আমার ওজন ৮৬ কেজি,উচ্চতা ৫'৮"।আমি ওজন কমানোর জন্য হাইড্রোক্সিকাট ৩০ ওষুধ টা খেতে চাচ্ছি।এটার দাম কেমন হতে পারে এবং কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যেভাবে দুই সপ্তাহে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে পারেন । অভিজ্ঞতাঃ ১) মেয়েদের চাইতে ছেলেদের ওজন কমানো কঠিন। মেয়েদের একটু কিছু দিন ডাইট কিংবা ব্যায়াম করলেই ওজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ২) ওজন কমাবার উপর বয়সের একটা প্রভাব আছে। আমি ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় এক মাসে শুধু মাত্র ডায়েট করেই দশ-বারো কেজি কমে ছিলাম। কোন এক্সারসাইজ প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শুধু ডায়েট এ কাজ হচ্ছে না। যেভাবে কমালামঃ খাওয়াঃ ১) ব্রোকোলি নামের ফুলকপির মতো কিন্তু সবুজ রঙের একটা সবজি আছে। বাংলাদেশে এভেইল্যাবল কিনা জানি না, তবে মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারে পাওয়া যায় শুনেছি। এই ব্রোকোলি চুলায় ৪০ মিনিটের মত সিদ্ধ করে খেতাম। খুব স্বাদ। সিদ্ধ করার সময় দারুন একটা গন্ধ বের হয়। মাঝে মাঝে ব্রোকোলির সাথে ফুলকপির টুকরাও থাকত। যেহেতু একা থাকি, কেউ ঘুম থেকে ডাক দেয় না, ক্লাস মাত্র সপ্তাহে দু,দিন। তাই একটু দেরী করে ঘুম থেকে উঠা হয়। সুতরাং ঘুম থেকে উঠা হয় সকাল নয়টা কি দশটায়। তারপর গোসল, মেইল চেকিং, ব্রাউজিং ইত্যাদি করতে করতে খুব একটা ক্ষিদা লাগে না। সকাল বারোটার দিকে একটা আপেল আর একেবারে যে পরিমান ব্রোকোলি না খেলে বেঁচে থাকা যায় না/ মাথা ঘুরে পরে যাব ক্ষিদায় সে পরিমান ব্রোকোলি খাই।ক্ষিদা বেশী থাকলে আপেল দু’টা কি তিনটা খাই। এভাবে প্রতিদিন দু’বার কি তিনবার করে ব্রোকোলি, আপেল, জুস্ এসব খেতাম। (দয়া করে আম্মু কিংবা বান্ধবীর পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধ করবার পর তা আরো স্বাদযুক্ত করার জন্য তেলে ভাজবেন না। তাহলে তীরে এসে তরী ডুবে যাবে।) ২)পিপাসা পেলে জুস্ খেতাম। এক কদিনে প্রচুর জুস্ খেয়েছি। অরিজিনাল জুস্ এ ফ্যাট খুবই কম। নেই বললেই চলে। বরং আপনি অনেক এনার্জি পাচ্ছেন। তবে অরিজিনাল জুস্ আর জুস্ ড্রিংক এর পার্থক্য করতে ভুল করবেন না। জুস্ এর প্যাকেটের গায়েই লেখা আছে এটা কি জুস্ নাকি জুস্ ড্রিংক। বাংলাদেশে আমরা যে প্রান কিংবা সিজান এর ম্যাঙ্গো জুস্ পাইপ দিয়ে টেনে টেনে খাই সেগুলাতে ফ্লেভার ,চিনি অনেক কিছু মিশানো থাকে। সেগুলা খাবেন না ওজন কমাবার জন্যে। বরং ওজন বেড়ে যেতে পারে। ৩) এই দু’সপ্তাহে আমি যে ফ্যাট খাবার একেবারে খাইনি তা নয়। তবে যা খেয়েছি তাতে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। যেমন ভাজা মাছ, সিদ্ধ চিকেন। দুই দিন মনে হয় বারগার কিংবা পিজা জাতীয় খাওয়া খেয়েছিলাম। সমস্যা হচ্ছে মোটা মানুষ এতদিন মজার মজার খাওয়া খেয়ে এসেছি হঠাত এই ব্রোকোলি আর আপেল মুখে রোচে না। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে মজার খাওয়া খেতে। একজনের পরামর্শমত কাবাবের দোকানের সামনে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করেছিলাম। সে বলেছিল এতে কাবাবের গন্ধে মুখে লোল আসলে সেটা গিলে খেলে নাকি ইচ্ছা অনেক টা দূর হয়। মুখে লোল এসেছিল ঠিকই। সেটা গিলার পর আর থাকতে পারলাম না। ঢুকে পড়লাম দোকানে আর খাবারের অর্ডার দিলাম। ৪) বিদেশে যারা থাকেন তাঁরা প্রতিটি খাবারের প্যাকেটের গায়ে কিলরি আর ফ্যাটের পরিমাণ দেখে নিতে পারেন। যেখানে ফ্যাট এর পার্সেন্টেইজ বেশী সেগুলা দয়া করে খাবেন না। যেকোন লোভনীয় খাবারেই ফ্যাট থাকবে। আরো সহজে চিনতে চাইলে খেয়াল রাখবেন সেখানে যেন চিজ্ মিশানো না থাকে, কিংবা চিংরীর কোন চিহ্ন না থাকে। এক্সারসাইজঃ ১) ট্রেডমিলে ১০ মিনিট হাঁটা, ৫ মিনিট দৌড়ানো, ১০ মিনিট হাঁটা, আবার ৫ মিনিট দৌড়ানো, ৫ মিনিট হাঁটা ২) সাইক্লিং করা ২০ মিনিট ৩) ক্রস ট্রেইনার ২০ মিনিট ৪) রোইং মেশিন ১৫০ টা/ ৫০ টা তে এক সেট করে ৩ সেট গত দু’সপ্তাহে প্রতিদিন জীমে যেতে পারিনি, হয়ত মোট দশদিনের মত যেতে পেরেছি। জীমের মেশিন যদি আধুনিক হয় তাহলে আপনি আপনার ওজন এর পরিমান লিখলে সেই মেশিন আপনাকে বলে দিবে আপনি কত ক্যালরি বার্ন করলেন এক্সারসাইজ করে। আমি প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ক্যালরির মত বার্ন করতাম। ভুল যা করেছিঃ ১) সকাল সকাল উঠা উচিত ছিল। বেশী ঘুম যেমন ওজনের জন্য খারাপ, অল্প ঘুমও খারাপ। পরিমানমত আটঘন্টা ঘুমানো উচিত। ২) সকালের নাস্তা সময় মত করা উচিত। প্রতিদিন পাঁচবার খাবার উচিত। খুব খিদা রাখলে আপনার শরীর ক্যালরী বার্ন করার মত পর্যাপ্ত শক্তি পাবে না। তখন সেই জিনিস গুলা চর্বিতে পরিণত হবে। সময় মত, পরিমানমত খাবেন। পরিমান বলতে অল্প পরিমান এর কথা বলছি। মর্মান্তিক ডায়েট করবেন না, অর্থা পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা না খেয়ে থাকবেন না। এতে ওজন কমার গতি কমে যাবে। প্রতিবন্ধকতাঃ ১) ওজন কমাবার সময় মাথা ভাল করে কাজ নাও করতে পারে। ক্ষিদা ক্ষিদা ভাব থাকলে পড়াশোনায় মন বসে না। ক্রিয়েটিভ জিনিস ত দূরের কথা। সুতরাং যারা ছাত্র/ছাত্রী, তাদের কে ওজন কমানোর পরিকল্পনা টা অনেক দীর্ঘ করে নিতে হবে। এর মাঝে টিউটোরিয়াল, এসাইনমেন্ট থাকলে আপনি ভাল মজার খাবার না খেয়ে তা করতে পারবেন না। এক দুই দিন ফ্যাট খাবার ভুলে বা ইচ্ছা করে খেয়ে ফেলে হতাশ হয়ে ওজন কমানো বন্ধ করে দিবেন না। এক দুই দিনের ফ্যাট খাবারে আপনার পুরা পরিকল্পার খুব যে ক্ষতি হয়ে গেল তা কিন্তু না। তবে তাই বলে ইচ্ছা করে এখন থেকে সপ্তাহে এক দুই দিন ফ্যাট খাবেন না। ২) আপনার হিংসুটে বন্ধু/বান্ধবী যদি জানতে পারে আপনি ওজন কমাচ্ছেন তখন সে ইচ্ছা করে আপনাকে ফাস্ট ফুডের দোকানে নিয়ে গিয়ে ফ্রী খাবার অফার করতে পারে। ৩) ওজন কমাবার সময় হঠাত এমন এক বাসায় চলে গেলেন যেখানে অনেক খাবার দেয়া হল আর না খেলে তাঁরা মাইন্ড করবেন। ভুলেও তাদের বলবেন না আপনি ওজন কমাচ্ছেন। সেটা শুনলে তাঁরা বলবে ‘ আরে একদিন একটু খেলে কিছু হয় না ভাবী। খান খান’। মেয়েরা বলবেন, শরীর ভাল নেই তাই খেতে পারছি না। এই বলে একটা খাবার মুখে নিয়ে মুখটা একটু বিকৃত করবেন। তাঁরপর তিনি নিজেই বলবেন ‘ থাক ভাবী। কষ্ট করে খাবার দরকার নেই। শরীর ভাল হলে আরকেদিন দাওয়াত দিব’ আর ছেলেরা বলবেন যে গতকাল চটপটি আর ফুস্কা বেশী খেয়ে পেট খারাপ করে ফেলেছেন। ওজন কমাবার সব চেয়ে আরামদায়ক উপায় হল দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। এতে শরীরের উপর চাপ কম পড়ে। তবে হতাশ হলে ওজন কখনোই কমবে না। আপনি সাত দিন ডায়েট করে যদি একদিনের ফ্যাট খাবারের জন্য ওজন এর পরিকল্পনা ক্যান্সেল করে দেন তাহলে সেটা বোকামী হবে। আপনার পরিকল্পনা তিন মাসের হলে আপনাকে যে তিন মাস চিকেন ফ্রাই কিংবা জিংগার বারগার না খেয়ে থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। ওজন কমা শুরু করলে হয়ত সপ্তাহে একদিন করে খেতে পারবেন। - সংগৃহীত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

ওজন কমাতে খাবারে নিয়ন্ত্রণ করতেই

হবে, তেল চর্বি মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ

দিতেই হবে, শাকসবজি খেতে হবে, নিয়মিত

ব্যায়াম করতে হবে, দুধ চানা ইত্যাদি খাবার

পরিহার করতে হবে, দৌড়ালে ক্যালরি কমে

তাই দৌড় ব্যায়াম করবেন, নিয়মিত সিরাপ

ছাফী খাবেন, ফার্মেসিতে পাবেন।


আপনার উল্লেখ্যিত ঔষধ সম্পর্কে জানা

নাই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ