ঘুমের সময় টা আসলে নির্ভর করে মানুষের বয়স, শারীরিক পরিশ্রম, লাইফ স্টাইল, সাস্থ্য ইত্যাদির
উপর...
এগুলোর উপর ভিত্তি করে মানুষের ঘুমের সময় কম বেশি হতে পারে... কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ঘুম শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর... অতিরিক্ত ঘুমানো আসলে একটা রোগ যাকে Hypersomnia বলা হয়ে থাকে... এ রোগ হয়ে থাকলে মানুষ সাধারণত দিনে বা রাতে খুব বেশি পরিমানে ঘুমিয়ে থাকে...মানুষ খুব বেশি পরিমানে ঘুমালে অলস হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়...অতিরিক্ত ঘুম স্থুলতা, daibetes, মাথা ব্যাথা, শরীরের ব্যাথা, হতাশার অন্যতম কারণ...এছাড়া অতিরিক্ত ঘুমানের ফলে আপনার হার্ট এর অসুখ ও বাড়িয়ে দিবে,ব্লাড প্রেসার বাড়াবে,রক্তে কলেস্টেরল এর মাত্র বাড়িয়ে দিবে...আপনার শরীরের ন্যাচারাল বডি ডিফেন্স কে নষ্ট করে দিবে... জরিপে দেখা গেছে যে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যদি রাতে ৯ ঘন্টা বা তার অধিক সময় ঘুমায় তার মৃত্যর ঝুকি ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো মানুসের তুলনায় বেশি থাকে...তাই ঘুমুতে যতই ভালো লাগুক, অতিরিক্ত ঘুম কখনো ই না..
-
অতিরিক্ত ঘুম যেভাবে দূর করবেন !
-
★ পড়তে পড়তে যদি চোখে একটু ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে,তবে হাতের বইটি নিয়ে চলে যান ছাদে বা অন্য কোনো উন্মুক্ত স্হানে। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে
আবার পড়তে বসুন।
★ এইটা করতে না পারলে অন্তত এক রুম থেকে
আরেক রুমে কিছু সময়ের জন্য চলে যান।
★ চোখে মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন।
★ হালকা ধরনের কিছু নাস্তা বা খাবার যেমন-বাদাম,চিপস,চানাচুর ইত্যাদি খেতে পারেন।
যতক্ষণ
মুখে বাদাম,চানাচুর থাকে ততক্ষণ ঘুম আসেনা।
★ চা,কফি বা অন্য কোন সুস্বাদু পানীয় পান করতে
পারেন। (এইটা আমার বেলায় কাজে দেয়না,চা খাইলে
উল্টা আমার দুচোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসে।)
★ সহপাঠীর সাথে কিছু সময় গল্প করতে পারেন।
★ কবিতা আবৃত্তি করলেও অনেক সমাধান পেতে পারেন