আপনি যদি ভুলবশত বা অনিচ্ছাকৃৃতভাবে কবিরা গুনাহ হয়ে যায় তাহলে। সাথে সাথে আল্লাহ কাছে তওবা করবেন। আল্লাহ তওবা কারীকে পছন্দ করেন।
যে ব্যক্তি গুনাতে লিপ্ত হয় তাকে লক্ষ্য করে আল্লাহ্ তাআলা বলেন: "তুমি যা ইচ্ছা তা কর আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম" এ কথার অর্থ হচ্ছে- যেহেতু তুমি গুনাহ করে তওবা করেছ অতএব আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম।
সুতরাং প্রত্যেক গুনাহর শেষে আল্লাহ্র কাছে তওবা করতে থাকুন। তওবার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত হোন, অনুতপ্ত হোন, কৃত গুনাহ্র জন্য মর্মজ্বালা অনুভব করুন। আর কখনও গুনাহ না করার সংকল্প করুন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা তাঁর কাছে তওবা করে, এবং তিনি তাদেরকে ভালবাসেন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করে।
— কুরআন, সূরা ২ (আল-বাকারা), আয়াত ২২২[৯]
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশত মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে, এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন; আল্লাহ মহাজ্ঞানী রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমনকি যখন মাথার উপর মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে - আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফুরি(অবাধ্য) অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
— কুরআন, সূরা ৪ (আন-নিসা), আয়াত ১৭-১৮
উক্ত আয়াতের প্রেক্ষিতে বলা যায় যে ভুল বসত কোন গোনহা করলে যদি তা বুঝার পর পরেই তওবা করে ফিরে আসে তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।
ধন্যবাদ।
ভুলবশত বা অনিচ্ছাকৃৃতভাবে কেউ কোন গুনাহ করলে কৃত অপরাধ ক্ষমার্হ; যেমন হাদীসেও তাই বলা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তোমরা ভুলে যা কর, তাতে কোনো অপরাধ নেই। অবশ্য ইচ্ছাপূর্বক তোমাদের হৃদয় যা করছে তার ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। (সূরা আহজাব : ৫)।
যদি কোনো বান্দা ভুলবশত অতি ঘোরতর গুনাহের কাজ করে; এবং সেই ব্যক্তি যদি কায়মনোবাক্যে সিজদায় রত হয়ে তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ভিক্ষা চায়, তাহলে আল্লাহ সেসব ইমানদার লোকদের ক্ষমা করে দেন।
আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তওবা করে, ইমান আনে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচলিত থাকে।’ (সূরা তাহা, আয়াত: ৮২)।