আমার উপরের ঠোট অনেক কালো। উপরের টার তুলনায় নিচের নিচের ঠোট এতটা কালো না। আমি আমার ঠোট থেকে কালো রং কিভাবে সরাতে পাড়ব?? প্লিজ বলেন।
#বিঃদ্রঃ আমি ধুমপান করিনা এবং কখনো করিনি।
ঠোটের কাল দাগ দূর করে গোলাপী লাল আভা নিয়ে আসুন লেবুর রসে প্রাকৃতিক bleaching ক্ষমতা আছে । তাই লেবুর রস পান করুন এবং লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে ঠোটে লাগান। প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে। যা ঠোটকে আদ্র রাখতে সাহায্য করবে। শুষ্কতা ঠোটের কালো দাগের অন্যতম কারণ। রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য একটু মধু নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। কয়েক সপ্তাহ এভাবে প্রতিদিন শোবার পূর্বে ঠোঁটে মধু লাগান। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হতে দেখবেন। প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনি ব্যবহার করা হয় অনেক কাজেই। চিনি দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হওয়ার সাথে সাথে ঠোঁটের মরা চামড়াও দূর হয়।
*.যাদের ঠোঁটে কালো দাগ রয়েছে তারা কখনই খুব গরম খাবার খাবেন না। খাবার কিছুটা ঠান্ডা করে তারপর খান। কারণ অতিরিক্ত তাপ কালো দাগকে বাড়িয়ে দিতে পারে।*.ভিটামিন C যুক্ত খাবার খেতে হবে। কারণ ভিটামিন C দেহে মেলানিনের উৎপাদন কমায়।*.প্রতিদিন দুধ খেতে হবে। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড-এরwhitening properties আছে, অর্থাৎ এটি কালো দাগ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।*.দিনে দুই বারের বেশি চা-কফি খাওয়া উচিত নয়।*.প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, যা ঠোটকে আদ্র রাখতে সাহায্য করবে।*.লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। ধনেপাতার রসও ঠোঁটের কালোভাব দূর করে।*.আর্দ্রতার কারণে যাদের ঠোঁট কালো হয়, তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন অথবা আমন্ড তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।*.দুই-এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে নারকেল তেল ও এক চামচ মৌমাছির মোম মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। এটি দিনে একবার ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।*.সকালের দাঁত ব্রাশ করার সময় ঠোঁটও আলতো করে ব্রাশ করে নিতে পারেন।*.যাদের ঠোঁটে কালো দাগ রয়েছে তারা কখনই খুব গরম খাবার খাবেন না। খাবার কিছুটা ঠান্ডা করে তারপর খান। অতিরিক্ত তাপ ঠোঁটের কালো দাগকে বাড়িয়ে দিতে পারে।*.খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবজি ও ফল রাখুন।*.Cocoa butter এ antioxidants আছে যা ঠোটকে নরম রাখে এবং দূষন থেকে রক্ষা করে।*.বেদানা বা ডালিমের রস খুবই উপকারী।*.সবসময় ঠোঁট আর্দ্র রাখতে চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে Almond oil, নারিকেল তেল, শশার নির্যাস অথবা ভাল মানের lip bum ব্যবহার করতে পারেন।*.সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন।*.হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।*.গোলাপের পাপড়ি পিষে এর মধ্যে গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। তা প্রতিদিন ঠোঁটে লাগান। আপনার ঠোঁটের চমক এমনিতেই বেড়ে যাবে।*.আঙুরের রসও লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট ফাটবে না। ঠোঁট গোলাপি করতে হলে গোলাপের পাপড়ির রসের মধ্যে তুলসী পাতার রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন। এতে কালো দাগ দূর হবে ।*.কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে ঠোঁটে ঘষুন – কালো দাগ তো উঠবেই; সাথে ঠোঁটে গোলাপী ভাব আসবে!
কালো ঠোট বা কালচে ঠোট লাল বা গোলাপী করার উপায় খুব সহজ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা ঠোঁটের হারানো গোলাপী রঙ ফিরিয়ে আনতে পারি। এর জন্য দামী কোনও প্রসাধনীর প্রয়োজন নেই- ০১.প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনি যখন দাঁত ব্রাশ করেন,তখন টুথপেস্টের কিছুটা আপনার ঠোঁটের উপর লাগিয়ে প্রলেপ দিন। কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করা শেষ হলে হাতের ব্রাশ টি দিয়ে ঠোঁট ব্রাশ করুন। এজন্য ব্রাশ টিকে অবশ্যই নরম হতে হবে এবং অনেক হালকা ভাবে ব্রাশ করতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের এবং ঠোঁটের চারপাশের মৃত কোষ গুলো উঠে আসবে,সতেজ হবে ঠোঁট এবং এর চারপাশ। ০২. প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত ৫ মিনিট ঠোঁট ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ এর জন্য কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আমন্ড বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এই ট্রিটমেন্টে আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরে আসবে। নিয়মিত ব্যবহারে খুব সহজেই কালো দাগ কমে আসবে। ০৩. লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লাগালেও একই উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা জেল এবং নারিকেল বেটে সাদা রস ঠোঁটে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ফিরে আসবে। ০৪. পুদিনা পাতা বেটে রস আলাদা করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন,পরে বাদাম তেল এবং অলিভ অয়েল মিক্স করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে। ০৫. দুধের সর এর সাথে ডালিমের বিঁচির গুঁড়ো মিক্স করে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁটে গোলাপী আভা আসবে।এক্ষেত্রে সর না নিয়ে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ০৬. অল্প পরিমাণ চিনি এবং কোল্ড ক্রিম একসাথে মিক্স করে ঠোঁটের স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। কোল্ড ক্রিমের বদলে অলিভ অয়েল-ও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে। ০৭. প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে এসে আপনার ঠোঁট থেকে লিপস্টিক বা লিপগ্লস তুলে ফেলুন। তুলে ফেলতে সামান্য একটু তুলায় অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল লাগিয়ে হালকা করে মুছে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ঠোঁটের এই মেক-আপ তুলে ফেলতে হবে। আপনার ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য এটা বিশেষভাবে দায়ী। ০৮. আমাদের ত্বকের অন্যান্য অংশের মত ঠোঁট থেকেও কিছুটা তেল উৎপন্ন হয়,একে বলে সেবাম। এটা খুব প্রয়োজনীয়। ঠোঁটকে তাই সবসময়ই আর্দ্র রাখতে হবে। বাইরে যাওয়ার সময় লিপ বাম লাগিয়ে যেতে হবে। ঘরে থাকলে কোকো বাটার লাগিয়ে নিন। শুনে অবাক লাগতে পারে কিন্তু শুধু শীতকাল নয়,আপনার ঠোঁটকে গোলাপী রঙের করতে হলে সারা বছর-ই পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষায় এটা জরুরী। ০৯. গোলাপের মত ঠোঁট করতে চাইলে গোলাপ ব্যবহার করব না,তাই কি হয়? কিছু গোলাপের পাপড়ি নিন এবং দুধে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পাপড়ি গুলো বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু আর গ্লিসারিন দিন। এবার পেস্ট টা আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এক টুকরো তুলা দুধে ভিজিয়ে পেস্টটি তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অসাধারণ রেজাল্ট পাওয়া যায়। ১০. গাজরের রস করে একটা বাটি তে নিয়ে,তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। এতে খানিকটা স্যাফরন মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতাও ফিরে আসবে,রঙ-ও ফিরবে একই সাথে। ১১. কমলার খোসা নিয়ে ঠোঁটে লাগান অথবা কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে তাতে খানিকটা গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। ১২. শশার রস ঠোঁটকে গোলাপী করতে অনেক কার্যকরী। শুধুমাত্র ৫ মিনিট প্রতিদিন শশার রস ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন এবং ফলাফল নিজেই দেখে নিন। ১৩. টমেটো পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে ক্রিম মিক্স করে লাগান অথবা টমেটো পেস্ট এর সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে লাগান। কিছু সতর্কতাঃ - চা,কফি সহ অন্যান্য পানীয় আপনার ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য দায়ী। এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলুন। - ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। কেননা,ধূমপান করলে ঠোঁট কালো হবেই। - পানিশূন্যতা আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন পানি পান করুন,কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস। - ঠোঁট কখনই বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না। - সরাসরি সূর্যের আলো ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট করে। যতদূর সম্ভব এটা এড়িয়ে চলুন। বাইরে যেতে হলে উচুমানের সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। - আপনার খাবারে রাখুন প্রচুর শাক সবজি। নিয়মগুলো মেনে চলুন তাহলেই দেখবেন আপনার ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতই নরম,কোমল,গোলাপী এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তাহলে এবার হেসে উঠুন প্রাণখুলে।