শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Mahadi

Call

ইসলামে পুরুষের জন্য আলাদা বিধান দেয়া হয়েছে। আবার নারীদের জন্য আলাদা পোশাকের বিধান দেয়া হয়েছে। একে অন্যের পোশাক পরিধান করতে পারবে না। এ বিষয়ে হাদীসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। যেমন, হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জাহান্নামবাসী দুটি দল রয়েছে। যাদেরকে আমি এখনো দেখিনি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে।’

আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে। তারা অন্যদের তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে। তাদের মস্তক উটের পিঠের কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।’ মুসলিম : হাদীস নং ২১২৮

অন্য এক হাদীসে এসেছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ্ তা’আলা সেই সব মহিলাদের উপর অভিশাপ করেছেন যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং সে সকল পুরুষদের উপর অভিশাপ যারা মহিলাদের বেশ ধারণ করে। (বুখারী, হা/৪৪২৯)

আরেক হাদীসে এসেছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই সব পুরুষের উপর লানত করেছেন, যারা নারীদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে (তাদের মতো আকৃতি, তাদের পোশাক ও তাদের চাল-চলন গ্রহণ করে); আর সেই সব নারীর উপরও লানত করেছেন, যারা পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণ করে। সহীহ বুখারী

অন্য এক হাদীসে এসেছে, হযরত ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না- ১. পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, ২. বাড়ীতে বেহায়াপনার সুযোগ প্রদানকারী ও ৩. পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী।’ -(নাসাঈ শরিফ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ