ঔসুধ জানা নেই। উপায়জ জানা আছে।ব্যায়াম ছাড়াই মেদ-ভুঁড়ি কমান সহজ ৮টি উপায়ে ১৪ অক্টোবর, ১৪ Tagged In: reduce belly fat weight loss Viewed#: 42599 শহুরে জীবনে দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজ করার কারণে ও দৈহিক পরিশ্রম কম করার কারণে পেটে মেদ জমে যাওয়া খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। কিন্তু যত সহজে পেটে মেদ জমে, এটাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াটা যেন ততটাই কঠিন। কিন্তু ছোট্ট কিছু কৌশল জানা থাকলে আর প্রতিদিনকার কিছু সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি নিজেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার পেটের এই বাড়িতি মেদ ভুঁড়ি! জিমে গিয়ে টাকা নষ্ট করার কোন দরকারই নেই। কীভাবে? জেনে নিন ৮ টি সহজ উপায়। ভুঁড়ি কমাবার এরচাইতে সহজ উপায় আর হতেই পারে না! ১। রোজ সকালে এক গ্লাস গরম লেবুর শরবতঃ হ্যাঁ! কিন্তু একেবারেই চিনি ছাড়া। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবু চিপে নিন, এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এবার পান করুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আর রাতে ঘুমুতে যাবার ঠিক আগে। এটি আপনার দেহের বাড়তি মেদ ও চর্বি কমাতে সব চেয়ে ভালো উপায়! ২। সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাতঃ সাদা ভাতের বদলে বেছে নিতে পারেন লাল চালের ভাত, ব্রাউন ব্রেড, আটার রুটি। এতে আপনার দেহে ক্যালোরি অতিরিক্ত ঢুকবে না। পেটে জমা চর্বি কমে আসবে ধীরে ধীরে। ৩। চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই নাঃ মিষ্টি, মিষতিজাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং তেলে ভাজা স্ন্যাক্স থেক ১০০ হাত দূরে থাকুন। কেননা এ জাতীয় খাবারগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত পেট ও উরুতে খুব দ্রুত চর্বি জমিয়ে ফেলে। তাই এগুলো খাওয়ার চেয়ে ফল খান। ৪। প্রচুর পানি পান করুনঃ প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করার ফলে এটা আপনার দেহের মেটাবলিজম বাড়ায় ও রক্তের ক্ষতিকর উপাদান প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়। মেটাবলিজম বাড়ার ফলে দেহে চর্বি জমতে পারে না ও বাড়তি চর্বি ঝরে যায়। চেষ্টা করুন বরফ ঠান্ডা পানি না পান করে, খানিকটা উষ্ণ পানি পান করার। ৫। রোজ তিন কোয়া রসুনঃ রোজ সকালে উঠেই খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন, এর ঠিক পর পরই পান করুন লেবুর রস। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কাজ করবে। তাছাড়া দেহের রক্ত চলাচলকে আরো বেশী সহজ করবে এটি। ৬। মসলা খানঃ রান্নায় অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করা ঠিক নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু মশলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতন? রান্নার ব্যবহার করুন দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। ৭। প্রচুর ফল ও সবজিঃ প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সবজি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন। আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই। ৮। মাংস থেকে দূরে থাকুনঃ বিশেষত অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত গরু ও খাসির মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বেছে নিতে পারেন কম তেলে রান্না করা মাছ। ব্যায়াম করার সময় নেই তো হয়েছে, তাই বলে কি ভুঁড়ি কমবে না? আজ থেকেই মেনে চলুন উপরের নিয়মগুলো আর ফিরে পান আপনার মেদহীন সুন্দর স্বাস্থ্য। সুস্থ থাকুন। সূত্র: প্রিয় লাইফ
ঔষধ সেবন করে মেদ না কমানোই ভালো। নিচের নিয়মগুলো অনুসরন করেও আপনি মেদ কমাতে পারবেন। মাত্র পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন, আর কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ। ১ম ধাপ- পেটের মেদ কমানোর জন্য সর্ব প্রথম কাজ হচ্ছে যোগা- ব্যায়াম। শুধু পেটের ব্যায়ামই নয়, করতে হবে পুরো শরীরের ব্যায়াম। পুশ -আপ , পুল - আপ করতে হবে। দড়িলাফ করতে পারলে সব চাইতে ভালো ১ সপ্তাহে পেটের মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিনের ব্যায়ামে আপনাকে ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালোরির মতো ক্ষয় করতে হবে। ২য় ধাপ- দিন শুরু হোক পাতিলেবু ও জল দিয়ে। প্রতিদিন সকালবেলা নিয়ম করে ১ গ্লাস লেবু গরম জল খান। লেবুর রসের পরিমান বেশি রাখার চেষ্টা করুন। সকালের ব্রেকফাস্টের আগে কোনও একটা ফল বা অনেকটা জল খান। মনে রাখবেন, জল মেদ ঝড়াতে মোক্ষম ওষুধ। এছাড়া খাবারের চাহিদা কমে যাবে। দিনে প্রচুর পরিমাণ জল খান। ৩য় ধাপ- পেটের পেশী অর্থাৎ অ্যাবডোমিনাল পেশীর ব্যায়াম করতে হবে সপ্তাহে ৩ দিন। ক্রাঞ্চ এবং পায়ের ব্যায়াম ৩ সেটে ২০ বার করে করতে হবে প্রতিবার। কুনুইএর মাধ্যমে পুশ -আপের ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। এতে ১ সপ্তাহের মধ্যে পেটের মেদ কমে যাবে। ৪র্থ ধাপ- পেটের মেদ কমাতে খাবার থেকে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট বাদ দিতে হবে। কার্বোহাইড্রেট সামান্য রাখতে পারেন দেহের এনার্জির মাত্রা ঠিক রাখার জন্য। কিন্তু অবশ্যই চিনি বাদ দিতে হবে। মাছ এবং মুরগীর মাংস , প্রচুর পরিমানে শাকসবজি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। এবং প্রতিদিন একটি বা দুটি তাজা ফল খেতে হবে। বিশেষ করে টক জাতীয় ফল। যে কোনও খাবরাই খান না কেন, ততে নুনের ভাগ যেনও খুব কম থাকে।। ৫ম ধাপ- মশলাবর্জিত খাবারে ব্যবহার করুন শুধু দারচিনি, গোলমরিচ ও আদা। এইসব মশলা পেটের মেদ দূর করতে সাহায্য করে। রসুনও পেটের মেদ দূর করে। আদা এবং রসুন কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন এতে শুধু মেদই নয় , সর্দি - কাশি ও নানাধরমের রোগ সেরে যায়। খাবারে কাঁচালঙ্কার ঝাল ব্যবহার করুন।