এই সমস্যা টা বর্তমানে প্রকট রুপ ধারণ করেছে! প্রথমে-ই সেই বউ কে বুঝাতে হবে যদি তোমার নিজের ভাই বিয়ে করার পর তোমার ভাবী এমনটা চাইতো তাহলে কি তুমি সেটাতে রাজী হতে? অথবা তেমনটা যদি তোমার ভাই ভাবীর কথা শুনে করতঃ তুমি সেটাতে সম্মতি দিতে....?? এভাবে বোঝালে সেই স্ত্রী তার ভুল বুঝতে পারবে,স্বামী বিষয়টা নিয়ে তার শ্বশুর শ্বাশুড়িকে জানাতে পারেন৷ যেন তারা তাদের মেয়েকে এটি বুঝান যেন সে তার শ্বশুর শ্বাশুড়িকে নিজের মা-বাবার মত দেখে এক সাথে থাকে৷ যদি নিতান্ত-ই স্ত্রী রাজী না হয় তাহলে তাকে কিছু দিনের জন্য তার বাপের বাড়িতে রেখে আসুন,হয়ত ভুল ভাঙবে৷ যদি এটাতেও কাজ না হয় তাহলে বৌ এর কথা মত চলে নিজেদের মা বাবাকে কষ্ট দিতে আমি কখনও বলব না৷ কেননা প্রত্যেক মা বাবা চায় তাদের সন্তান বিয়ের পরে তাদের সাথে থাকুক,আর সাধারণত মা-বাবা তখন বৃৃৃদ্ধ বয়সে পৌছে যায়৷ বিষয়টা আমার ব্যক্তিমত মতামত,ইসলামি দৃৃৃষ্টি ভঙ্গি আসলে কি ফায়সালা দেয় সেটি আমি জানি না৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

উপরোক্ত পরিস্থিতিতে স্বামির উচিত হলঃ নিজের স্ত্রী কে ভালোভাবে বুঝিয়ে বাবা মা সহ সকলে একত্রে থাকা খাওয়া দাওয়া করা ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিবাহের পর নারীদের কর্তব্য হলো স্বামীর কথামত চলা। বৈধ কর্মে ও আদেশে স্বামীর আনুগত্য করা। কেননা স্বামী সংসারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সংসার ও দাম্পত্য বিষয়ে তার আনুগত্য স্ত্রীর জন্য জরুরী। স্ত্রী সাধারণতঃ স্বামীর চেয়ে বয়সে ছোট হয়। মাতৃলয়ে মা-বাবার আদেশ যেমন মেনে চলতে ছেলে-মেয়ে বাধ্য, তেমনি শশুরালয়ে স্বামীর আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলাও স্ত্রীর প্রকৃতিগত আচরণ। তাছাড়া ধর্মেও রয়েছে স্বামীর জন্য অতিরিক্ত মর্যাদা। অতএব সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলতা বজায় রাখতে বড়কে নেতা মানতেই হয়। তবে অন্যায় ও অবৈধ বিষয়ে অবশ্যই স্বামীর আনুগত্য অবৈধ। কারণ যাদেরকে আল্লাহ কর্তৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে অবৈধ ও অন্যায় কর্তৃত্ব দেননি। কেউই তার কর্তৃত্ব ও পদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করতে পারে না। তাছাড়া কর্তা হওয়ার অর্থ কেবলমাত্র শাসন চালানোই নয়। বরং দায়িত্বশীলতার বোঝা সুষ্ঠুভাবে বহন করাও কর্তার মহান কর্তব্য। যে নারী স্বামীর একান্ত অনুগতা ও পতিব্রতা সে নারীর বড় মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে। শ্রেষ্ঠ রমণী সেই, যার প্রতি তার স্বামী দৃষ্টিপাত করলে সে তাকে খোশ করে দেয়, কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং তার জীবন ও সম্পদে স্বামীর অপছন্দনীয় বিরুদ্ধাচরণ করে না। স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্যাদা বিরাট। এই মর্যাদার কথা ইসলাম নিজে ঘোষণা করেছে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, স্ত্রীর জন্য স্বামী তার জান্নাত অথবা জাহান্নাম। যদি আমি কাউকে কারো জন্য সিজদা করতে আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। অন্যথায় সীমাহীন কষ্ট ও অবর্ণনীয় যাতনা সহ্য করে মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। মৃত্যু যন্ত্রণা পার হয়ে যখন সন্তান ভূমিষ্ট হয় তখন এ নবজাতককে ঘিরে মায়ের সব প্রত্যশা উঁকি মারতে থাকে। মা পরম আদর আর সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে ঘিরে রাখে সারাক্ষণ। যত বিপদই আসুক না কেন মা যদি বুকের সাথে চেপে ধরে কিংবা স্নেহ মাখা দৃষ্টিতে একবার তাকায় তাহলে সব কষ্ট যেন নিমিষেই উধাও হয়ে যায়- এই হলো মা। পরম মমতাময়ী মা। আর পিতা? তিনি সন্তানের আহার জুটাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। সহ্য করেন নানা ধরনের কষ্ট এবং ক্লেশ। দুনিয়ার প্রতিটি বাবা সন্তানের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য যে কোনো ধরণের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। আর এসব কারণে আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটি ধাপ, পদক্ষেপ পিতা-মাতার নিকট ঋণী। উপরের আলোচনা গুলি এজন্য-ই করা যে বৈধ কর্মে স্বামীর আনুগত্য করা-ই স্ত্রীর দায়িত্ব। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায় বিবাহের পর পর-ই ভিন্ন সংসার গড়ার জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথার কাটাকাটি। এক সময় পিতামাতা কথা অমান্য করে তাদের ফেলে ভিন্ন সংসার মুখী হয়। এমন কাজ করা মোটেই উচিত নয়। হাদিসে এসেছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, পিতা- মাতার সন্তুষ্টির ওপরগই আল্লাহর সন্তুষ্টি আর পিতা-মাতার অসন্তষ্টির ওপরই আল্লাহর সন্তুষ্টি নির্ভর করছে। হাদিসে আরও বলা হয়েছে, পিতা- মাতার অবাধ্য সন্তানের প্রতি আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তাকাবেন না। আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তাই বলবো ইসলামে, কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকতে চায় কিন্তু স্বামীর পিতামাতা তাদের সাথেই থাকতে চায় তখন স্বামীকে পিতামাতার কথা শুনতে হবে। এক্ষেত্রে পিতামাতার কথাকেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। বিস্তারিত শুনুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=tJEoZUDVvcc

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ