Call

মেয়ের সম্মতিতে রেজিস্ট্রেশন বিহীন বিয়ে ইসলামে বৈধ। তবে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের গুরুত্ব অনেক। রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে বিয়ের একটি প্রামাণ্য দলিল। মুসলিম বিবাহ ও তালাক 'নিবন্ধিকরন' আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী বিয়ে অবশ্যই আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই তৎক্ষণাৎ রেজিস্ট্রি করতে হবে। অপরদিকে একজন নিকাহ রেজিস্টার ছাড়া অন্য কেউ যেমন কোনো মাওলানা বা হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বর বিয়ে যেদিন হবে সেদিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্টার এর কাছে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার দায়দায়িত্ব স্বামীর। এক্ষেত্রে স্বামী বিয়ে রেজিস্ট্রি না করলে বা তার দায়িত্ব পালন না করলে দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়বিধ শাস্তি হতে পারে। কতদিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করবে রেজিস্ট্রেশনের সময়ঃ রেজিস্ট্রেশন বিয়ের দিন করা সব থেকে যুক্তিযুক্ত। এতে করে পরবর্তীতে কোনো বাড়তি ঝামেলা যদি হয় সেটি থেকে মুক্ত থাকা যায়। তবে আমাদের দেশে আইন অনুযায়ী বিয়ের দিন অথবা বিয়ের ৩০ দিনের মাঝে রেজিস্ট্রি করা যায়। বিয়ের দিন কোনো কারণে রেজিস্ট্রি করা না হলে অনেক সময় পরে কাজি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়ে ওঠে না। তাই যখনই বিয়ে পরানো হবে সেই সাথে সাথেই রেজিস্ট্রি করে ফেলা ভালো। বিয়ে রেজিস্ট্রি করলে যে সুবিধা গুলো পাওয়া যায়ঃ যেহেতু বিয়ের একমাত্র লিখিত প্রমান বা ডকুমেন্ট হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন, সেহেতু বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় এর প্রয়োজন হয়। এমনও হতে পারে যে বিয়ে বৈধ না অবৈধ বা বিয়ে নিয়ে কোনো সন্দেহ দেখা দেয় সেক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন বিয়ের শক্ত একটি প্রমান হিসাবে কাজ করে। বিয়ের পরে বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন স্ত্রী ও সন্তানকে কোন কারণ ছাড়া ভরণপোষণ না দিলে, স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে আরেকটি বিয়ে করলে বা স্ত্রীকে তালাক দিলে, দেনমোহর থেকে বঞ্চিত করলে, প্রতারণা করে বিবাহিত থাকা অবস্থায় আর কাউকে বিয়ে করলে। এসব ক্ষেত্রে স্ত্রী আদালতে কোন নালিশ করতে চাইলে প্রথমেই বিয়ের প্রমান হিসাবে রেজিস্ট্রিকৃত নিকাহনামা আদালতে জমা দিতে হবে। কেউ নিজের বিয়ে ইচ্ছামতো অস্বীকার করতে চাইলেও বিয়ে রেজিস্ট্রি করে রাখার কারণে তা পারবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ