তালাকের অধিকার মূলত পুরুষদের বা
স্বামীদের দেওয়া হয়েছে। নারীরা তালাক দিতে পারে না।
তবে একটি বিষয় ইসলামে অনুমোদন দেওয়া আছে। সেটা হলো যদি কোনো কারণে
কোনো স্ত্রী মনে করেন যে তাঁর হক নষ্ট
হচ্ছে অথবা তাঁর ওপর জুলুম করা হচ্ছে
অথবা ব্যক্তিগত কোনো কারণে এখানে
সংসার করতে চাচ্ছেন না, সে ক্ষেত্রে
স্ত্রীর জন্য জায়েজ আছে স্ত্রী স্বামীর
সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে খোলা
করতে
পারবেন। খোলাও এক প্রকার তালাকই।
কিন্তু সেটা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে
আলোচনা করে দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে
নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া, মুক্ত
করে নেওয়া।
আরেকটি সুযোগ হচ্ছে, যদি স্বামী খোলা
করতে রাজি না হন এবং তালাকের ক্ষমতা
যেহেতু স্বামীর হাতে, তখন স্ত্রীকে এর
থেকে বড় ক্ষমতার দিকে যেতে হবে।
সেটি হলো, স্ত্রী তাঁর এ বিষয়টি নিয়ে
আদালতে যাবেন এবং স্ত্রীর যে
অধিকারগুলো নষ্ট হচ্ছে, সেগুলো
আদালতে পেশ করবেন। আদালত তখন তাঁর
স্বামীকে তলব করে জানতে চাইবেন, এই
অভিযোগগুলো সত্য কি না এবং স্বামী
যদি তা স্বীকার করেন, তখন আদালত এই
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের
নির্দেশ দেবেন। তখন আর স্বামী বা
স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকের প্রয়োজন
হবে না।