শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Mahadi

Call

বাতাসের নিন্মাঞ্চলে থাকা এ ধরনের মেঘকে বাজ মেঘ কিংবা ‘থান্ডার ক্লাউড’ বলে। তবে এই মেঘ যতই ওপরে উঠতে থাকে ততই এতে পানির পরিমাণ বাড়তে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পানির পরিমাণ যখন প্রায় পাঁচ মিলিমিটার হয় তখন এটা বন্ধনমুক্ত হয়ে ধনাত্মক  আয়ন ও ঋণাত্মক আয়নে বিভক্ত হয়ে যায়। এদিকে পৃথিবী ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট হওয়ায় মেঘের ঋণাত্মক আয়নসমূহ নিচের দিকে অবস্থান নেয় এবং ভূমির দিকে আকৃষ্ট হতে থাকে। অধিকাংশ সময়ে ঋণাত্মক আয়নের মান বেশি হয়। এ কারণে ঋণাত্মক আয়নগুলো পৃথিবীর ধনাত্মক আয়নের আকর্ষণে যখন নিচে চলে আসে তখনই বজ্রপাত হয়। এ সময় ওপর হতে নিচের দিকে বৈদ্যুতিক আধানের নির্গমনের ফলে আমরা আলোর ঝলকানি দেখতে পাই। এ সময় বিকট শব্দ শোনা যায়, ফলে বজ্রপাত আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এই বিকট শব্দটি মূলত হয় বাতাসের কারণে। ঋণাত্মক আয়ন পৃথিবীতে নির্গমনের সময় ওই স্থানে বাতাসের একটি বিরাট এলাকা শূন্য হয়ে আয়নগুলোর নির্গমন ঘটে এবং নির্গমনের পরে সেই বাতাস আবার আগের স্থানে ফিরে আসে। অল্প সময়েই বাতাসের এই প্রসারণ এবং সঙ্কোচনের কারণে আমরা বিকট শব্দ শুনতে পাই। এই আয়ন নির্গমনের সময় যদিও বিদ্যুৎ ও শব্দ একসঙ্গেই উৎপন্ন হয় তবু বিদ্যুৎ আগে দেখা যায় এবং শব্দ পরে শোনা যায়। এর কারণ হল আলো ও শব্দের বেগ।  আলোর বেগ সেকেন্ডে তিন লাখ কিলোমিটার আর শব্দের বেগ সেকেন্ডে মাত্র ৩৪০ মিটার। এ কারণে বিদ্যুতের ঝলক আগে দেখা যায় এবং শব্দ পরে শোনা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ