মোটা হওয়ার জন্য প্রথমেই ঔষধ
খাওয়া ঠিক না।
আপনি বেশি বেশি করে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান। ফ্যাট জাতীয় খাবারও বেশি করে খান। ভাতের বদলে ডাল এবং সবজিসহ রান্না করা খিচুড়ি খান । ভাত খেতে হলে বসা ভাত রান্না করুন কিংবা রাইস কুকারে রান্না করা ভাত খান । ফ্যান বা মাড় ঝরানো ভাত খেতে পারেন। রুটি খাবেন না । পাউরুটি খেলে জেলি/জ্যাম অথবা মাখন সহ খান । প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম দুধ খান । দিনে ২ টি ডিম খান । অতিরিক্ত চা কফি খাবেন না । কখনই খাবার বাদ দেবেন না । দ্রুত কোথাও যেতে হলে বা কাজ থাকলে পথে খাবারটা খেয়ে নিন । খাবার বাদ দিলে শরীরের ক্ষতি হয় । তিনবেলা খাওয়ার সাথে সাথে বিকালে নাস্তা করুন । ওজন বেড়ে যাবে এবং আপনি মোটা হয়ে উঠবেন।
যদি না হয়, তখন নাহলে ঔষধের দিকে
যাবেন।
বিভিন্ন ধরণের স্টেরয়েড মিশ্রিত ঔষধ খেয়ে আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারেন, এতে করে লিভার কিডনির ক্ষতি হবে মারাত্মক ভাবে। তাই মোটা হওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দাবার খান, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। খাওয়া দাওয়ার অরুচি বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে একজন রেজিস্টার্ড চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন। শরীরের ওজন কমের ক্ষেত্রে একজন পুষ্টিবিধের পরামর্শও নিতে পারেন।
মোটা হওয়ার বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে
১। চার ঘণ্টার বেশি না খেয়ে থাকবেন না: আপনার শরীর নিয়মিত খাবারের সাপ্লাই চায়। যা শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তির যোগান দিবে। বেশি সময় খাবার না খেয়ে থাকলে শরীরে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে ফলে ওজন বাড়ার বদলে উল্টো কমে যেতে পারে । খালি পেটে তো কিছুতেই থাকবেন না বরং সময়মত বেশি করে খাবার খেয়ে শরীরে খাদ্য ঘাটতি পুষিয়ে ফেলুন। ২। ক্যালরি যুক্ত খাবার বেশি করে খান: প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। যেমন: বাদাম এবং শস্যদানা, চকোলেট, বাদামের মাখন, চিংড়ি, স্ট্রবেরী, কন্ডেনস্ড মিল্ক, ডিম, সয়াবিন, কিসমিস, খেজুর, নারকেল দুধ, বাদামী চাল, ওটমিল, বাটার বা তাহিনি, দই, কলা, অলিভ অয়েল, আঙুরের জুস, আনারস, আপেল, কমলা। দুগ্ধজাত খাবার এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যথা মাছ, মাংস ইত্যাদি থাকতে হবে প্রতি বেলার খাদ্য তালিকায়। ৩। ব্লেন্ড করে খান: আপনার যদি সবসময় খেতে ইচ্ছা না করে তাহলে খাবারগুলো ব্লেন্ড করেও খেতে পারেন। ড্রিংক হিসাবে কলা, খেজুর এর সাথে একটু মাখন, দুধ অথবা আম, পেস্তা বাদাম, স্ট্রবেরি, কমলা ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে জুস তৈরি করে হাতের কাছে রাখুন। এগুলো আপনার শরীরের মাংস পেশীগুলোকে সুগঠিত করতে যথেষ্ট প্রোটিন সরবরাহ করবে। ৪। বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন: অনেকেই ভাবেন যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট পুরে খান। পেট পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলে ওজন কমে। ৫। ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু খান: ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই বেশ পুষ্টিকর কিছু খাবেন। আর খিদে পেলে তো আয়েশ করে পেট পুরে খেয়ে নেবেন। আর সাথে সাথেই ঘুম। ফলে খাবারের ক্যালোরিটা খরচ হবার সময় পাবে না, বাড়তি ওজন হিশাবে জমবে শরীরে। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিবেন।