হযরত ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন আমার অর্শরোগ ছিল। তাই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায এর পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে, তাতে সমর্থ না হলে বসে। যদি তাতেও সক্ষম না হও তাহলে কাত হয়ে শুয়ে আদায় করবে। ( বুখারী শরীফ হাদীস নং - ১১১৭) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত যাদের বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয় তারা যেকোনো ভাবেই সালাত আদায় করতে পারবে। এমনকি সুস্হ্য ব্যক্তির যানবাহনে চলাচল পথে গাড়িতে বসেই নামাজ আদায়ের হুকুম আছে।
যে ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে বসে নামাজ আদায় করতে পারে না তার জন্য চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া আর কারো জন্যই চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করার অবকাশ নেই। এ ধরনের ব্যক্তিরা মূলত মাজুর তথা ওজরগ্রস্থ। তাদের জন্য উত্তম হলো, নিজ ঘরেই চেয়ার পেতে নামাজ আদায় করা। কারণ মসজিদে চেয়ারের উপস্থিতি খুব ভালো লক্ষণ নয়। অনেকটা ইহুদী খ্রীষ্টানদের উপাসনালয় সাদৃশ হয়ে যায়। তাই যথাসম্ভব মসজিদকে চেয়ারমুক্ত রাখাই ভালো। সাহাবা যুগেও চেয়ারের ব্যবস্থা ছিলো। তদ্রূপ সে যুগে অসুস্থ মাজুর লোকও ছিলো। কিন্তু তখন মসজিদে চেয়ারের ব্যবস্থা ছিলো না। চেয়ারের কারণে কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অথচ কাতার সোজা করা ওয়াজিব। উপরন্তু অধিকাংশ মানুষ কার জন্য চেয়ারে নামাজ পড়া জায়ে কার জন্য জায়েয নয় এ মাসআলাই জানে না। ফলে সামান্য অসুস্থতার কারণে চেয়ার পেতে বসে নামাজ শুরু করে দেয়। ফলে তার নামাজই হয় না। এ জাতীয় অনেক সমস্যা চেয়ার থাকার কারণে সৃষ্টি হয়। তাই মসজিদকে চেয়ার মুক্ত রাখা চাই।