স্বামীদের তালাক দেওয়ার অধিকার ইসলাম স্ত্রীদের দেয়নি। তালাকের অধিকার মূলত পুরুষদের বা স্বামীদের দেওয়া হয়েছে। তবে স্ত্রী যেকোন সময়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবার অধিকার রাখে। যাকে শরীআতে খোলা বলে। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের পক্ষে তাদেরকে দেয়া মালের কিছুই ফিরিয়ে নেয়া জায়িয হবে না, কিন্তু যদি তারা উভয়ে আশঙ্কা করে যে তারা আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না তাহলে অন্য ব্যবস্থা। অতঃপর যদি তোমরা উভয় পক্ষের শালিসগণ আশঙ্কা কর যে উভয়পক্ষ আল্লাহর আইনসমূহ ঠিক রাখতে পারবে না, তাহলে উভয়ের প্রতি কোন গুনাহ নেই যদি কোন কিছুর বিনিময়ে স্ত্রী নিজেকে মুক্ত করতে চায়। এগুলো আল্লাহর আইন, কাজেই তোমরা এগুলোকে লঙ্ঘন করো না, আর যারা আল্লাহর আইনসমূহ লঙ্ঘন করবে, তারাই যালিম। (সূরাহ আল-বাক্বারাঃ ২২৯) অতঃপর খোলা তালাকের কথা বলা হচ্ছে- খোলা তালাক হল স্ত্রী স্বামী থেকে পৃথক হতে চাইলে স্ত্রী তার স্বামী কর্তৃক প্রদত্ত মোহরানা ফিরিয়ে দেবে। তবে তা অবশ্যই শরীয়তসম্মত কোন কারণ থাকতে হবে। যেমন স্বামী সালাত আদায় করে না, স্ত্রীকে বেপর্দা হয়ে চলতে বাধ্য করে ইত্যাদি। এমতাবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীকে পৃথক করে দিতে না চায়, তাহলে আদালত স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করবে। যদি তালাক না দেয় তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দেবে। অর্থাৎ খোলা তালাকের মাধ্যমে হতে পারে বা বিবাহ বিচ্ছেদ করার মাধ্যমেও হতে পারে। উভয় অবস্থায় ইদ্দত হল এক মাস। (তিরমিযীঃ ১১৮৫, আবূ দাঊদঃ ২২৩৯, সহীহ) মহিলাকে এ অধিকার দেয়ার সাথে সাথে এ কথার ওপর শক্ত তাকীদ দেয়া হয়েছে যে, কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া সে যেন তার স্বামীর কাছে তালাক কামনা না করে। যদি সে রকম হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে মহিলা তার স্বামীর কাছে কোন সমস্যা ছাড়া তালাক চাইবে তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধি পর্যন্ত হারাম। (তিরমিযীঃ ১১৮৭, আবূ দাঊদঃ ২২২৬)
ইসলামী শরীয়ত স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অধিকার দেয়নি। তবে যদি স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক তালাক গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয় তাহলে সে স্বামীর পক্ষ থেকে নিজের উপর তালাক গ্রহণ করতে পারবে। অতএব স্ত্রী যদি স্বামীকে শতবার তালাক দেয় তাহলে ইসলামে এ তালাক তালাক হিসেবে গণ্য হবে না। মুসলমানদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ আইন কার্যকর হবে না।