আল্লাহ বলেনঃ তোমার পালনকর্তা আদেশ করছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবনদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে উহ! শব্দটিও বল না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সাথে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা বল। তাদের সামনে ভালবাসার সাথে নম্রভাবে মাথা নত করে দাও। ( বনী ইসরাঈলঃ ২৩, ২৪ এর অংশ) এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পিতা-মাতার আদব, সম্মান এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে নিজের ইবাদতের সাথে একত্রিত করে ফরয করেছেন। যেমন, অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা নিজের শোকরের সাথে পিতা-মাতার শোকরকে একত্রিত করে অপরিহার্য করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা'আলার ইবাদতের পর পিতামাতার আনুগত্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহ তা'আলার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার ন্যায় পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়াও ওয়াজিব। হাদীসে রয়েছে, কোন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলঃ আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কাজ কোনটি? তিনি বললেনঃ সময় হলে সালাত পড়া। সে আবার প্রশ্ন করলঃ এরপর কোন কাজটি সর্বাধিক প্রিয় ? তিনি বললেনঃ পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার। (মুসলিম) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতা মাতার সন্তুষ্টির মধ্যে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতা মাতার অসন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত। (তিরমিয়ী) তবেঃ- আল্লাহ বলেছেনঃ আমি মানুষকে নির্দেশ দিচ্ছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তবে ওরা যদি তোমার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করতে যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তুমি তাদেরকে মেনো না। (সূরা আল-আনকাবুতঃ ৮) আল্লাহ আরেক জায়গায় বলেনঃ তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সমকক্ষ দাঁড় করাতে যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তুমি তাদের কথা মেনো না, তবে পৃথিবীতে তাদের সাথে বসবাস করবে সৎভাবে। (সূরা লুকমানঃ ১৫) আয়াত দুটির মুল ভাবার্থ ছাড়াও এমন ভাবে ধরে নেয়া যায় যে, পিতা মাতা কন্যাকে এমন ছেলের সাথে বিবাহ দিচ্ছে সে নামাজ কালাম আল্লাহর হকুম কিছুই মানেনা। সে হারাম কাজে লিপ্ত থাকে। এমতাবস্থায় কন্যার বিয়েতে সম্মতি না থাকে এবং সে পিতা মাতার বিরুদ্ধে না বলে এতে তার গুনাহ হবেনা। ইসলামে এমন পরিস্হিতিতে পিতামাতা অসন্তুষ্টি হলেও তাদের বিরুদ্ধে না বলার হুকুম রয়েছে। => কন্যার স্পষ্ট নির্দেশ ব্যতীত বিবাহ দিতে পারে না। যদি সে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয় তবে খানসা বিনতু খিযাম রাদিয়াল্লাহু আনহা এর হাদীসের ভিত্তিতে এই বিয়ে বাতিল।