ইসলামে শুধু অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের চূড়ান্ত রূপটাই যিনা নয়। বরং যেসব কাজ যিনার প্ররোচনা দেয় সেগুলোও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং তাও যিনা বলে গণ্য।
এক হাদীসে আছে-
الْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ.
চোখের ব্যভিচার হল দেখা। কানের ব্যভিচার শোনা। জিহ্বার ব্যভিচার বলা। হাতের ব্যভিচার ধরা। পায়ের ব্যভিচার হাঁটা। মন কামনা করে আর লজ্জাস্থান তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৫৭
অর্থাৎ চোখ-কান-হাত-পা-জিহ্বা সবই যিনা করে- যিনার প্ররোচনা দেয়, যা পূর্ণতা পায় লজ্জাস্থানের মাধ্যমে। সুতরাং এসব অঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষত চোখের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকা চাই। যেসব জিনিস দেখা নাজায়েয সেগুলো থেকে দৃষ্টিকে হেফাজত করতে হবে (যেমন বেগানা নারী, পর-পুরুষ, অশ্লীল ছবি ইত্যাদি)।
অতএব -প্রেমের কারণে এটি মারাত্মকভাবে ঘটে৷
★হাদিসে আছে -দুনিয়ার মহব্বত ও মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীনতার দ্বারা শত্রুর দিল হতে ভয়-ভীতি দূর করে দেয়া হয়।(সুতরাং -অবৈধ প্রেমও দুনিয়ার মোহাব্বত৷)
★এর ফলে লজ্জা-শরম, হায়া কমে যায়।
★এর ফলে নানা রকম বালা-মুসীবতে পড়ে অন্তরে পেরেশানী স্থায়ী হয়ে যায়।
★হাদিসে এসেছে-গুনাহ করার ফলে রুজি রোজগারে বরকত কমে যায়।অভাব লেগে থাকে৷
★এই মারাত্মক নির্লজ্জ কাজ-কর্মে প্লেগ এবং এরূপ কঠিন রোগের আবির্ভাব ঘটে যা পূর্বে ছিল না।(এইডস এর মতো মারাত্মক রোগও হয়৷)