যারা নিয়মিত ওয়াক্তের সালাত আদায় করে না কিন্তু রমজান মাসে সাওম পালন করে এবং ওয়াক্তের সালাত ও তারাবীহ পড়লে তাদের তারাবীহ কবুল হবে। কোনো বান্দা যদি তার ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় আল্লাহর ফরজ করা ইবাদতগুলো যথাযথ আদায় করে তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করবেন। এবং বান্দার পূর্বের আমলগুলোও কাজে আসবে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস প্রমাণ করে যে, কোনো বান্দা যদি আকাশ সম গুনাহ নিয়ে আল্লাহ দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনা করে আল্লাহ তার প্রতি আকাশসম ক্ষমা নিয়ে এগিয়ে আসে। আর যারা আগে নামাজ পড়ত না কিন্তু এখন নামাজ পড়ে তাই তাদের জীবনে অনেক কাজা নামাজ আছে তা তাদের তারাবীহ নামাজ পড়তে হবে। এবং কাজা নামাজ এর জন্য তওবা করতে হবে, কেননা, জীবনের যত ওয়াক্ত নামাজ কাজা হয়েছে তার হিসাব বের করে তা আদায় করা বড়-ই কঠিন। এজন্য আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১ আয়াত) অর্থাৎ তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের নিকট (পাপের জন্য) ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর। (সূরা হূদঃ ৩) তারাবীহ এর নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ আদায় না করলে অবশ্যই গুনাহ হবে। তাই তারাবীহ নামাজ পড়তে হবে এবং কাজা নামাজ এর জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত।