দোয়া কুনুত বাংলা লিখে দিলাম মুখস্থ করে নিবেন।
আল্লাহুম্মা ইন্নানাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা ওয়ানুমিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর । ওয়া নাসকুরুকা আলা নাক ফুরুকা ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা বুদু ওয়ালাকা নুছালি্ল ওয়া নাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আজাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক।
অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়া। দোয়া
কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করতে হয়।
সতর্কতা- তৃতীয় রাকাআতে দোয়া কুনুত না পড়ে সিজদায় চলে গেলে নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে সাহু সিজদা করলেই চলবে। আবার ভুলে প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাআতে দোয়া কুনুত পড়ে ফেললেও সাহু সিজদা দিতে হবে। সুতরাং বিতরের নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমকে নিয়মিত বিতরের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন।
বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে নির্দিষ্ট কোনো সূরা নেই যেটা পড়তে হয়। সম্ভবত আপনি দুআয়ে কুনুতের কথা বলছেন। দুআয়ে কুনুত একটি নয়; একাধিক রয়েছে। আপনি যদি কোনো দুআয়ে কুনুত না পারেন তাহলে এ সময় হাদীসে বর্ণিত যে কোনো দুআই পড়তে পারেন। আর যদি কোনো দুআই না পারেন তাহলে সুবহানাল্লাহ কিংবা আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করুন। তবে দুআয়ে কুনুত শিখে নেয়া আবশ্যক। কারণ এ সময় দুআয়ে কুনুত পাঠ করা ওয়াজিব।