রী এখন নামায পড়ে, রোজা রাখে পর্দা করে.....বলে রাখা ভাল সে তান্ত্রিক জিন এর মাধ্যমে অনেক কিছু বলে দিতে পারে

আমার প্রশ্ন হল আমাদের কি সত্যি বিয়ে হয় নাই?আমার স্ত্রী যে আল্লাহর জন্য নামায পড়ে, রোজা রাখে, পর্দা করে, কালিমা পড়েছে তারপরও কি সে মুসলিম নাহ???

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অাপনার স্ত্রী যদি এক অাল্লাহর একত্ববাদ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে মুসলিম থাকে এবং বিয়ে যদি শরীয়ত সম্মত হয়ে থাকে তাহলে বিয়ে হয়ে গেছে। তান্ত্রিকের কথা সত্যা মিথ্যা যাই হোক বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবেনা। অতএব অাপনি সাবধান হোন অাপনার মাকেও সাবধান করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনাদের বিবাহের ক্ষেত্রে যদি সত্যিই দুজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী না থাকে তাহলে আপনাদের মধ্যকার বিবাহ সহীহ হয় নি। পুনরায় বিবাহ পড়াতে হবে। নতুবা সে আপনার স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবে না। দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক জিনা বলে বিবেচিত হবে। আর আপনার স্ত্রী যদি সত্যিকারার্থে মনে প্রাণে ইসলামকে বিশ্বাস করে কালেমা পড়ে মসূলিম হয়ে থাকে তাহলে সে মূসলমান হয়ে গেছে। এখন আর কারো কথায় কান দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে বিবাহটা আপনার মা বাবার সাথে পরামর্শ করে করা প্রয়োজন ছিলো। এ ক্ষেত্রে আপনার চরম অন্যায় হয়ে গেছে। তার জন্য তাদের নিকট ক্ষমা চাওয়া জরুরী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ওলী ছাড়া বিবাহ হয় না।  ইবনু আবী উমার (রহঃ) আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, যে কোন মহিলা তার ওলীর অনুমতি ব্যতিরেকে বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। যদি এরপর স্বামী-তার সাথে সঙ্গত হয় তবে স্ত্রী মহরানার হকদার হবে। যেহেতু তার স্বামী তার লজ্জাস্থানকে হালাল মনে করে ভোগ করেছে। ওলীরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে, শাসকই ওলী হবে, যার ওলী নেই।  [সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১১০২]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ