আমার বয়স 21 উচ্চতা 5.5 ওজন 114 কিলো
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

1

0

-1

বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবারই পেটের মেদ যেন বেড়ে যায়। আবার কারও অতিরিক্ত ফ্যাট খাবার খেয়েও পেটের মেদ বাড়ে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে বর্তমানে সবাই অনেক বেশি সচেতন কিন্তু এই পেটের মেদ প্রতিরোধে ঠিক কী করা উচিৎ, এই বিষয়টি সঠিকভাবে অনেকেই জানেন না। তাই জেনে নিন ঠিক কোন ধরনের শারীরিক ব্যায়ামগুলো আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সহায়তা করে।


১.


দৌড়ানো এবং হাঁটা :



অনেকে বলেন হেঁটে বা দৌড়িয়ে ঠিক উপকারটুকু পাই না। কিন্তু প্রতিদিন সঠিক নিয়মে যদি হাঁটেন বা দৌড়িয়ে থাকেন তাহলে দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট এবং ক্যালরি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর জন্য আপনি নিয়ম করে দুই বেলা হাঁটুন। ইতিবাচক ফলাফল আপনি অবশ্যই পাবেন।



২. প্রশিক্ষণ :



আপনি যদি আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করতে চান তাহলে অবশ্যই জিমের প্রশিক্ষনের আওতায় আসতে পারেন। এখানে আপনি জিমে বা নিজস্ব কোনো জিম ইন্সট্রাক্টরের কাছে একটা প্রশিক্ষণ নিতে পাবেন। এতে করে আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমতে বাধ্য। আপনি এখানে জগিং করতে পারেন। আপনি হয়ত বিশ্বাস করতে পারবেন না যে মাত্র ৩০ মিনিট জগিংয়ে আপনার ৩০০ ক্যালরি পর্যন্ত কমে আসতে পারে।

৩. বাইসাইকেল চালানো :


পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে হৃদসংক্রান্ত ব্যায়ামের মধ্যে বাইসাইকেল চালানো একটি ভালো ফলাফল আনতে সহায়তা করে। বাইসাইকেল চালালে পায়ের পেশীগুলোতে চাপ পড়ে সাথে সাথে পেটের উপরেও অনেক বেশি চাপ পড়ে। ফলে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। ৩০ মিনিট সাইকেলিং করলে আনুমানিকভাবে ২৫০-৫০০ ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে আসে।


৪. বুকডন :


পেটের অতিরিক্ত মেদে চিন্তা না করে শুধু নিয়ম করে কিছু শারীরিক ব্যায়াম করলে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যেমন এর জন্য আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে বুকডন দিতে পারেন। দিনে ৪০-৫০ বার বুকডন দিলেই ২০০-৩০০ ক্যালরি নিয়স্ত্রণে আসে পাশাপাশি পেশী শক্ত হয়ে ওঠে।


৫. পায়ের ব্যায়াম :


পায়ের অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে। পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে আপনি এর মধ্যে নৌকাসন এবং হলাসন ব্যায়াম দুটি করতে পারেন। নৌকাসনে মোটামুটিভাবে সারা শরীরটাকে নৌকার মত আসনে ওঠানো নামানো হয়ে থাকে। আর হলাসনে পা দুটোকে উপরে উঠিয়ে আস্তে আস্তে মাথার পিছনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে পেটে চাপ পড়ে। ফলে পেটের অতিরিক্ত মেদ নিয়ন্ত্রণে আসে।


এছাড়া দেখুন :


মাত্র ২০ দিনে বাড়তি ওজন কমাতে তিনটি সহজ ব্যায়াম (ভিডিও) : আজকাল সকলেই চেয়ে থাকেন নিজেকে একটু বেশী আকর্ষণীয় করে তুলতে। কিন্তু এর পথে একমাত্র অন্তরায় হল আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজনটি। আপনি হয়তো এই বাজে ওজন কমাতে অনেক ডায়েট ও ব্যায়াম করছেন, কিন্তু আশানুরুপ ফলাফল পাচ্ছেন না। এমন অবস্থাতে আপনি চাইলে এই কাজগুলো করে দেখতে পারেন। বেশী কিছু নয়, মাত্র ৩টি ব্যায়াম। বিস্তারিত : http://www.priyo.com/2014/10/02/108802.html

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বেশিরভাগ মানুষই মনে করে জিম করা বা কষ্টকর ব্যায়ামই দিতে পারে পেটের মেদ থেকে মুক্তি। কিন্তু এ ধারণা ভুল। কারণ ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম আপনি যদি নিয়মিত করতে পারেন তাবে এগুলোই আপনার জন্য যথেষ্ট। যেমন ফ্লোর ক্রাঞ্চেস্, বার-পিস, সিঙ্গেল লেগ স্কোয়াট, পুশ-আপস্, চেয়ার ডিপস্‌ ৩০ সেকেন্ড করে দিনে ৪-৫ বার করে দেখুন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ হাটুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি তো যথেষ্ট ওজনের মালিক।মেদ কমানো অনেক নিয়ম আসে। তবে আমি একটা পরামর্শ দিতে পারি।

    1.লবন খাওয়া বাদ দিয়ে দিবেন। 2.বেশি পানি পান করুন।3.মসলা যুক্ত ও বেশী তেলে ভাজা  খাবার বর্যন করুন।4. নিয়মিত ব্যয়াম করুন।5.সবসময় সুয়েবসে না থেকে কর্মঠ হন। সৃষ্টিশীল চিন্তা চেতনা তৈরি করুন। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রথমেই বলি জিম করলে ওজন কমবে এইটা সটিক নয়। ওজন কমানোর জন্য কোন শর্টকাট উপায় নাই। এটা প্রথমে এবং সব সময় মাথায় রাখতে হবে। আপনি রোজা রাখুন ব্যাহাম করুন ওজন কমবে ।আর ওজনের একমাত্র কারন হচ্ছে আপনার প্রয়োজনের তুলনায় বেশী ক্যালরি গ্রহণ, অবশ্যি সেটা খাবারের মাধ্যমে। তাই, যখনই আপনার প্রয়োজনের তুলনায় কম ক্যালরি গ্রহণ করবেন, কমটুকু শরীর তার সঞ্চিত জায়গা অর্থাৎ চর্বি থেকে ব্যবহার করবে। এই পদ্ধতি ক্রমান্বয়ে চলতে থাকলেই শরীরের চর্বি বার্ণ হবে, ওজন কমবে। নিচের প্রাকটিসগুলো আস্তে আস্তে মানতে ও অভ্যস্থ হতে চেস্টা করুন। ১। প্রথমেই নিজের ওজন মাপুন ও হিসাব রাখুন, নোটবুকে/কম্পিউটারে/ফোনে যেখানে সুবিধা। ২। একটা টেবিল বানান এক্সেল দিয়ে। সকাল, বিকাল ও রাতে কী কী খাবার ও কতটুকু খাচ্ছেন তার হিসাব রাখার জন্য। এ কাজে স্পার্টফোনে প্রচুর অ্যাপ আছে। স্পার্টফোন থাকলে পছন্দ মত একটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রিন্ট করে মাসওয়ারী একটা চার্ট নিজের পড়ার টেবিলেই রাখুন। দিন শেষে কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করলেন একটা হিসাব করুন। কোন খাবারে কতটুকু ক্যালরি তা জানার জন্য ইন্টারনেট বা স্পার্টফোনের অ্যাপ ব্যবহার করুন। ৩। এবার আপনার বয়স অনুযায়ী ও কাজের ধরন অনুযায়ী আপনার ক্যালরীর চাহিদা নির্বাচন করুন। যতদুর মনে পরে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যম পরিশ্রম করেন, তার ক্যালরীর চাহিদা ২০০০ থেকে ২৫০০ Kcal. ৪। এবার আপনি আপনার ক্যালরীর চার্ট হতে খাবার এমনভাবে সিলেক্ট করুন যাতে গ্রহণকৃত খাদ্যের ক্যালরী অবশ্যিই আপনার রিকমন্ডেড ক্যালরীর তুলনায় কম হয়। এই অভ্যাস সবসময় বজায় রাখুন। এছাড়া কায়িক পরিশ্রম করার জন্য প্রত্যাহিক জীবন যাপনে নিচের টিপসগুলো প্রয়োগ করুন। ১। খাদ্যে ভাতের পরিমান কমিয়ে সবজি বাড়ান। ২। ডিম খেলে সিদ্ধ খান, ভাজির তুলনায়। ভাজি ডিমে তেল লাগে বিধায় ক্যালরী বেশি। পারলে সিদ্ধ ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা প্রোটিনটুকু কেবল খান। ৩। যেকোন বাসা/অ্যাপার্টমেন্টে লিফট বাদ দিন। সিড়ি ব্যবহার করুন, সেটা যদি দোতালায়ও উঠতে হয়। ৪। স্কুল/কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ে/ বাজার করতে যেতে হলে কাছাকাছি দুরত্বের মধ্যে হলে হেটেঁ যান এবং আসুন। এটা বলা এজন্য আজকাল বিশেষ করে ঢাকাতে দেখেছি, যেখানে দুকদম হেটেঁই যাওয়া যায়, সেখানে যেতেও অনেকেই রিকশা ব্যবহার করেন। ৫। সকাল/ দুপুর আর রাতের খাবার ব্যতিত এর মাঝের স্ন্যাকস/হালকা নাস্তা পারলে পরিহার করুন। ওজন বাড়ার জন্য সবচেয়ে বাজে অভ্যাসহলো এটা। এটাই অতিরিক্ত ক্যালরি আপনার শরীরে প্রবেশ করায়। ৬। জাপানী ডাক্তাররা একটা উপায় সাজেস্ট করেন ওজন কমানোর জন্য। সেটা হলো দৈনিক ১০,০০০ কদম হাটাঁ। এটা যে একবারেই কমপ্লিট করতে হবে তা কিন্তু নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। ৭। ঘুরে ফিরে বার বার খাবারের কথা। মিস্টি জাতীয় খাবার কাটছাঁট করতে হবে। ৮। দুধ চা কফির তুলনায় ব্ল্যাক টী বা কফি। পারলে গ্রীণ টি পান করতে হবে। ৯। দৈনিক নিদেনপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুম এবং সেটা একটা নির্দিস্ট সময়ে। ১০। ওজন বাড়া আজকাল শহরে বসবাসকারী বাচ্চাসহ অনেকেরই দেখা যাচ্ছে। কেননা কায়িক পরিশ্রম অনেকেই করেন না, লেইজারের স্পেসও কম, বিশেষ করে বাচ্চাদের। তাই উপরের কাজগুলো করার জন্য, বিশেষ করে হাটাঁর জন্য আপনার মত আরো কয়েকজন মিলে একটা দল গঠুন করে সকাল/বিকাল জগিং করতে বের হয়ে পড়ুন। মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য কোন শর্টকাট উপায় নাই। কিন্তু জীবন যাপন প্রণালীর সামন্য পরিবর্তনে ও অভ্যস্থতায় আপনি অবশ্যই ওজন কমাতে পারবেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ