ফোনে কোন স্ত্রী তার স্বামী কে তালাকের উদ্দেশ্যে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক একসাথে বললে কি তালাক হবে ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হ্যা তালাক হয়ে গেছে।।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আমার মনে হয় না।তালাক দেয়া হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রকৃতপক্ষে ঠাট্টাচ্ছলে বা রাগের মাথায় তালাক দেওয়া সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ  করেছেনঃ আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে বললেও এবং ঠাট্টাচ্ছলে বললেও যথার্থ বলে বিবেচিত হবেঃ বিয়ে, তালাক ও রাজআত (তালাক প্রত্যাহার)। (সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১১৮৪) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে পর্যন্ত আমার উন্মাত কোন মনের কথা প্রকাশ না করে অথবা সে অনুযায়ী কাজ না করে, সে পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তা উপেক্ষা করেন বা ক্ষমা করেন। (সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১১৮৩) আপনি যদি সত্যিই তালাকের নিয়্যাত করে থাকেন সেক্ষেত্রে ফোনে বললেও তালাক পতিত হবে। তবে সাক্ষী থাকতে হবে। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে মনে বলা কথা উপেক্ষা করেছেন, যাবত না সে তদনুযায়ী কাজ করে অথবা মুখে উচ্চারণ করে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ২০৪০)  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তালাকের বিষয়ে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন পরিষ্কার ভাবে কোরআনে বলেছেন

মহান আল্লাহ বলেন,

﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ وَاتَّقُوا اللهَ رَبَّكُمْ لا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلا يَخْرُجْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ وَتِلْكَ حُدُودُ اللهِ وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ لا تَدْرِي لَعَلَّ اللهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْراً﴾


‘‘হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তখন ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে তালাক দিও, ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো। তোমরা ওদেরকে সবগৃহ হতে বের করো না এবং ওরাও যেন সে ঘর হতে বের না হয়; যদি না ওরা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। এ হল আল্লাহর বিধান, যে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে, সে নিজেরই উপর অত্যাচার করে। তুমি জান না, হয়তো আল্লাহ এরপর কোন উপায় বের করে দেবেন।’[3]

মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ إِذَا تَرَاضَوْا بَيْنَهُمْ بِالْمَعْرُوفِ﴾
‘‘আর তোমরা যখন স্ত্রী বর্জন কর এবং তারা তাদের ইদ্দতকাল অতিবাহিত  করে  তখন  তাদেরকে  তাদের   স্বামী  গ্রহণ  করতে  বাধা দিও না; যদি তারা আপোসে খুশীমত রাজী হয়ে যায়।
স্ত্রীর মাসিকাবস্থায় তালাক দিলে  স্বামী গোনাহগার হবে এবং সে তালাক গণ্য হবে না। পবিত্রাবস্থায় তালাক দিলেই তবে তা গণ্য হবে। স্ত্রীর মাসিকের খবর না জেনে তালাক দিলে গোনাহগার হবে না এবং তালাকও নয়। পক্ষান্তরে জেনে-শুনে দিলেই গোনাহগার হবে।
এখানে মোবাইল ফোন কোন বিষয় নয়। তালাকের উপরোক্ত কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী তালাক দিয়ে হবে।
শুধু মোবাইলে নয় চিঠির মাধ্যমে তালাক দিলে তা গণ্য হবে। অনুরূপ বোবা যদি ইঙ্গিতে তালাক দেয় তবে তাও গণ্য। অবশ্য লিখতে জানলে তার ইঙ্গিত গণ্য নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ