শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ঘুম না হওয়ার কারন; ১.রাত জেগে কাজ করা অনেকের রাতের বেলা জেগে কাজ করার বদ অভ্যাস রয়েছে। এই কাজটি ঘুম না আসার জন্য দায়ী একটি কাজ। রাত জেগে কাজ করার ফলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে অনেকক্ষণ। এই কারণে রাত ১০ টার আগেই শেষ করে ফেলার অভ্যাস করুন। ঘুমের সমস্যা দূর হবে। ২.রাতে অতিরিক্ত টিভি দেখা অনেকের শোবার ঘরে টিভি রাখা আছে। রাতের বেলা শোবার সময় টিভি ছেড়ে ররাখার অভ্যাস অনেকের রয়েছে। এছাড়া সারাদিন কাজের শেষে রাতের বেলা টিভি দেখার অভ্যাস গড়ে তোলেন অনেকেই। এই কাজটিও ঘুম না আসার জন্য দায়ী। টিভি দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভে চাপ পরে যা অনিদ্রার জন্য দায়ী। তাই রাতে অতিরিক্ত টিভি দেখবেন না। ৩.রাতের বেলা ব্যায়াম করা অনেকেই কাজের চাপে সময় না পেলে দেহকে সুস্থ রাখার জন্য রাতের বেলা সময় বের করে ব্যায়াম করেন। কিন্তু এই কাজটি দেহকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে অসুস্থ করে তোলে। রাতের বেলা ব্যায়াম করলে ঘুম হয় না এবং ঘুম না হলে দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। ঘুম হওয়ার জন্য আমাদের দেহের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় কম হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ব্যায়াম করলে আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং রাতের বেলা ব্যায়াম করার অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। ৪.মধ্যরাতের অস্বাস্থ্যকর খাবারস তৈরি হয়। এবং মধ্যরাতের এই খাবারগুলো বরাবরই বেশ অস্বাস্থ্যকর হয়। আমরা সকলেই জানি খাবার আমাদের দেহে এনার্জি সর যারা রাত জেগে কাজ করেন তাদের রাতের বেলা কিছু না কিছু খাবার অভ্যাবরাহ করে। এবং আমাদের দেহে যতক্ষণ এনার্জি থাকে আমাদের ঘুমের উদ্রেক করে না। আমাদের ক্লান্ত এবং পরিশ্রান্ত লাগলেই আমাদের ঘুমের উদ্রেক হয়। সুতরাং মধ্যরাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করুন। ৫.ফোনে কথা বলা অনেকে মনে করতে পারেন ঘুমের সাথে কথা বলার সম্পর্ক কি হতে পারে। কিন্তু যারা ফোনে বেশি কথা বলেন বিশেষ করে রাতের দিকে তারা সব চাইতে বেশী অনিদ্রা রোগে ভোগেন। কথা বলার সময় আমাদের দেহের এনার্জির মাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া ফোনের রেডিয়েশন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। এতে করে রাতে ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক কথা বলার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং ফোন রাখার পরও মস্তিষ্ক সজাগ থাকে বলে ঘুম আসতে চায় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ঘুম কম হবার কারণ: ১. ভারসাম্যহীনভাবে খাবার গ্রহণ আপনি যদি সারা সপ্তাহ সুষম খাবার খান আর সপ্তাহে দু’রাতে ভারসাম্যহীনভাবে খাবার খান, তাহলে তা আপনার কোনো উপকারে আসবে না। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারসাম্যহীনভাবে খাবারের অভ্যাস পরে ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়। আপনি যদি প্রতিদিন সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে খাবার খান, সেটা কোনো সমস্যা নয়। যদি তা না হয়, তাহলে আপনার ঘুমে সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত রাতের খাবার খেতে হবে। ২. আপনার মুখ মিন্টি ফ্রেশ ঘুমানোর আগে আপনি যদি পিপারমিন্ট গন্ধযুক্ত পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন তাহলে সেজন্য ঘুম নাও আসতে পারে। অবশ্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা বাদ দিতে হবে না। তবে এজন্য পিপারমিন্ট গন্ধযুক্ত পেস্ট বাদ দিয়ে নতুন কোনো পেস্ট বেছে নেয়াটাই ভালো হবে। পিপারমিন্টের গন্ধ মস্তিষ্ককে উদ্দিপ্ত করে এবং ঘুমাতে বাধা দেয়। ৩. আপনি বইয়ের ভক্ত আপনি হয়ত ভালো বইয়ের ভক্ত কিংবা মাঝরাতের টিভি শো দেখতে ভালোবাসেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এর ফলাফল ঘুমের জন্য ভালো নয়। ঘুমের আগে অতিরিক্ত আবেগঘন বিষয় কিংবা বুদ্ধিদীপ্ত কোনো কার্যাক্রম ঘুম নষ্ট করে। এ সময় কান্নার মতো আবেগ তৈরি হয় এমন কোনো বিষয় বাদ দিয়ে খেলাধুলা ও বিনোদনের মতো হালকা বিষয় এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে। ৪. ঘুমানোর আগে ধূমপান আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, ঘুমানোর আগে ধূমপান আপনার নার্ভ ঠাণ্ডা করবে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে বিপরীত চিত্র। নিকোটিনের প্রভাবে মস্তিষ্ক থেকে দূর হয়ে যায় ঘুম। ঠিকভাবে ঘুমাতে চাইলে সিগারেট একেবারে ছাড়তে না পারলেও অন্তত ঘুমানোর আগে একে বাদ দিতে হবে। ৫. ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধোয়া আপনার যদি ঘুমানোর আগে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধোয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তা শরীরকে উদ্দীপ্ত করে। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক করার জন্য শরীরের এনার্জি খরচ হয় আর এতে দূর হয় ঘুম। এর সমাধান হিসেবে ঘুমানোর আগে ঠাণ্ডা পানির বদলে হাল্কা গরম পানিতে মুখ ধুতে হবে। ৬. রাতে মোবাইল ফোন চার্জ আপনি হয়তো রাতে ইমেইল ব্যবহার করা বন্ধ করেছেন, মোবাইল ফোনও বিছানা থেকে সরিয়েছেন। কিন্তু এসব যন্ত্র রাতে চার্জে দিয়ে রেখেছেন। দেখা গেছে, এসব যন্ত্রপাতি থেকে নির্গত সামান্য আলোও আপনার ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে আলো যদি হয় নীল, তাহলে তা সবচেয়ে বেশি ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এর সমাধান হিসেবে সকালে উঠার পর এগুলো চার্জ করাই ভালো। অন্যথায় শোবার ঘরের বদলে অন্য ঘরে এগুলো চার্জ করতে হবে। ৭. উষ্ণ বিছানায় গরম হলে শিতকালে আপনি যদি খুব আরামদায়ক উষ্ণ বিছানা ব্যবহার করেন তাহলেও তা ঘুমে ব্যাঘাত আনতে পারে। এর কারণ শরীরের তাপমাত্রা। আপনি যদি কোনো সঙ্গীর সঙ্গে ঘুমান, কিংবা ভারি কম্বল বা লেপ ব্যবহার করেন তাহলে তা আপনার শরীরের তাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত এ তাপমাত্রায় ঘুম নাও আসতে পারে। এর সমাধান হিসেবে বিছানায় সঠিক তাপমাত্রা আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. আপনি লেবু পছন্দ করেন লেবু চা কিংবা রাতের খাবারের পর লেবুর কোনো খাবার রাখলে তা আপনার ঘুমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। লেবুর গন্ধ এজন্য দায়ী। আরামদায়ক ঘুম আনতে হলে ঘুমের আগে লেবুর গন্ধযুক্ত সব খাবার বাদ দিতে হবে। ৯. ঘুমানোর আগে ওষুধ সেবন ঘুমানোর আগে ভিটামিন কিংবা প্রেসক্রিপশনের ওষুধ খাওয়া মনে রাখার জন্য অনেক সহজ। তবে ভিটামিন বি৬, বি১২ ও কিছু স্টেরয়েডসহ বিভিন্ন ওষুধ ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সকালে ওষুধ খাওয়া শুরু করাই ভালো। আর রাতে ভালো ঘুম হলে সকালে ওষুধের বিষয়টা মনে রাখাও সহজ হবে। ১০. ঘুমানোর আগে টিভি দেখা ঘুমানোর আগে টিভি দেখার কারণে ঘুম নষ্ট হয় এটা নতুন করে বলার কিছুই নেই। আপনি যদি কোনোভাবেই রাতের প্রোগ্রাম দেখা বাদ দিতে না পারেন তাহলে টিভি প্রোগ্রাম রেকর্ড করে রাখার ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারেন। এতে পরে ঘুম থেকে উঠে প্রোগ্রামগুলো দেখে নেয়া সম্ভব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান হবে আপনি নিচের নিয়ম অনুসরন করুন=> আসলে ঘুম কম হওয়ার অনেক কারনই থাকে তবে তার মধ্যে দুশ্চিন্তা অন্যতম। **আপনি সবসময় চিন্তামুক্ত থাকুন কোনোভাবেই টেনশন নিবেননা। **আর আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ুন কেননা সবকিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা আল্লার কাছে প্রার্থনা করুন। **ঘুমানোর আগে যা পারেন দোয়া পড়ুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

১.কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ: কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ বা অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান সুস্থ ঘুমের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। এমন পরিবেশে ঘুমালে কারো পক্ষে ভালোভাবে ঘুমানো সম্ভক নয়।

২.অনিয়মিত জীবনযাপন: অনিয়মিত জীবনযাপন করলে ঠিকমতো ঘুমানো সম্ভব নয়। এমন অনেকেই আছেন যারা কোনো কাজই রুটিন অনুযায়ী করেন না। তাদের পক্ষে এ সমস্যাটি বেশি হয়।

৩.মাদকদ্রব্য সেবন: অতিরিক্ত পরিমাণে মাদকদ্রব্য সেবন বা উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন দ্রব্য সেবন করলে সুস্থ ঘুম সম্ভব নয়।

৪.শারীরিক তাপমাত্রা: শরীরের তাপমাত্রা ঠিক না থাকলে শরীরের ভেতর অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

৫.ব্যস্ত মন: সব কিছুকে বেধে রাখা গেলেও মানুষের মনকে বেধে রাখা সম্ভব নয়। এজন্য দেখা যায় অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থাকার পরও ঘুম আসে না।

সম্প্রতি অন্য আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ছোটবেলায় শিশুদের নিয়মিত না ঘুমাতে দিলে ভবিষ্যতে তাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা না ঘুমালে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ