জোয়ার ভাটার কারন হচ্ছে পৃথিবীর উপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষন। যখন সুর্য-চন্দ্র-পৃথিবী একই সরল রেখায় থেকে পৃথিবীকে আকর্ষন করে তখন সমুদ্রের পানি এই আকর্ষনে ফুলে উঠে এবং এই ফুলে ওঠা পানি পরে দুই পাশে পাহাড়ের চুড়া থেকে নামার মত করে নেমে প্রবাহিত হয়ে নদীতে চলে আসে ফলে জোয়ার হয়। একে বলে তেজ কটাল। আবার আরও কিছু সময় পর সমুদ্রের পানি আকর্ষন হারিয়ে নিচে নেমে যায় তখন চারপাশের পানি আবার নদী থেকে চলে যায় একে ভাটা বলে। জোয়ার দুই প্রকার। ১। চন্দ্রের সম্মুখ দিকে ফুলে ওঠাকে মুখ্য জোয়ার বলে.২। মুখ্য জোয়ারের বিপরীত দিকেও একটি জোয়ার সৃষ্টি হয় এটা গৌন জোয়ার বলে। আবার সূর্য-পৃথিবী ও চন্দ্র যখন ৯০ ডিগ্রি কোনে অবস্থান করে তখন চন্দ্রের দিকে পানি ফুলে উঠে জোয়ার সৃষ্টি করতে চাই , একই সাথে সুর্য লম্বভাবে আকর্ষন করায় চাদের আকর্ষের প্রবল্য কমে যায় ফলে সামান্য জোয়ার ঘটে একে মরা কটাল বলে। (সংক্ষেপিত)
পৃথিবীর উপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণবল ও পৃথিবীর নিজের গতির প্রভাবেই জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয়।। চন্দ্র ও সূর্য অবিরাম আমাদের পৃথিবীর জল ও স্থলভাগকে আকর্ষণ করে।তাই যখন এই আকর্ষণ বলের মান বেড়ে যায় তখন সমুদ্রের পানির উচ্চতাটা একটু উপরে উঠে যায়।যাকে আমরা জোয়ার বলে থাকি।আর যখন আকর্ষণবলের মান কমে যায় তখন পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু নিচে নেমে যায়।যাকে আমরা ভাটা বলি।
জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির কারন হল চন্দ্র এবং সূর্য । চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে , আর পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে । চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর জল ও স্থল্ভাগকে অবিরাম আকর্ষণ করে । এর ফলে নির্দিষ্ট সময় পর পর কোন স্থানে ভূপৃষ্ঠের পানি ফুলে উঠে । এমন সময় চন্দ্র, পৃথিবী এবং সূর্য যখন একই সমান্তরালে অবস্থান করে ঠিক তখনই ভূপৃষ্ঠের পানি ফুলে ওঠে । এভাবে ভূপৃষ্ঠের পানির ফুলে অঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে ।