শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
TarikAziz

Call

প্রথমটির ব্যাখ্যা--

 ঘুম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ, সেটা রাতে নিজ বাসাতেই হোক কি অফিসে বসের চোখকে ফাঁকি দিয়েই হোক। অনেক সময়, সারাদিন প্রচন্ড কায়িক পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে রাতে ঘুমুবার সময় দেখা যায়, ঘুম আর আসছে না। তখন বিছানায় এপাশ-ওপাশ করা ছাড়া উপায় থাকে না। তবে বুদ্ধিমানেরা এরকম পরিবেশে ঘুম আসার জন্য 'ভেড়া' গোনা শুরু করেন কিংবা কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন। আর তাতে ফল পাওয়া যায় হাতে-নাতে, ঘুমে চোখ জুড়ে আসে। আবার কেউ কেউ বই হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে ঘুমের কোলে ঢলে পড়ে কখন যে নাক ডাকাতে থাকেন বলতেও পারেন না। 


কিন্‌তু, এরকম কেন হয়! বই পড়া কিংবা চিন্তার সাথে ঘুমের সম্পর্কটা কিংবা ভেড়া গোনার সাথে ঘুমের আত্মীয়টা কোথায় তা আমরা অনেকেরই জানি না। মোদ্দাকথায়, মানব শরীরের কোন বিশেষ অংশের ক্রিয়াকলাপের কারণে 'ঘুম'-এর উৎপত্তি হয় আর ঘুম পাবার পিছনে রহস্যটা সম্পর্কে অনেকের কৌতুহল ও প্রশ্ন থাকলেও এর উত্তর জানা নেই। এমনকি পৃথিবীর তাবৎ বড় বড় বিগ্গ্যানীরা অনেক দিন পর্যন্ত এব্যপারে অন্ধকারে ছিলেন। অবশেষে বিস্তর গবেষনার পর মাত্র কয়েক বছর পূর্বে তারা এই রহস্যের সমাধান করতে সমর্থ হয়েছেন। 


তাদের গবেষনায় দেখা গেছে, মানব মস্তিষ্কে অবস্হিত 'নিসল্‌স গ্যানিউল্‌স' নামের এক প্রকারের রাসায়নিক পদার্থ মূলতঃ ঘুম আসার পিছনে দায়ী। এই রাসায়নিক পদার্থটি মস্তিষ্কের 'স্টেম সেল'-এর 'এ্যাওয়ে কেনিং সেন্টার' নামক স্হানে থাকে। 


শারীরিক পরিশ্রম করলে দেহে ল্যাকটিক এসিড জমে। এরফলে শরীরের পেশীগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে পেশী তার শক্তি হারায়। আবার, বিশ্রামের ফলে পেশীতে জমা এসিড কমে যায়, পেশী আবার কার্যক্ষম হওয়ার জন্য তৈরী হতে থাকে। 


অন্যদিকে, লেখাপড়া ; চিন্তা-ভাবনার মত মানসিক পরিশ্রমের ফলে 'নিসল্‌স গ্যানিউল্‌স' খরচ হয়। এমনি ভাবে খরচ হতে হতে যখন নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌছে, তখন আপনা-আপনিই স্টেম সেলের কেনিং সেন্টার বা 'জাগরনের কেন্দ্র'-টি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। আর এটা কাজ না করায় আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। আবার, পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে মস্তিষ্কে 'নিসল্‌স গ্যানিউল্‌স' ফিরে আসে। এমনি করে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌছলে 'এ্যাওয়ে কেনিং সেন্টার' ইমপাল্‌স পায়, মানে ক্র্রিয়াশীল হয়ে উঠে। ফলে, আমরা জেগে উঠি। 


আর এভাবেই ঘুম ও জাগরনের ক্রিয়া চলতে থাকে। তাই, বিছানায় শুয়ে ঘুম না এলে অস্হির হয়ে উঠবেন না। ধৈর্য ধরে 'ভেড়া গোনা'-র মত কোন মানসিক পরিশ্রমের কাজ করুন, দেখবেন কখন যে নাক ডাকাতে লেগেছেন টেরই পাবেন না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

অনেক কারনে ঘুম হয়না, বেশির ভাগ

মানসিক চাপের কারনে, শতকরা 90 শতাংশ

১)মানসিক রোগঃ

যারা রাতে ঠিকমত ঘুমায় না বা রাত জেগে থাকে তাদের মধ্যে বিষন্নতা (Depression), অস্থিরতা (Anxiety),বিরক্তি (Irritability),হ্যালুসিনেশন (Hallucination) সহ নানাবিধ মানসিক রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা যায়।আর যারা ইতোমধ্যে এসব রোগে ভূগছেন তাদের রোগ বেড়ে যায়।একারণে মানসিক রোগের চিকিৎসায় ঘুমের ঔষধের প্রয়োগ বেশ দেখা যায়।

২)স্মৃতি বা মেমোরী কমে যায়ঃ

আমরা সারাদিন যা শিখি বা জানি তা ব্রেনে স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে ঘুম অপরিহার্য্য।ঘুমের মধ্যে স্মৃতির Consolidation প্রক্রিয়ায় স্থায়ীরূপ লাভ করা সহজ হয়।রাতে ঠিকমত না ঘুমালে বা অপর্যাপ্ত ঘুমালে অর্জিত তথ্য স্মৃতিতে স্থায়ীরূপ লাভ নাও করতে পারে।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে রাত জাগা ও অপর্যাপ্ত ঘুমানো ছাত্রদের একাডেমিক পারফর্মেন্স যারা স্বাভাবিক ঘুমায় তাদের তুলনায় কম।এ কারণেই পরীক্ষার আগের রাতে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে পড়াশোনা করতে নিষেধ করা হয়।

৩)সতর্ক থাকার সক্ষমতা হ্রাস পায়ঃ

কেউ যদি রাতে মাত্র দেড় ঘন্টা কম ঘুমায় তাহলে পরের দিন তার সতর্ক (Alertness) থাকার সক্ষমতা ৩২% কমে যায়।অসতর্কতার কারণে অনেক দূর্ঘটনাও ঘটে থাকে।এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মেডিক্যাল রেসিডেন্ট (medical residents ) রাতে ৪ ঘন্টার কম ঘুমায় তারা যারা ৭ ঘন্টার বেশী ঘুমায় তাদের তুলনায় ২গুণ বেশী ভুল করে।তারচেয়েও ভয়ংকর বিষয় হলো এক জরিপে দেখা গেছে ১১.৫% এরও কম মেডিক্যাল রেসিডেন্ট প্রতিদিন রাতে ৭ ঘন্টা ঘুমান।

৪)সড়ক দূর্ঘটনাঃ

রাতে ঠিকমত ঘুম না হওয়ার পরিণতিতে ড্রাইভিং এর সময় তদ্রা,মনোযোগের অভাব,বিরক্তি, স্মতি বিভ্রাটজনিত সমস্যা,

এর জন্য একজন সাইকোলোজিকেল

ডাক্তারের পরামর্শ নিলে সমাধান হয়ে যায়

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ