১। মধু ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে অনেক উপকারী। লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। সারারাত এভাবে রেখে সকালে হালকা করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার ঠোঁটের মশ্চারাইজার ফিরে আসবে। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। অতিরিক্ত গরম চা পান থেকে বিরত থাকুন। ২। ডালিম ফুল নিয়ে তা থেকে তার তেল বের করে নিন। এই তেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে। ধনেপাতার রসও ঠোঁটের কালোভাব দূর করে। সাধারণত শুকনো ঠোঁটই কালো হয়ে থাকে। ভেজা ঠোঁট স্বাস্থ্যোজ্জল ও গোলাপি আভা দেখা যায়। তাই দিনে অন্তত পাঁচ/ছয় বার ঠোঁটে ভেজলিন লাগাতে পারেন। এতে আপনার ঠোঁটের কালোভাব দূর হয়ে উজ্জল দেখাবে। ৩। প্রাকৃতিক উপায়ে কাজ না হলে আপনি আপনার ঠোঁটকে উজ্জল করতে লেজারের সাহয্য নিতে পারেন। আলো থেরাপির ব্যবহার করে নিরাপদ এবং যন্ত্রণাহীন এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার ঠোঁট রাঙাতে পারেন। কমলালেবু খাবার সময় এর বীচিগুলোকে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ঠোঁটকে এগুলোর দ্বারা পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন টমেটো পেষ্ট করে ঠোঁটে মাখুন। আপনার ঠোঁট হবে উজ্জ্বল
কিভাবে কালো ঠোঁট দূর করা যায়?
১ মধু ও লেবুর
মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করুন এবং আপনার ফ্রিজ মধ্যে এটি ১০ মিনিট রেখে দিন। এবার আপনার ঠোঁটে এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন এবং এভাবেই এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এক টি ঘণ্টা পরে আপনার ঠোট ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার আপনি এই প্রতিকারটি ব্যাবহার করবেন। মনে রাখবেন, লেবু চামড়ার স্বাভাবিক রং কমাতে পারে। তাছাড়া মধু চামড়ার পুষ্টিহীনতার অভাব দূর করে এবং ঠোটকে আরও স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলে। মধু ঠোটকে আগের চেয়েও বেশী গোলাপী করতে সাহায্য করে।
The Ataturk Times |
২ গ্লিসারিন
শুকনো ঠোঁট কালো ঠোঁটের পিছনে অন্যতম কারন গ্লিসারিনের অভাব। গ্লিসারিন আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। তাই আপনার ঠোঁটে গ্লিসারিন প্রয়োগ করুন।
আপনার জন্য ৫টি টিপস। কাঁচা দুধ প্রতিদিন প্রতিদিন ঠোঁটে কাঁচা দুধ লাগান। ২০ মিনিট রাখুন, তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে নিন। অথবা ঠাণ্ডা গোলাপ জল দিয়েও ঠোঁট ধুতে পারেন। সেটা অনেক বেশী কাজে দেবে। মধু প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁটের যত্ন নিতে সবচেয়ে ভালো উপাদান হল মধু। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য মধু নিয়ে আপনার ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে মধু আপনার ঠোঁটকে নরম রাখবে ও উজ্জ্বল করে তুলবে। হলুদের গুঁড়ো ও ঠাণ্ডা দুধ হলুদের গুঁড়ো ও ঠাণ্ডা দুধ একসাথে মিলিয়ে আপনার ঠোঁটে ৫ মিনিট ম্যাসেজ করুন। এইভাবে প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে আপনার প্রাকৃতিক ভাবে গোলাপি হয়ে উঠবে। আলমণ্ড অয়েল ও লেবুর রস এক চামচ আলমণ্ড অয়েলর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে আপনার ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ঠোঁট নরম ও পরিষ্কার হবে। লেবুর রস ও চিনি লেবুর রসের সাথে খুব সামান্য পরিমানে চিনি মিশিয়ে আপনার ঠোঁটে ধীরে ধীরে ম্যাসেজ করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি ঠোঁটের মরা কোষ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে, ঠোঁট নরম রাখে ও গোলাপি করে তোলে। কিন্তু যেহেতু আপনি ঠোঁটে লেবুর রসের ব্যবহার করবেন তাই ঠোঁট ধুয়ে ফেলার পর শুকিয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার যুক্ত লিপবাম লাগিয়ে নিন।
আমাদের বাহ্যিক অঙ্গগুলোর মধ্যে ঠোঁট অন্যতম। একটু সুন্দর আকর্ষণীয় ঠোঁট সবার কাঙ্খিত। কিন্তু আপনার সেই সুন্দর ঠোঁট যদি সুন্দর না হয়ে বরং আপনার অসস্তির কারণ হয় তাহলে নিশ্চয় আপনি খুশী হবেন না। প্রতিদিন গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল, মধু ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগালে ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময় হালকা করে সাবধানে ঠোঁটও ব্রাশ করতে পারেন। এতে ঠোঁটের মরা কোষ ঝরে যায়। লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালোভাব দূর হবে। দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে, তবে তা এখনই ছাড়তে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। দিনে দু’বারের বেশি চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকুন। ধনেপাতার রসও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এটি ঠোঁটের কালোভাব দূর করে। একটা লেবুর অর্ধেক কেটে তার উপর দুই ফোঁটা মধু দিয়ে বৃত্তাকারে ঠোঁটে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর বরফ জলে ঠোঁট ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাওয়া পাবেন। মুলতানি মাটি, কয়েক ফোঁটা মধু ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। ঠোঁটের কোণা অনেক সময় কালো হয়ে যায়, শসা ও পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার ঠোঁটে লাগালে উপকার পাবেন। সবগুলো পরামর্শ অনুসরণ করতে না পারলেও আপনার ইচ্ছে মতো এগুলোর কয়েকটি অনুসরণ করেই পেতে পারেন আপনার কাংক্ষিত সুন্দর ও আকর্ষণীয় ঠোঁট।