আমার বয়স ২৩ বছর,আমি রাতিবেলা যতো ঘুমানোর চেষ্টা করি কিন্তু আমার ঘুম সহজে আসে না,ধরেন আমি শুইলাম ১০টা ঘুম আসে ৩টা।এর কি কারন একটু জানাবেন কী?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ঘুম কম হবার কারন:; ১.রাত জেগে কাজ করা অনেকের রাতের বেলা জেগে কাজ করার বদ অভ্যাস রয়েছে। এই কাজটি ঘুম না আসার জন্য দায়ী একটি কাজ। রাত জেগে কাজ করার ফলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে অনেকক্ষণ। এই কারণে রাত ১০ টার আগেই শেষ করে ফেলার অভ্যাস করুন। ঘুমের সমস্যা দূর হবে। ২.রাতে অতিরিক্ত টিভি দেখা অনেকের শোবার ঘরে টিভি রাখা আছে। রাতের বেলা শোবার সময় টিভি ছেড়ে ররাখার অভ্যাস অনেকের রয়েছে। এছাড়া সারাদিন কাজের শেষে রাতের বেলা টিভি দেখার অভ্যাস গড়ে তোলেন অনেকেই। এই কাজটিও ঘুম না আসার জন্য দায়ী। টিভি দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভে চাপ পরে যা অনিদ্রার জন্য দায়ী। তাই রাতে অতিরিক্ত টিভি দেখবেন না। ৩.রাতের বেলা ব্যায়াম করা অনেকেই কাজের চাপে সময় না পেলে দেহকে সুস্থ রাখার জন্য রাতের বেলা সময় বের করে ব্যায়াম করেন। কিন্তু এই কাজটি দেহকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে অসুস্থ করে তোলে। রাতের বেলা ব্যায়াম করলে ঘুম হয় না এবং ঘুম না হলে দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। ঘুম হওয়ার জন্য আমাদের দেহের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় কম হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ব্যায়াম করলে আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং রাতের বেলা ব্যায়াম করার অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। ৪.মধ্যরাতের অস্বাস্থ্যকর খাবারস তৈরি হয়। এবং মধ্যরাতের এই খাবারগুলো বরাবরই বেশ অস্বাস্থ্যকর হয়। আমরা সকলেই জানি খাবার আমাদের দেহে এনার্জি সর যারা রাত জেগে কাজ করেন তাদের রাতের বেলা কিছু না কিছু খাবার অভ্যাবরাহ করে। এবং আমাদের দেহে যতক্ষণ এনার্জি থাকে আমাদের ঘুমের উদ্রেক করে না। আমাদের ক্লান্ত এবং পরিশ্রান্ত লাগলেই আমাদের ঘুমের উদ্রেক হয়। সুতরাং মধ্যরাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করুন। ৫.ফোনে কথা বলা অনেকে মনে করতে পারেন ঘুমের সাথে কথা বলার সম্পর্ক কি হতে পারে। কিন্তু যারা ফোনে বেশি কথা বলেন বিশেষ করে রাতের দিকে তারা সব চাইতে বেশী অনিদ্রা রোগে ভোগেন। কথা বলার সময় আমাদের দেহের এনার্জির মাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া ফোনের রেডিয়েশন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। এতে করে রাতে ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক কথা বলার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং ফোন রাখার পরও মস্তিষ্ক সজাগ থাকে বলে ঘুম আসতে চায় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ঠিকমতো ঘুম না আসার ৫টি কারণ খুঁজে বের করেছে। ১.কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ: কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ বা অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান সুস্থ ঘুমের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। এমন পরিবেশে ঘুমালে কারো পক্ষে ভালোভাবে ঘুমানো সম্ভক নয়। ২.অনিয়মিত জীবনযাপন: অনিয়মিত জীবনযাপন করলে ঠিকমতো ঘুমানো সম্ভব নয়। এমন অনেকেই আছেন যারা কোনো কাজই রুটিন অনুযায়ী করেন না। তাদের পক্ষে এ সমস্যাটি বেশি হয়। ৩.মাদকদ্রব্য সেবন: অতিরিক্ত পরিমাণে মাদকদ্রব্য সেবন বা উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন দ্রব্য সেবন করলে সুস্থ ঘুম সম্ভব নয়। ৪.শারীরিক তাপমাত্রা: শরীরের তাপমাত্রা ঠিক না থাকলে শরীরের ভেতর অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। ৫.ব্যস্ত মন: সব কিছুকে বেধে রাখা গেলেও মানুষের মনকে বেধে রাখা সম্ভব নয়। এজন্য দেখা যায় অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থাকার পরও ঘুম আসে না। সম্প্রতি অন্য আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ছোটবেলায় শিশুদের নিয়মিত না ঘুমাতে দিলে ভবিষ্যতে তাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যেসব কারণে ঘুম কম হয়: শোবার ঘরে বেশি আওয়াজ হলে - ঘরের তাপমাত্রা বেশী অথবা কম হলে - বিছানা আরামদায়ক না হলে - ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট রুটিন বা সময় না মানা হলে - যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম করা হচ্ছে না - রাতে খুব বেশী খেলে ঘুমে সমস্যা হয় আবার পেটে বেশি খিদে থাকলে ঘুম হয় - সিগারেট, অ্যালকোহল, ক্যাফিনযুক্ত খাবার যেমন- চা-কফি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় - শারীরিক কোথাও ব্যাথা বা গায়ে জ্বর থাকলেও ঘুম ঠিকমত হয় না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

১.রাত জেগে কাজ করা অনেকের রাতের বেলা জেগে কাজ করার বদ অভ্যাস রয়েছে। এই কাজটি ঘুম না আসার জন্য দায়ী একটি কাজ। রাত জেগে কাজ করার ফলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে অনেকক্ষণ। এই কারণে রাত ১০ টার আগেই শেষ করে ফেলার অভ্যাস করুন। ঘুমের সমস্যা দূর হবে। ২.রাতে অতিরিক্ত টিভি দেখা অনেকের শোবার ঘরে টিভি রাখা আছে। রাতের বেলা শোবার সময় টিভি ছেড়ে ররাখার অভ্যাস অনেকের রয়েছে। এছাড়া সারাদিন কাজের শেষে রাতের বেলা টিভি দেখার অভ্যাস গড়ে তোলেন অনেকেই। এই কাজটিও ঘুম না আসার জন্য দায়ী। টিভি দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভে চাপ পরে যা অনিদ্রার জন্য দায়ী। তাই রাতে অতিরিক্ত টিভি দেখবেন না। ৩.রাতের বেলা ব্যায়াম করা অনেকেই কাজের চাপে সময় না পেলে দেহকে সুস্থ রাখার জন্য রাতের বেলা সময় বের করে ব্যায়াম করেন। কিন্তু এই কাজটি দেহকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে অসুস্থ করে তোলে। রাতের বেলা ব্যায়াম করলে ঘুম হয় না এবং ঘুম না হলে দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। ঘুম হওয়ার জন্য আমাদের দেহের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় কম হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ব্যায়াম করলে আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং রাতের বেলা ব্যায়াম করার অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। ৪.মধ্যরাতের অস্বাস্থ্যকর খাবারস তৈরি হয়। এবং মধ্যরাতের এই খাবারগুলো বরাবরই বেশ অস্বাস্থ্যকর হয়। আমরা সকলেই জানি খাবার আমাদের দেহে এনার্জি সর যারা রাত জেগে কাজ করেন তাদের রাতের বেলা কিছু না কিছু খাবার অভ্যাবরাহ করে। এবং আমাদের দেহে যতক্ষণ এনার্জি থাকে আমাদের ঘুমের উদ্রেক করে না। আমাদের ক্লান্ত এবং পরিশ্রান্ত লাগলেই আমাদের ঘুমের উদ্রেক হয়। সুতরাং মধ্যরাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করুন। ৫.ফোনে কথা বলা অনেকে মনে করতে পারেন ঘুমের সাথে কথা বলার সম্পর্ক কি হতে পারে। কিন্তু যারা ফোনে বেশি কথা বলেন বিশেষ করে রাতের দিকে তারা সব চাইতে বেশী অনিদ্রা রোগে ভোগেন। কথা বলার সময় আমাদের দেহের এনার্জির মাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া ফোনের রেডিয়েশন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। এতে করে রাতে ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক কথা বলার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং ফোন রাখার পরও মস্তিষ্ক সজাগ থাকে বলে ঘুম আসতে চায় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নিচের টিপস গুলো ফলো করুন ১) যদি তামাক দ্রব্য ব্যাবহার করেন তাহলে তা বন্ধ করুন। ২)চা বা কফি দিনে ২ বারের বেশি খাবেন না। ৩)পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ুন। ৪)ঘুমুবার ৩ ঘন্টা আগে ডিনার করে নিন। ৫) দুপুরে যদি ঘুমান ঘুম বর্জন করুন। ৬)রাতে রোজ একি সময়ে ঘুমতে যাবেন এবং একি সময়ে উঠে পড়বেন। ৭)ফজরের নামাজ পড়লে খুবই ভালো হয়। ৮)কোন টেনশন থাকলে নামাজ পড়তে গিয়ে সব আল্লাহ্‌র উপর ছেড়ে দিন। ৯)ইসলাম মেনে চলুন। ১০)রাতে শুয়ে শুয়ে দরুদ এবং কলেমা পড়ুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ