কেও কেও বলে ১৫ রাকাত আবার কেও বলে ১৭ এখন সহিহ হাদিস কোনটা?
দলিলিক প্রমাণিতঃ এশার নামাজ মাত্র ৬ রাকাত।
৪ রাকাত ফরজ নামাজ। এর পর দুই রাকাত সুন্নাত, যা নবী (সঃ) কখনো ছাড়েননি।
তবে মসজিদে আদায় করলে ৮ রাকাত হবে আপনার ইচ্ছানুযায়ী। কারন মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকাত তাহিয়াতুল মসজিদ যদি পড়েন।
এবার অপ্রমাণিতঃ অপ্রমাণিত কিন্তু কিছু হুজুরগণ মোট ১০ (১২) রাকাত আদায় করেন।
প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করেন যার কোন দলিল পাওয়া যায়না এবং এটি না পড়লে কোনরুপ গুনাহ হয়না। এরপর ৪ রাকাত ফরজ নামাজ। এটি আবশ্যিক নামাজ। এরপর ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ যা নবী (সঃ) কখনো ছাড়েননি। এরপর ২ রাকাত নফল নামাজ।( এই নফল আসলে এশার নামাজের পর পড়তেই হবে এমন কোন দলিল নাই। কারন নিষিদ্ধ সময় ব্যতিত নফল নামাজ দিনের যেকোন সময় আদায় করা যায়। কিন্তু এশার পর মানুষের হাতে যথেষ্ঠ সময় থাকে বলে পড়ে নেন, এভাবে এমন প্রচলিত হয়ে গেছে যে এশার নামাজের অংশ বলেই মনে হয়। বাস্তবে তা নয়)
এবার বেতরের নামাজ সম্পর্কেঃ অধিকাংশ মানুষ এশার নামাজের পর বেতরের নামাজ পড়েন এবং তা এশার নামাজের রাকাতের সাথে হিসাব করেন। বাস্তবে বেতরের নামাজ এশার নামাজের রাকাতের সাথে হিসাব করা যাবেনা। বেতরের নামাজ এশার নামাজের অংশ নয়, এটি ভিন্ন একটি নামাজ। এটি শেষ রাতের তাহাজ্জুদ নামাজের পর পড়া উত্তম। তবে যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাহারা এশার নামাজের পর পড়ে নেন। এটিকে প্রচলিত হিসাবে অনেকেই এশার নামাজের অংশ মনে করেন যা ঠিক নয়। বেতরের নামাজ হাদিস অনুযায়ী ১,৩,৫,৭ রাকাত পড়া যায়।
উপরের তথ্যগুলো সত্যতা নিরুপনে এই লিংক দুটি সাহায্য করবে।
এবং
সহীহ হাদিস অনুযায়ী এশার নামাজ প্রধানত মোট ৬ রাকায়াত।
৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় জোহর, আসর ও ইশা ২ রাকায়াত পড়ার বিধান ছিল। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর তরফ থেকে ২ রাকায়াত বিশিষ্ট যোহর, আসর ও এশাকে ৪ রাকায়াতে উন্নীত করার আদেশ দেয়া হয়।
অর্থাৎ ইশার ৪ রাকায়াত ফরজ। এবং তারপর ২ রাকায়াত সুন্নাত এই ২ রাকায়াত সুন্নাত হল সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পূর্বে ও পরে ১২ রাকায়াত সুন্নাত নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন, বিশেষ কোন কারণ ছাড়া তা ত্যাগ করতেন না। এই জন্য এই ১২ রাকায়াত সুন্নাতকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বলা হয়। সুন্নতে মুয়াক্কাদার মর্যাদা প্রায়ওয়াজিবের মতো। যা ছাড়লে গুনাহ হয়।
আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত 'সুন্নাত' নামাজ সম্পর্কে আমি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পর ২ রাকায়াত 'সুন্নাত' সালাত আদায় করতেন। (সংক্ষিপ্ত)
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিয়মিত বারো রাকআত সুন্নাত নামাজ পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে।
তা হচ্ছে, যোহরের 'ফরজের' আগে ৪ রাকায়াত ও 'ফরজের' পরে ২ রাকায়াত, মাগরিবের 'ফরজের' পরে ২ রাকায়াত, এশার 'ফরজের' পরে ২ রাকায়াত এবং ফজরের (ফরযের) পূর্বে ২ রাকায়াত।
রেফারেন্সঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), হাদিস নম্বরঃ ৪৩৬ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১১৪০ হাদিসের মানঃ সহিহ।
এশার ৪ রাকায়াত ফরজ নামাজের আগে ৪ রাকায়াত গায়েরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আছে। গায়েরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ ঐচ্ছিক তবে একেবারে বাদ দেয়া যাবে না। এশার আগে এই ৪ রাকায়াত সুন্নাত নামাজ সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি।
অনেকে বেতেরের ৩ রাকায়াত ওয়াজিব নামাজ কে এশার নামাজেরর সাথে এক করে ফেলেন। বেতেরের নামাজ কোনভাবেই এশার নামাজের অংশ নয় এটার সাথে এশার নামাজের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এশার নামায মোট ১5 রাকাত কিন্তু বেশির ভাগেই ৯ রাকাত পড়ে। আপনি ৯ রাকাত নামায পড়তে পারবেন যেমন
বেতরের নামায তবে এটার সাথে এশার নামাযের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা ঘুম থেকে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাযের পর পড়া উত্তম। তবে যারা ঠিকমত ঘুম থেকে জাগতে পারেন না, তাদের জন্য উচিত হবে এশার নামাযের পরপরই পড়ে নেওয়া। হাদিস মতে, বিতরের নামাজ ১ রাকাত, ৩ রাকাত, ৫ রাকাত, ৭ রাকাত পড়া যায়।
তবে ৫ ওয়াক্ত নামাযের মোট ২০ রাকাতকেই ফরজ নামায বলা হয়েছে যা ৩ রাকাত বেতর সহ। বেতর নামাযকে ফরজ নামাযের সমতল্য করা হয়েছে তাই আপনি সর্বোনিম্ন ৯ রাকাত এশার নামায পড়বেন।
তবে নফল নামায নিজের ইচ্ছা উপর নির্ভর। নফল নামায পড়লে সওয়াব পাবেন না পড়লে নাই। তাই বেশির ভাগ মানুষ ৯ রাকাত নামায পড়ে।
ধন্যবাদ।
এশারের নামাজ সাধারনত আমরা ১৫ রাকাত বলে জানি। আসুন একটু ব্যাখ্যা করিঃ
৪ রাকাত সুন্নতঃ
যার প্রথম চার রাকাত সুন্নত (সুন্নতে যায়েদা), যা পড়লে সওয়াব পাওয়া যায় তবে না পড়লে গুনাহ হয় না।
৪ রাকাত ফরযঃ
তারপর, ফরয ৪ (চার) রাকাত যা অবশ্যই পড়তে হবে।
২ রাকাত সুন্নতঃ
৪ রাকাত ফরযের পর ২ রাকাত সুন্নত পড়তে হবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দুই রাকাত সুন্নত (সুন্নতে মুয়াক্কাদা) কখনো মিস করতেন না।
২ রাকাত নফলঃ
২ রাকাত নফল নামাজের প্রচলন আছে আমাদের সমাজে। আসলে নফল নামাজ যেকোন সময় (নিষিদ্ধ সময় ছাড়া) পড়া যায়।
৩ রাকাত বিতিরঃ
তারপর ৩ রাকাত বিতির এর নামাজ পড়া হয়। এটি আসলে এশার নামাজের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এই বিতির নামাজ শেষ রাতে পড়া উত্তম। তবে অনেকে এশা ওয়াক্তে পড়ে ফেলে কারন শেষ রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠতে পারে না বলে। উল্লেখ্য, বিতির নামাজ ৩/৫/৭ রাকাতে পড়া যায়।
৪ রাকাত সুন্নতঃ
যার প্রথম চার রাকাত সুন্নত (সুন্নতে যায়েদা), যা পড়লে সওয়াব পাওয়া যায় তবে না পড়লে গুনাহ হয় না।
৪ রাকাত ফরযঃ
তারপর, ফরয ৪ (চার) রাকাত যা অবশ্যই পড়তে হবে।
২ রাকাত সুন্নতঃ
৪ রাকাত ফরযের পর ২ রাকাত সুন্নত পড়তে হবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দুই রাকাত সুন্নত (সুন্নতে মুয়াক্কাদা) কখনো মিস করতেন না।
২ রাকাত নফলঃ
২ রাকাত নফল নামাজের প্রচলন আছে আমাদের সমাজে। আসলে নফল নামাজ যেকোন সময় (নিষিদ্ধ সময় ছাড়া) পড়া যায়।
৩ রাকাত বিতিরঃ
তারপর ৩ রাকাত বিতির এর নামাজ পড়া হয়। এটি আসলে এশার নামাজের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এই বিতির নামাজ শেষ রাতে পড়া উত্তম। তবে অনেকে এশা ওয়াক্তে পড়ে ফেলে কারন শেষ রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠতে পারে না বলে। উল্লেখ্য, বিতির নামাজ ৩/৫/৭ রাকাতে পড়া যায়।
সর্বমোট ১৫ রাকাত,
সালাতুল ইশাইশার নামাজে চার রাকাআত ফরজ। তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। অতপর তিন রাকাআত বিতর। বিতর পড়া ওয়াজিব। অনেকে ফরজের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত এবং বিতরের পর দুই রাকাআত নফলও নামাজ পড়ে থাকে। অতএব বলা যায় এশার নামায ১৫ রাকাত..
তবে ফরযের আগের ৪ রাকাত সুন্নত আর বিতরের পরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই.. পরলে নেকী আছে না পরলে গোনাহ নেই.. আর বাকি ৯ রাকাত নামাজ পড়তে হবে না পরলে গোনাহ গার হাওয়া লাগবে...