নিউক্লিক এসিড দুই ধরনের।যথা: DNA (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) এবং RNA (রাইবো নিউক্লিক এসিড) ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান হলো DNA. সাধারণত ক্রোমোজোমের DNA জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যে প্রকৃত ধারক এবং জীবদেহের বৈশিষ্ট্যগুলো পুরুষাণুক্রমে বহন করে।তাই বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী DNA এর আংশকে জিন নামে অভিহিত করা হয়।সুতরাং DNA হলো ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনের রাসায়নিক রূপ।
প্রথম প্রশ্নঃ নিউক্লিওটাইড হচ্ছে ৫ কার্বন বিশিষ্ট একটি শ্যুগার। এতে ফসফেট গ্রুপও থাকে। এর সাথে এডেনিন যুক্ত হলেই গঠিত হয় একটি নিউক্লিওসাইড । শ্যুগারের অং অংশ ডি-অক্সি রাইবোজ এবং এডেনিন একত্রে একটি নিউক্লিওটাইড গঠন করে। একাধিক নিউক্লিওটাইড যুক্ত হয়ে গঠন করে পলিনিউক্লিওটাইড। এখন আপনার জিজ্ঞাস হচ্ছে দুই দূত্র বিশিষ্ট বিষয়ঃ আপনি নিশ্চয় "মই" দেখেছেন? মইতে কি থাকে ? দুই পাশে দুটি বাশের লম্বা হাতল থাকে আর দুই বাশের মধ্যে সিড়ির মত পাদানি থাকে তাইনা? তো এখানে ডিএনএ ঠিক এই রকম। মই এর বাস এর মত দুটি লম্বা সুত্র থাকে ডিএনএ তে।তাই একে দ্বি-সুত্রক বলে। আর এই সুত্র দুটো তৈরি হয় পলিনিউক্লিওটাইড শ্যুগ্যার দ্বারা। তবে মই এর সাথে ডিএনএ এর পার্থক্য হচ্ছে ডিএনএ টি প্যাচানো।( ধরুন মইকে মোচড় দিয়ে আপনি যদি সুতা পাকানোর মত পাকাতে চাইতেন, তবে কয়েকটা পাক দিলে মই প্যাচ খেয়ে যেরকম হত, ডিএনএ টা সেইরকম) দ্বিতীয় প্রশ্ন ডাবল হেলিক্সঃ ডাবল হেলিক্স নতুন কিছু নয়। আমি উপরে মই এর সাথে তুলণা করে যা বললাম ঐ একই কথা একটু ভিন্ন ভাবে বললে একই বিষয়কে ডাবল হেলিক্স হলা হবে। মই এর দুই লম্বা বাশ এর কথা বললাম। আপনি যখন মই বেয়ে উপরে ওঠেন তখন দুই পাশের বাশ দু হাতে ধরে মাঝ খানের পাদানি বা সিরিতে পা দিয়ে বেয়ে ওঠেন তাইনা? যেহেতু বাশটি হাত দিয়া ধরেন, এবং এই বাশ মাঝখানের পাদানি বা সিড়ি গুলো ধরে রাখে তাই একে অনেকে হাতল বলেন। তাহলে দু পাশের দুই বাশ হচ্ছে হাতল । আর প্যাচ খেয়ে স্প্রিং এর মত গঠন করে বা আপনি যখন ৫ তলা বিল্ডিং এ সিড়ি বেয়ে ওঠেন তখন একটু কল্পনা করুন নিচ থেকে উপর পর্যন্ত সিড়িটি একটা নির্দিষ্ট সার্কেলে পেচিয়ে উপরে উঠে গেছে তাইনা? আর সিড়ির পাশে হাতল থাকে। তো আপনি যখন একটি তলার অর্ধেক ওঠেন তখন সিড়ির স্থানটা ঘুরে যায় তাইনা? এই ঘুরানো অংশটা সার্কেলের কেন্দ্র থেকে দূরে থাকে। আর মনে হলে এটি দূরে হেলানো। এই অবস্থায় হাতল দুটিকে হেলিক্স বলে বোঝানো হয়। কাজেই ডিএনএ এর শ্যুগার দ্বারা গঠিত সূত্রে প্যাচানো ভাবকে ডাবল হেলিক্স বলে। ডাবল মানে দুটি সুত্র একত্রে সমদুরত্বে থেকে প্যাচ খায় তাই এক দুজনের প্যাচ একত্রে ডাবল। তৃতীয় প্রশ্নের বিষয়ঃ আপনি সরল রেখা দেখেছেন, একেছেন তাইনা? আমরা যখন রেখা বা রেখাংশ আকাই তখন নাম দেই a,b(a ও b) তাইনা? এখন আবারও ধরুন আপনিতো কেমিষ্ট্রিতে উভয়মুখী বিক্রিয়া দেখেছেন তাইনা? এখানে চিহ্নটা হচ্ছে দুটি তীর চিহ্ন বিপরীত ভাবে বসে। ধরুন উপরের তীরের ফলার দিকটা ডান পাশে একে আমরা নাম দেবো ৩-৫ মূখী । তাহলে নিচের তীর টি কেমন বলেনতো? অবশ্যই তীরের ফলাটা বাম দিকে হবে তাইনা? তাহলে এর নাম কি হবে? অবশ্যই ৫-৩ মুখী হবে তাইনা? কারন প্রথম নামের ক্ষেত্রে তীরের শুরু টা রেখাংশের a এর পরিবর্তে ৩ লিখেছি। আর ডান পাশে তীরের ফলার দিকটা b এর বদলে ৫ লিখেছি তাহলে আমরা বলতে পারি দুটি বিপরীত মুখী তীর দ্বারা উভয়মুখী বোঝানো হয়ে। ঠিক এই রুপ ডিএনএ এর যে বাশ বা হাতল বা সূত্রের কথা বললাম সেই বাশ দুটো বা সূত্রকে আমরা তীরের মত নাম দেবো ৩-৫ মূখী ( কারনঃ প্রকৃত অর্থে ৩ নাম্বার কার্বন থেকে ৫ নাম্বার কার্বন মুখী) অতএব উভয় মুখী তীরের মত সুত্র দুটির একটি ৩-৫ মুখী হলে অপরটি হয় ৫-৩ মুখী। ঠিক যেন উভয় মূখী তীর চিহ্ন। তাই একে পলিনিউক্লিওটাইড বিপরীত মুখী অবস্থান বলে। পলিনিউক্লিওটাইড নিয়া কনফিউজ নাতো এখানে সুত্র দুটি পলিনিউক্লিওটাইড দিয়া তৈরি যা আগেই বলেছি তাই পলিনিউক্লিওটাইড বলা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পারছেন।