অসুস্থতার কারণে বাড়িতে নামায পড়লেও নামায হবে। এবং বাড়িতে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি ও দোয়া করলেও আল্লাহ তা কবুল করবে। তবে জামাআতের সঙ্গে ফরয নামায পড়ার যে (২৫ বা ২৭) গুণ নেকী বেশী তা থেকে বঞ্চিত হবেন। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের জামাআতের সঙ্গে নামায পড়ার নেকী, তার বাজারে ও বাড়ীতে নামায পড়ার চেয়ে (২৫ বা ২৭) গুণ বেশী। আর তা এ জন্য যে, যখন কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে এবং সালাতই তাকে মসজিদে নিয়ে যায়, তখন তার মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা উন্নত হয় ও একটি পাপ মোচন করা হয়। (রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ১১ হাদিসের মানঃ সহিহ) তবে নফল সালাত যেকোন সময় বাড়িতেই আদায় করা উত্তম। আবদুল্লাহ ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, নফল সালাত আমার ঘরে পড়া ভালো, না মসজিদে পড়া ভালো? তিনি বললেন, তুমি দেখছ না আমার ঘর কত নিকটে, তা সত্ত্বেও ফরয সালাত মসজিদে পড়া ছাড়া অন্যান্য সালাত আমি ঘরে পড়াই উত্তম মনে করি। (সহীহ শামায়েলে তিরমিযী, হাদিস নম্বরঃ ২২৩ হাদিসের মানঃ সহিহ)।