আমি টিভিতে দেখেছি মক্কা শরিফের ইমামেরা তারাবীর নামাজ পড়ানোর সময় বুকের ওপর হাত বাঁধে।আবার মদিনা শরিফের ইমামেরা তারাবী নামাজ ৮ রাকাত পড়ায়, যেখানে মক্কা শরিফে ঠিকই ২০ রাকাত নামাজ পড়ায়।এগুলোর সঠিক কারণ কি? অবশ্যই রেফারেন্স সহ উত্তর দিবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
FazlaY

Call

আপনি বড় কোন আলেমের কাছ থেকে সঠিক জানতে পারবেন।তাই তাদের কাছে যান এবং জিজ্ঞেস করেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তারাবীহ নামাজ কত রাকআত এটি একটি ইখতিলাফী অর্থাৎ মতবিরোধপূর্ণ মাসআলা। কেউ বলেছেন ৩৯ রাকআত (তারাবীহ ৩৬ + বিতর ৩) কেউ বলেছেন ২৯ রাকআত (তারাবীহ ২৬ + বিতর ৩) কেউ বলেছেন ২৩ রাকআত (তারাবীহ ২০ + বিতর ৩) কেউ বলেছেন ১৯ রাকআত (তারাবীহ ১৬ + বিতর ৩) কেউ বলেছেন ১৩ রাকআত (তারাবীহ ১১ + বিতর ৩) কেউ বলেছেন ১১ রাকআত (তারাবীহ ৮ + বিতর ৩) ২০ রাকআত তারাবীহ সালাতের পক্ষে দলীলঃ বিতর ছাড়া ২০ রাকআত তারাবীহ সালাতের পক্ষে দলীল হল মুসান্নাফে আঃ রায্যাক হতে বর্ণিত ৭৭৩০ নং হাদীস, যেখানে বর্ণিত হয়েছেঃ উমার (রাঃ) রমযানে উবাই ইবনে কাব ও তামীম আদদারীকে ইমামতিতে লোকদেরকে একুশ রাকআত সালাতের প্রতি জামাআতবদ্ধ করেছিলেন। (অর্থাৎ তারাবীহ ২০ ও বিতর ১ রাকআত) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর রাতের সালাত ছিল ১৩ রাকআত। (বুখারীঃ ১১৩৮; মুসলিমঃ ৭৬৪) আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ও অন্য সময়ে (রাতে) ১১ রাকআতের অধিক সালাত আদায় করতেন না। (বুখারীঃ ২০১৩; মুসলিমঃ ৭৩৮) অর্থাৎ তারাবীহ ৮ রাকাআত এবং বিতর ৩ রাকাআত। ইবনে ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, উমার ইবনু খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু (তার দুই সঙ্গী সাহাবী) উবাই ইবনে কাব তামীম আদদারীকে এ মর্মে নির্দেশ দিলেন যে, তারা যেন লোকদেরকে নিয়ে (রমযানের রাতে) ১১ রাকআত কিয়ামুল্লাইল (অর্থাৎ তারাবীহর সালাত) আদায় করে। (মুয়াত্তা মালেকঃ ১/১১৫) উল্লেখ্য যে, সৌদী আরবের মসজিদগুলোতে তারাবীহ ও বিতর মিলে ১১ বা ১৩ রাকআত পড়লেও মাক্কার হারামে ও মাদ্বীনার মসজিদে নববীতে তারাবীহ ২০ এবং বিতর ৩ মিলিয়ে মোট ২৩ রাকআত পড়ে থাকে। এর কারন আগেই বলেছি তারাবীহ নামাজ কত রাকআত এটি একটি ইখতিলাফী অর্থাৎ মতবিরোধপূর্ণ মাসআলা। অর্থাৎ দুই রকমের হাদিস-ই পাওয়া যায়। তদুনুরুপ বুকের ওপর বা নাভির নীচে হাত বাঁধাও ইখতিলাফী অর্থাৎ মতবিরোধপূর্ণ মাসআলা। তো হাত যেখানেই বাঁধা হোক না কেন নামাজ হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ