ইসলামের সালামের সূচনা হয় কিভাবে.?? এবং কিভাবে.?? বিস্তারিত জানতে চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পৃথিবীর আদি থেকেই সালামের প্রচলন হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আঃ) কে তাঁর স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। তাঁকে সৃষ্টি করে আল্লাহ তায়ালা বললেন, যাও ঐ দলটিকে সালাম দাও। তাঁরা হলেন ফেরেশতাদের উপবিষ্ট একটি দল। তাঁরা তোমার সালামের জবাবে কী বলে তা মনোযোগ সহকারে শ্রবন করো। কারণ, তাঁরা যে জবাব দেবে তাই হবে তোমার ও তোমার বংশ ধরদের সালামের জবাব। অতঃপর আদম (আঃ) তাঁদের নিকট গেলেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। ফেরেশতাগণ জবাবে বললেন, আসসালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ। মহানবী (সাঃ) বলেন, তাঁরা ওয়ারাহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করেছেন। রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে আদম (আঃ) এর আকৃতিতেই প্রবেশ করবে এবং তার উচ্চতা হবে ষাট হাত। আদম (আঃ) এর পরবর্তী সৃষ্টির আকৃতি ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে বর্তমান আকৃতিতে পৌঁছেছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- হাদীস নং- ৪৪২১)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
SaponMolla

Call

সালাম অর্থ শান্তি, নিরাপত্তা, অভিবাদন, স্বাগতম, দোষ-ত্রুটি মুক্ত, আনুগত্য প্রকাশ ইত্যাদি। আল্লাহ তা’য়ালার একটি গুণবাচক নাম সালাম। কারণ, তিনি সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র। সালাম ইসলামের একটি অন্যতম শিয়ার বা নিদর্শন। মুসলমানদের পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যম সালাম বিনিময়। ছোট্ট একটি শব্দে নিহিত রয়েছে অনেক মধুময় দরদ, অগণিত মায়া-মহব্বত ও ভালবাসা। সালামের মাধ্যমে স্থাপিত হয় বন্ধুত্ব, অর্জিত হয় ভালবাসা এবং লাভ হয় নিরাপত্তা। সালাম দাতা যেন পরোক্ষ ভাবে বলে আমি তোমার হিতাকাংখী, নিরাপত্তা দানকারী ও কল্যাণকামী। সুতরাং আমার পক্ষ থেকে তুমি ভয়-ভীতি ও চিন্তামুক্ত থাকতে পারো। আসসালামু আলাইকু জান্নাতীদের অভিবাদনের বাক্য। সালামের সূচনা : পৃথিবীর আদি থেকেই সালামের প্রচলন হয়। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন- আল্লাহ তা’য়ালা হযরত আদম (আ) কে তাঁর স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। তাঁকে সৃষ্টি করে আল্লাহ তা’য়ালা বললেন, যাও ঐ দলটিকে সালাম দাও। তাঁরা হলেন- ফেরেশতাদের উপবিষ্ট একটি দল। তাঁরা তোমার সালামের জবাবে কী বলে তা মনোযোগ সহকারে শ্রবন করো। কারণ, তাঁরা যে জবাব দেবে তা-ই হবে তোমার ও তোমার বংশধরদের সালামের জবাব। অত:পর আদম (আ) তাঁদের নিকট গেলেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। ফেরেশতাগণ জবাবে বললেন, আসসালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ। মহানবী (স) বলেন, তাঁরা ওয়ারাহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করেছেন। রাসূল (স) বলেন, যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে আদম (আ) এর আকৃতিতেই প্রবেশ করবে এবং তার উচ্চতা হবে ষাট হাত। আদম (আ) এর পরবর্তী সৃষ্টির আকৃতি ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে বর্তমান আকৃতিতে পৌঁছেছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- হাদীস নং- ৪৪২১)। সালামের গুরুত্বঃ ১। ইসলামের উত্তম আমল : ইসলামি ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃদৃঢ় ও অটুট রাখার উত্তম মাধ্যম সালাম বিনিময়। এতে ব্যক্তির উন্নত আচার-আচরণ ও উত্তম স্বভাবেরও প্রতিফলন ঘটে। আর এটি ইসলামের উত্তম আমল। হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত, জনৈক সাহাবী রাসূলুল্লাহ (স) কে জিজ্ঞেস করেন, ইসলামে কোন আমলটি সবচেয়ে উত্তম? রাসূলুল্লাহ (স) প্রত্যুত্তরে বলেন- অনাহারিকে খাওয়ানো এবং পরিচিত ও অপরিচিত সকলকে সালাম দেয়া (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত, হাদীস নং- ৪৪২২)। ২। ভালবাসা বৃদ্ধির মাধ্যম : সালামের মাধ্যমে ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। মহানবী (স) বলেন- মু’মিন হওয়া ছাড়া জান্নাতে যাওয়া যাবেনা, আর পারস্পরিক ভালবাসা ছাড়া মু’মিন হওয়া যাবে না। আমি তোমাদেরকে বলবো ডশসের ফলে তোমাদের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি হবে? তা’হলো সালাম দেয়া। মিশকাত- ৩৯৭ পৃষ্ঠা। ৩। জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম : মহানবী (স) বলেন- চারটি কাজ যে ব্যক্তি করবে সে নির্বিঘেœ জান্নাতে যেতে পারবে। যেমন তিনি বলেছেন- অনাহারিকে খাদ্য দাও, সালাম দাও, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়, অত:পর নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ কর (কুরতবী ১ম খন্ড ২০৮ পৃষ্ঠা, আহমদ ২/২৯৯)। ৪। আল্লাহর বন্ধু হওয়ার মাধ্যম : মহানবী (স) হযরত জিব্রাঈল (আ) কে জিজ্ঞেস করেন আল্লাহ তা’য়ালা হযরত ইব্রাহীম (আ) কে কি গুণের কারণে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন? হযরত জিব্রাঈল (আ) উত্তরে বলেন- তিনটি কারণে আল্লাহ তা’য়ালা হযরত ইবরাহীম (আ) কে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন ১. মানুষকে খাওয়ানো, ২. সালাম দেয়া, ৩. রাত্রে নামায পড়া (কুরতুবী- ৫ম খন্ড, ৩০৪ পৃষ্ঠা)। ৫। ইহুদীদের হিংসার কারণ : মহানবী (স) বলেন- ইহুদীরা মুসলমানদের দু’টি কাজকে বেশী হিংসা করে। যেমন তিনি বলেছেন- ইহুদীরা তোমাদের কোন কাজে এমন হিংসা করে না, যেমন হিংসা করে “সালাম ও আমীন” বলার কারণে (ইবন মাজাহ- ৮৫৬)। সালাম দেয়ার অর্থ আল্লাহর নাম প্রচার করা সালাম আল্লাহ তা’য়ালার একটি গুণবাচক নাম। ভূবাসীর জন্য আল্লাহ তা’য়ালার এ নাম নির্ধারণ করেছেন (কুরতবী)। ৬। আল্লাহর বিশেষ দান : রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন- আল্লাহ তা’য়ালা আমার উম্মতকে এমন তিনটি বিষয় প্রদান করেছেন, যা পূর্ববর্তী কোন উম্মতকে দেননি, তা হলো- ১. সালাম দেয়া, যা জান্নাতীদের অভিবাদন, ২. ফেরেশতাদের ন্যায় সারিবদ্ধ হয়ে ইবাদত করা ও ৩. আমীন বলা, তবে আমীন হযরত মুসা ও হযরত হারুন (আ) এর যুগে ছিল। হযরত মুসা (আ) একদা ফিরাউনের বিরুদ্ধে বদদোয়া করতে ছিলেন, তখন হযরত হারুন (আ) বলেন- আমীন! (ইবন হুযাইমা- ১৫৮৬)। ৭। কর্তব্য কাজ সম্পাদন : সালাম দেয়া ও তার উত্তর দেয়া মু’মিনের কর্তব্য কাজ পালন করা। মহানবী (স) বলেন- একজন মু’মিনের উপর অপর মু’মিনের ছয়টি কর্তব্য রয়েছে। ১. কোন মু’মিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সেবা-যতœ করা ও খোঁজ-খবর নেয়া, ২. কোন মু’মিন মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা, ৩. কোন মু’মিন ন্যায়সঙ্গত কোন কাজে আহবান করলে, তার ডাকে সাড়া দেয়া, ৪. কোন মু’মিন সালাম দিলে সালামের উত্তর দেয়া, ৫. হাঁচি দিলে হাঁচির উত্তর দেয়া, ৬. উপস্থিত ও অনুপস্থিত উভয় অবস্থায় তার কল্যাণ কামনা করা (মিশকাত হাদীস নং- ৪৪২৩)। মহানবী (স) অন্যত্র বলেছেন- এক মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের ছয়টি অধিকার রয়েছে। ১. কোন মুসলমানের সাথে সাক্ষাত হলে সালাম দেয়া, ২. কোন মুসলমান শরীয়ত সম্মত কোন কাজে ডাকলে তার ডাকে সালাম দেয়া, ৩. কোন মুসলমান হাঁচি দিলে এবং আলহামদুল্লিাহ বললে, তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা, ৪. কোন মুসলমান অসুস্থ হলে তার সেবা-শুশ্রুষা করা, ৫. কোন মুসলমান মারা গেলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা, ৬. নিজের জন্য যা পছন্দ করে অপর ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করা (তিরমিযী, ইবন মাজাহ, মিশকাত, হাদীস নং- ৪৪৩৬)। সালামের বিধান : সালাম ইসলাম ধর্ম প্রবর্তিত সর্বশ্রেষ্ঠ সম্ভাষণ রীতি। যা শুধু পরস্পরের জন্য দোয়াই নয়; বরং ইসলামের প্রতীকও বটে। সালাম দেয়া সুন্নত, আর জবাব দেয়া ওয়াজিব। জামে সগীর গ্রন্থে রয়েছে- সালামের জবাব দেয়া ফরযে আইন। সাহাবায়ে কেরামের আমল : প্রিয় নবী (স) এর সহচরগণ অধিক পরিমানে সালাম দিতেন। এ প্রসঙ্গে হযরত তোফায়েল ইবন উবাই ইবন কা’ব (রা) হতে বর্ণিত। তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবন ওমর (রা) এর নিকট আসা যাওয়া করতেন এবং তাঁর সাথে সকাল বেলায় বাজারে যেতেন। তিনি বলেন; যখন আমরা সকাল বেলায় বাজারে যেতাম, তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবন ওমর (রা) এর অভ্যাস ছিল যে, তিনি যখনই কোন সাধারণ দোকানদার, বিক্রেতা, নি:স্ব বা অন্য কোন লোকের নিকট দিয়ে গমন করতেন, তখন তাদেরকে সালাম দিতেন। তিনি শুধু সালাম দেয়ার জন্য বাজারে যেতেন (মুয়াত্তা, বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান)। সালাম দেয়ার শব্দাবলী : হাদীসের ভাষ্যমতে নিম্নবর্ণিত শব্দাবলী দ্বারা সালাম দেওয়া যায়। ১. আসসালামু আলাইকুম (আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক)। ২. সালামুন আলাইকুম (আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক)। ৩. সালামুন আলাইকা (আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক)। ৪. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ( আপনাদের প্রতি শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক)। ৫. আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু (আপনাদের প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত, ও বরকত বর্ষিত হোক)। সালামের জবাব দেয়ার শব্দাবলী : নিম্নবর্ণিত শব্দাবলী দ্বারা জবাব দেয়া যায়। ১. ওয়া আলাইকুমুস সালাম (আপনাদের প্রতিও শান্তি বর্ষিত হোক)। ২. আলাইকুমুস সালাম (আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক)। ৩. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ( আপনাদের প্রতি শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক)। ৪. আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু (আপনাদের প্রতিও আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। ৫. ওয়া আলাইকাস সালাম (আপনার প্রতিও শান্তি বর্ষিত হোক)। আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- আর যখন তোমাদের সালাম বা অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম বাক্যে জবাব দাও অথবা, (কমপক্ষে) তার মতোই জবাব দাও। যেমন (আসসালামু আলাইকুম) এর উত্তরে ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ এর জবাবে ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু বলবে। ইবনে আবু যায়েদ বলেন সালাম দাতার ন্যায় উত্তর দেয়ার অর্থ হলো- কোন মুসলমান আসসালামু আলাইকুম বললে উত্তরে ওয়া আলাইকুমুস সালাম বা আসসালামু আলাইকুম বলা। পুুরুষের মহিলাকে সালাম দেয়ার বিধান : ইমামদের ঐক্যমতে পুরুষের জন্য স্বীয় স্ত্রী ও সকল প্রকার মুুহাররামাহ মহিলাকে সালাম জায়েয। বেগানা মহিলাদেরকে সালাম দেয়া মাকরুহ। মহিলার পুরুষকে সালাম দেয়ার বিধান : মহিলাদের জন্য তাদের স্বামী ও সকল মুহাররম পুরুষকে সালাম দেয়া জায়েয। গাইরে মুহাররম পুরুষকে সালাম দেয়া মাকরূহ। মহিলা মহিলাকে সালাম দেয়া জায়েয। কে কাকে সালাম করবে : মহানবী (স) বলেছেন- আরোহী ব্যক্তি পদব্রজে গমন কারীকে, পদব্রজে গমনকারী উপবিষ্ট ব্যক্তিকে, স্বল্প সংখ্যক অধিক সংখ্যককে, ছোট বড়কে সালাম দিবে (তিরমিযী-২০৭৩, বুখারী-৬২৩১, মুসলিম-২১৬০, আবু দাউদ- ৫১৯৮)। অমুসলিমকে সালাম দেয়ার পদ্ধতি : মহানবী (স) বলেন অমুসলিম সালাম দিলে তোমরা বলো- ওয়া আলাইকুম (তোমাদের প্রতি অনুরূপ) (বুখারী হাদীস নং- ৬২৫৮) অপর বর্ণনায় রয়েছে বলো (তোমার প্রতি অনুরূপ) (বুখারী হাদীস নং- ৬২৫৭)। মুসলিম ও অমুসলিম একত্রে থাকলে সালামের বিধান : মুসলিম ও অমুসলিম একত্রে থাকলে বলতে হবে আসসালামু আলা মানিত্তবায়াল হুদা। যারা হেদায়েতের অনুসারী তাদের প্রতি সালাম। কবরবাসীকে সালাম দেয়ার পদ্ধতি : উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রা) আরজ করেন- হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কবরস্থানে গেলে কি বলবো? রাসূল (স) প্রত্যুত্তরে বলেন- তুমি বলো আপনাদের প্রতি সালাম, হে মু’মিন বাসিন্দাগণ। অপর হাদীসে রাসূল (স) বলেছেন- কবরবাসীকে এ বলে সালাম দিবে- আপনাদের প্রতি সালাম, ওহে মু’মিন সম্প্রদায়! আমরা আল্লাহ চাহেতো তোমাদের সাথে মিলিত হবো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সালামের উৎপত্তি:

মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ সর্বপ্রথমে প্রথম মানব আদমকে সালামের শিক্ষা দেন।  (তিরমিযী)

হাদিসে আছে, আবু হুরায়রাথেকে বর্ণিত হয়েছে রাছূলুল্লাহ মুহাম্মাদ(সাঃ) বলেন আল্লাহ আদম (আঃ)কে সৃষ্টি করে বলেন, যাও ফেরেশতাদেরদলকে সালাম দাও এবং তোমার সালামের কি উত্তর দেয় মন দিয়ে শুন। এটিই হবে তোমার আর তোমার সন্তানদের সালাম। সে অনুযায়ী আদম গিয়ে বলেন, আস্‌সালামু আলাইকুম(অৰ্থ- ‘আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক’)।

ফেরেশতারা উত্তর দেন, আস্‌সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ(অৰ্থঃ ‘আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহ রহমত বর্ষিত হোক’)।  ফেরেশতারা রাহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করেন।     -মিশকাত,হাদিস নং- ৪৬২৮, অধ্যায়- শিষ্টাচার, অনুচ্ছেদ- সালাম।

অন্যান্য নবীদের জীবনে সালামের প্রচলন

ইব্রাহিম(আঃ) এর ক্ষেত্রে, কুরআনে পাওয়া যায়-

এবং অবশ্যই আমার ফেরেশতারা সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের নিকট এসেছিল। তারা সালাম জানায়। তিনিও ‘সালাম’ দেন।   -সূরা হুদ (১১), আয়াত নং-৬৯


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
  • জান্নাতে প্রথম সালামের প্রচলন:
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: 
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: 
"আল্লাহ তা’আলা আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে যখন সৃষ্টি করলেন তখন তাঁর দৈর্ঘ্য বা উচ্চতা ছিল ষাট হাত। এরপর তিনি (আল্লাহ্) তাঁকে (আদমকে) বললেন: যাও। ঐ ফিরিশ্তা দলের প্রতি সালাম প্রদান করো এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিরূপে বা কিভাবে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কেননা এটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। 
তারপর আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ফিরিশ্তাদের) বললেন: 
“আস্‌সালামু আলাইকুম”। 
ফিরিশ্তাগণ তার উত্তরে বললেন: 
“আস্‌সালামু আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ”। 
ফিরিশ্তারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। 
যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। 
তবে আদম সন্তানদের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপ পর্যন্ত পৌছেছে। 
***ইমাম বুখারী সংগৃহিত হাদিস: ৩০৯১; ইফাবা; হাদিসের মান: সহীহ। 
***ইমাম মুসলিম সংগৃহিত হাদিস: ২৮৪১
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ