রাতে ঘুমানোর নিম্নে কিছু নিয়ম দেখুন। ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে সতেজ লাগবে। দিনের বেলা না ঘুমানোই ভালো। ঘুমালেও বিকেল তিনটার পর ২০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না। জীবনযাপনের সব ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চললে দেখবেন ঘুম চলে আসছে। শোবার বিছানায় পড়া, টিভি দেখা, লেখা, ফোনে কথা বলা নয়। দুপুরে খাবারের পর থেকে ক্যাফেইন-জাতীয় ও পানীয় নয়। অর্থাৎ চা-কফি, চকলেট নয়। ধূমপান ও অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে। খিদেপেটে শুতে যাবেন না, আবার ভরপেটেও যাবেন না শুতে। নিয়মিত ব্যায়ামে ঘুম আনে। দিনে আধঘণ্টা ব্যায়াম যথেষ্ট। দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা। শুতে যাওয়ার আগে আগে ব্যায়াম নয়। ব্যায়াম দিনের প্রথম দিকে বা বিকেলে। দিনে যত পারেন দিনের আলো লাগাবেন শরীরে, আলো যেন ঢোকে বাসগৃহে, অফিসঘরে।
মূলত আমাদের মানষিক সমস্যার ফলে ঘুম কম ধরে।বিভিন্ন ধরনের দুঃশ্চিন্তা,মোবাইলে বেশি সময় কাটানো,নিয়মিত গোসল না করা ,পরিশ্রম কম করা ইত্যাদি কারণে ঘুম কম হয়।তাই আপনি দুঃশ্চিন্তা পরিহার করুন,নিয়মিত গোসল করুন,ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করুন,প্রতিদিন ব্যায়াম করুন তাহলেই আপনার ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে হতে পারে।
কী করবেন: রাতে ঘুম আসছে না বলে ল্যাপটপ বা মোবাইলে মুখ গুঁজে বসে থাকবেন না। তাতে ঘুমের আরও বেশি সমস্যা হবে। বরং বই পড়তে পারেন, মৃদু শব্দে গানও শুনতে পারেন। যেসব গ্যাজেট থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়, ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে থেকে সেসব দূরে রাখুন। যারা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান এবং ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের সাধারণত ঘুমের সমস্যা তেমন ভোগায় না। মাঝে-মধ্যে রুটিনের এদিক-ওদিক হতে পারে, কিন্তু নিয়ম ভাঙাটাকেই অভ্যেসে পরিণত করলে মুশকিল। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে নিন। রাতে খুব ভারী কিছু না খাওয়াই ভালো।বিশেষ করে যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আছে, তারা হালকা খাবার খান। রাতে শুতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। তাতে ঘুম ভালো হয়। কী করবেন না: দিনেরবেলা ঘুমোনোর অভ্যেস করবেন না। তাতে রাতে ঘুম আসতে দেরি হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন সেবন করবেন না। ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। ধূমপান ঘুম আসতে দেয় না চট করে।