শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আরবী হারাম শব্দটির অর্থ হচ্ছে নিষিদ্ধ।

প্রকৃত পক্ষে এখন যে মসজিদের হারাম আমরা দেখছি, পূর্বে এটি এত বড় কোন মসজিদ ছিল না। তবে কাবা চত্বর পুরোটাকেই হারাম শরীফ বলা হতো। এখন মসজিদ যেটি আমরা দেখি এই পুরো এরিয়াটিই কাবা চত্বর। শুধু এই টুকুই নয়,  এর বাইরেও বৃহৎ একটি অংশ কাবা চত্বর হিসেবে গণ্য।

হারাম বলার কারণ : এই কাবা চত্বরে কোন রকম রক্তপাত, পশুহত্যা কিংবা সামান্য প্রাণ নাশও আল্লাহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। 

এই সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা আল ইমরান এর 97 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে 

‘যে ব্যক্তি সেখানে (কাবার চত্বরে) প্রবেশ করে, সে নিরাপত্তা লাভ করবে।’


কাবা চত্বরকে নিরাপদ ঘোষণা করে পবিত্র কুরআনে আরো বলা হয়েছে-


তারা কি দেখে না যে আমি মক্কাকে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল করেছি। অথচ এর চতুষ্পাশ্র্বে যারা আছে, তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়।’ ---------- সুরা আনকাবুত : আয়াত 67


অন্য জায়গায় বলা হয়েছে ‘আর স্মরণ করো সেই সময়ের কথা, যখন আমি এই গৃহকে (কাবা) মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল করেছিলাম।’ --------- সুরা বাকারা : আয়াত ১২৫


হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর (রহ:) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে ইবনে কাছীর” এ লিখেছেন-


‘এখানে যুদ্ধবিগ্রহ, প্রাণী শিকার করা, শিকারকে ভীতসন্ত্রস্ত করা নিষিদ্ধ। এমনকি এখানকার বৃক্ষ কাটা এবং ঘাস উঠিয়ে ফেলাও নিষিদ্ধ।’ ------- তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/১২৫


বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে-

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো শহর ও জনপদ দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে না; কিন্তু তার জন্য মক্কা ও মদীনাতে প্রবেশ করা হারাম করা হয়েছে, সে সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না’ -------- বুখারি : ২/৬৬৪, মুসলিম : ৮/২০৬


এসব কারণেই পবিত্র কাবা শরীফকে হারাম শরীফ বা মসজিদুল হারাম বলা হয়।


ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ