নামাজের মতো মহান আমলকে নষ্ট করার জন্য শয়তান অনেক রাস্তা অবলম্বন করে থাকে। সুতরাং নামাজ নষ্ট করার জন্য শয়তান বিভিন্নভাবে ধোঁকা দিয়ে থাকে। নামাজে এ ধরনের ওয়াসওয়াসা আসাটা ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত। যা হোক, নামাজে শয়তানের প্ররোচনায় বিবিধ ওয়াসওয়াসার সৃষ্টি হয়। যার ফলে নামাজে মন বসে না। মন অন্যদিকে ধাবিত হয়।
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমি নবী (সাঃ) কে নামাজের মধ্যে মানুষের এদিক সেদিক নজর করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, এটা 'নামাজে শয়তানের' হস্তক্ষেপ। যা সেই শয়তান তোমাদের নামাজে করে থাকে। (সহীহ আল বুখারীঃ ৩০৪৯)।
আর মনের কল্পনা বা খটকা আল্লাহ তা'আলা মাফ করে দেন; যদি সে তাতে স্থির না হয়ঃ
সাঈদ ইবনু মানসুর, কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু জুবায়দ আল-গুবারি (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত আল্লাহ জন্য আমার উম্মতের মনের কল্পনাগুলো মাফ করে দিয়েছেন।
(সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নম্বরঃ ২৩১ হাদিসের মানঃ সহিহ)।
যখন তার উপস্থিতি অনুভব করবেন তখন 'আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজিম পড়ে' তার কবল থেকে আল্লাহর নামে আশ্রয় নিবেন।
▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬