বিশেষ করে এখনকার সময় রাতে তারাবীর নামাজ পড়তে গেলে সেখানে এমনি সময়ের তুলনায় অনেক লোক যায় কিন্তু দেখি তারা তারারীর নামাজ পড়ার সময় লাইনের মাঝে কিছুটা গ্যাপ রেখে কিছুজন এদিকে তো কিছুজন ওদিক দাঁড়ায় পাখার তলায় হাওয়া খাওয়ার জন্য তাতে তাদের তো নামাজ হয়না কিন্তু যারা প্রকৃত নামাজ পড়তে এসেছে তারা ইমামের পিছনে লাইনে ঠিকভাবে দাঁড়ায়  কিন্তু ঐসব লোকের জন্য যে লাইনে গ্যাপ থাকে তাতে কী তাদের নামাজ হবে ? আমার নামাজ শুরু হলে অনেকে তাকবীর দিয়ে নামাজ শুরু করে কিন্তু লাইনের মধ্যে কিছুজন তাকবীর দেওয়ার পরও বসে থাকে এতে করে যারা নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে তাদের কী নামাজ হবে? আর নামাজ চলাকালীন অবস্থায় আমি গিয়ে লাইনের মধ্যে গ্যাপ দেখতে পেলে সেই গ্যাপ পূরণের জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে যাই এতে আমার হবে তো?আর যারা নামাজ পড়ছে তাদের নামাজ হবে তো (তারা ছাড়া যারা গ্যাপ রেখে নামাজে দাঁড়িয়েছে)? আবার কোনো ফরজ নাম গিয়ে যদি দেখি প্রথম লাইন ও দ্বিতীয় লাইনে মানুষ নামাজ পড়ছে এবং প্রথম লাইনের ধারে একজনের মতো জায়গা ফাঁকা আছে এবং যদি আমি সেখানে দাঁড়িয়ে যাই তাহলে আমার এবং দ্বিতীয় লাইনের মানুষের নামাজ হবে তো ? ***ভালোভাবে প্রশ্ন ও ব্যাখা পড়ে  সরলভাবে একটু বুঝিয়ে সম্পূর্ণ প্রশ্নটির উত্তর দেবেন।ধন্যবাদ***
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নামাজ হয়ে যাবে  তবে মাকরুহ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
নামাজের কাতার সোজা করা নামাজের একটা অংশ। তাই কাতারের মধ্যে ফাঁক না রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাড়ানো-ই নবিজির সুন্নত।

হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যিয়াদ ইবনু আবুল যাদ আমার হাত ধরলেন। এ সময়ে আমরা রাক্কা নামক জায়গায় ছিলাম। তিনি আমাকে এক মুরুব্বির নিকট নিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন আসাদ গোত্রের ওয়াবিসা ইবনু মা'বাদ (রাঃ) । যিয়াদ বললেন, আমাকে এই মুরুব্বি বলেছেন, এক ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিল। মুরুবিব লোকটি শুনছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আবার নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন। সূনান আত তিরমিজী। হাদিস নম্বরঃ ২৩০ হাদিসের মানঃ সহিহ।

নু‘মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি ‘‘তোমরা তোমাদের (নামাযের) কাতার অবশ্যই সোজা কর, নতুবা আল্লাহ তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দেবেন। (অথবা তোমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।

রিয়াযুস স্বা-লিহীন। হাদিস নম্বরঃ ১৬৪

হযরত আয়শা (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা কাতারের খালি জায়গা পূরণকারীদের উপর রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতাগন তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করেন। (আবু দাউদ)

উক্ত হাদিস থেকে জানা যায়, কাতারের মধ্যে ফাঁক রেখে পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলে নামাজ হয়না। আর ফাক পুরন করলে সওয়াব হয়।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বেশি ফাঁকা রাখাটা যেমন ঠিক নয় তেমনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোটাও ঠিক নয়। তবে দুইজনের মাঝে অবশ্যই কিছুটা ফাঁক থাকতে হবে যেন সিজদায় গেলে আপনার হাতের কনুই অন্যকে আঘাত না করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
  1. হ্যা, নামায হবে, যারা ঈমামের পিছনে ঠিকভাবে দাঁড়িয়েছেন।
  2. আর, যে কাতারে কিছু মানুষ বসে থাকে, আর কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে নামায পড়ে। এতে যারা নামায পড়েছে, তাদের নামায হবে এবং যারা বসে থাকে, তা ঠিক নয় বরং মুনাফিকদের আলামত হচ্ছে, নামাযে আলসিয়েমি করা। 
  3. প্রথম কাতারে আপনি দাড়ানোর কারনে, আপনার নামায হবে না, এমন নয় বরং হবে। আর, দ্বিতীয় কাতারের মুসল্লিদেরও নামায হবে। তবে, প্রথম কাতারে জায়গা রেখে দ্বিতীয় কাতারে দাঁড়ানো মাকরুহ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Habib96

Call

জামাআতের সাথে সালাত আদায় করতে মুসল্লীদেরকে তিনটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। এক : কাতার সোজা করে দাঁড়ানো। কোনো মুসল্লী যেন তার পার্শ্ববর্তী মুসল্লীর চেয়ে এগিয়ে না দাঁড়ায় এবং পিছিয়েও না দাঁড়ায়। দুই : এমনভাবে দাঁড়ানো, যাতে দুই মুসল্লীর মাঝখানে কোনো ফাঁক না থাকে। তথা পরস্পরের মাঝে ফাঁক না রেখে দাঁড়ানো। তিন : একটি কাতার থেকে অপর কাতারের মাঝখানে অস্বাভাবিক দূরত্ব না থাকা। বরং স্বাভাবিকভাবে সেজদা করতে যতটুকু দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন ততটুকু দূরত্ব বজায় রেখে কাতার তৈরি করা। কেউ একটু এগিয়ে বা একটু পিছিয়ে দাঁড়ালে কাতার বাঁকা হয়। এরূপভাবে আগে পিছে দাঁড়ানো, যদ্দারা কাতার বাঁকা হয়ে যায়- সুন্নত-পরিপন্থী। তেমনই ফাঁক রেখে দাঁড়ানো নিয়ম-বিরোধী ও সুন্নত-পরিপন্থী। তদ্রূপ, দুই কাতারের মাঝখানে অস্বাভাবিক ফাঁক রেখে কাতার করাও নিয়ম ও সুন্নত-পরিপন্থী। কাতার সোজা ও ফাঁকা না রেখে মিলিয়ে দাঁড়ানোর ব্যাপারে বর্ণিত হাদিস সমূহ৷ হাদীস-১ ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺳَﺪّ ﻓُﺮْﺟَﺔً ﻓِﻰ ﺻَﻒٍّ ﺭَﻓَﻌَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺩَﺭَﺟَﺔً ﻭَ ﺑَﻨٰﻰ ﻟَﻪُ ﺑَﻴْﺘًﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨّﺔِ . আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কাতারের মধ্যকার ফাঁক বন্ধ করবে, এর বিনিময়ে আল্লাহ তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন। -আলমু‘জামুল আওসাত, তবারানী, হাদীস ৫৭৯৫; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস ৩৮২৪ হাদীস-২ ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠّﻢَ ﺍِﻥّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَ ﻣَﻠٰﺌِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺬِﻳْﻦَ ﻳَﺼِﻠُﻮْﻥَ ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑَ ﻭَ ﻣَﻦْ ﺳَﺪّ ﻓُﺮْﺟَﺔً ﺭَﻓَﻌَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺩَﺭَﺟَﺔً . আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এবং ফেরেশতাগণ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, যারা কাতারসমূহকে সংযুক্ত করে। আর যে ব্যক্তি ফাঁক বন্ধ করল, এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৯৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৪৬৩১ হাদীস-৩ ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺍَﻥّ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺃَﻗِﻴْﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑَ ﻭَ ﺣَﺎﺫُﻭْﺍ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟْﻤَﻨَﺎﻛِﺐِ ﻭَ ﺳُﺪُّﻭْﺍ ﺍﻟْﺨَﻠَﻞَ ﻭَ ﻟِﻴْﻨُﻮْﺍ ﺑِﺄَﻳْﺪِﻱْ ﺍِﺧْﻮَﺍﻧِﻜُﻢْ ﻭَ ﻟَﺎﺗَﺬَﺭُﻭْﺍ ﻓُﺮُﺟَﺎﺕٍ ﻟِﻠﺸّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻭَ ﻣَﻦْ ﻭَﺻَﻞَ ﺻَﻔّﺎ ﻭَﺻَﻠَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻊَ ﺻَﻔّﺎ ﻗَﻄَﻌَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ . ইবনু উমার রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কাতার সোজা কর। কাঁধসমূহকে বরাবর রাখ। ফাঁক বন্ধ কর। তোমাদের ভাইদের হাতে তোমরা নরম হয়ে যাও এবং শয়তানের জন্য ফাঁক ছেড়ে দিয়ো না। যে কাতার জুড়ে দেয় আল্লাহ তাআলাও তাকে জুড়ে দেন। পক্ষান্তরে যে কাতার বিচ্ছিন্ন করে আল্লাহ তাআলা তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। -সুনানে আবূ দাঊদ, হাদীস ৬৬৬ হাদীস-৪ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺒَﺮَﺍﺀِ ﺑْﻦِ ﻋَﺎﺯِﺏٍ ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠّﻢَ ﻳَﺘَﺨَﻠّﻞُ ﺍﻟﺼّﻒّ ﻣِﻦْ ﻧَﺎﺣِﻴَﺔٍ ﺇِﻟٰﻰ ﻧَﺎﺣِﻴَﺔٍ ﻳَﻤْﺴَﺢُ ﺻُﺪُﻭْﺭَﻧَﺎ ﻭَ ﻣَﻨَﺎﻛِﺒَﻨَﺎ ﻭَ ﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻟَﺎﺗَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮْﺍ ﻓَﺘَﺨْﺘَﻠِﻒَ ﻗُﻠُﻮْﺑُﻜُﻢْ ﻭَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻘُﻮْﻝُ ﺇِﻥّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَ ﻣَﻠٰﺌِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑِ ﺍﻟْﺎُﻭَﻝِ . বারা ইবনে আযেব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত কাতারে প্রবেশ করে আমাদের বুক এবং কাঁধ স্পর্শ করতেন এবং বলতেন ভিন্ন ভিন্ন হয়ো না। নতুবা তোমাদের অন্তরসমূহ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলতেন, আল্লাহ তাআলা এবং ফেরেশতাগণ প্রথম দিকের কাতারসমূহের উপর রহমত নাযিল করেন। -সুনানে আবূ দাঊদ, হাদীস ৬৬২ হাদীস-৫ ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰْ ﻣَﺴْﻌُﻮْﺩٍ ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠّﻢَ ﻳَﻤْﺴَﺢُ ﻣَﻨَﺎﻛِﺒَﻨَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼّﻠَﺎﺓِ ﻭَ ﻳَﻘُﻮْﻝُ ﺍِﺳْﺘَﻮُﻭْﺍ ﻭَ ﻟَﺎﺗَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮْﺍ ﻓَﺘَﺨْﺘَﻠِﻒَ ﻗُﻠُﻮْﺑُﻜُﻢْ ﻟِﻴَﻠِﻨِﻰْ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﺍُﻭﻟُﻮﺍ ﺍﻟْﺎَﺣْﻠَﺎﻡِ ﻭَ ﺍﻟﻨُّﻬٰﻰ ﺛُﻢّ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻠُﻮْﻧَﻬُﻢْ ﺛُﻢّ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻠُﻮْﻧَﻬُﻢْ ﻗَﺎﻝَ ﺍَﺑُﻮْ ﻣَﺴْﻌُﻮْﺩٍ ﻓَﺎَﻧْﺘُﻢُ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺍَﺷَﺪُّ ﺍِﺧْﺘِﻠَﺎﻓًﺎ . আবূ মাসঊদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে আমাদের কাঁধ স্পর্শ করতেন এবং বলতেন, বরাবর হয়ে দাঁড়াও। পৃথক হয়ে দাঁড়িও না। নতুবা তোমাদের অন্তরসমূহ পৃথক হয়ে যাবে। তোমাদের মধ্য হতে যারা জ্ঞান ও বুদ্ধির অধিকারী তারাই যেন আমার নিকটে থাকে। অতপর তারা, যারা তাদের কাছাকাছি জ্ঞান ও বুদ্ধির অধিকারী, অতপর তারা, যারা তাদের কাছাকাছি জ্ঞান ও বুদ্ধির অধিকারী। আবূ মাসঊদ রা. বলেন, তো আজ তোমরা অধিক বিভিন্নতার শিকার। -মুসনাদে সিরাজ, হাদীস ৭৬৬ হাদীস-৬ ﻋَﻦْ ﺍَﻧَﺲٍ ﻗَﺎﻝَ ﺍُﻗِﻴْﻤَﺖِ ﺍﻟﺼّﻠَﺎﺓُ ﻓَﺎَﻗْﺒَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠّﻢَ ﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍَﻗِﻴْﻤُﻮْﺍ ﺻُﻔُﻮْﻓَﻜُﻢْ ﻭَﺗَﺮَﺍﺻٌّﻮْﺍ ﻓَﺎِﻧِّﻰ ﺍَﺭَﺍﻛُﻢْ ﻣِﻦْ ﻭَﺭَﺍﺀِ ﻇَﻬْﺮِﻯْ . হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা সালাতের ইকামত দেওয়া হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে অভিমুখী হয়ে বললেন, তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা কর এবং গায়ে গায়ে মিশে মিশে দাঁড়াও। কেননা আমি তোমাদেরকে আমার পেছন দিক থেকেও দেখতে পাই। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৭১৯ হাদীস-৭ ﻋَﻦْ ﺍَﻧَﺲِ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺭُﺻُّﻮْﺍ ﺻُﻔُﻮْﻓَﻜُﻢْ ﻭَ ﻗَﺎﺭِﺑُﻮْﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬَﺎ ﻭَ ﺣَﺎﺫُﻭْﺍ ﺑِﺎﻟْﺎَﻋْﻨَﺎﻕِ ﻓَﻮَﺍﻟﺬِﻯ ﻧَﻔْﺴِﻰْ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﺍِﻧِّﻰْ ﻟَﺎَﺭَﻯ ﺍﻟﺸّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻳَﺪْﺧُﻞُ ﻣِﻦْ ﺧَﻠَﻞِ ﺍﻟﺼّﻒِّ ﻛَﺎَﻧّﻬَﺎ ﺍﻟْﺤَﺬَﻑُ . আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের কাতারসমূহকে সংলগ্ন কর। কাতারগুলোকে কাছাকাছি রাখ। তোমাদের ঘাড়সমূহকে বরাবর রাখ। যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ, নিশ্চয়ই আমি শয়তানকে দেখি ভেড়ার বাচ্চার ন্যায় কাতারের মাঝে প্রবেশ করতে। -সুনানে আবূ দাঊদ, হাদীস ৬৬৭ হাদীস-৮ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨُّﻌْﻤَﺎﻥِ ﺑْﻦِ ﺑَﺸِﻴْﺮٍ ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠﻢَ ﻳُﺴَﻮِّﻯْ ﺻُﻔُﻮْﻓَﻨَﺎ ﺣَﺘّٰﻰ ﻛَﺄَﻧّﻤَﺎ ﻳُﺴَﻮِّﻯْ ﺑِﻬَﺎ ﺍﻟْﻘِﺪَﺍﺡَ ﺣَﺘّٰﻰ ﺭﺍٰﻯ ﺍَﻧّﺎ ﻗَﺪْ ﻋَﻘَﻠْﻨَﺎ ﻋَﻨْﻪُ ﺛُﻢّ ﺧَﺮَﺝَ ﻳَﻮْﻣًﺎ ﻓَﻘَﺎﻡَ ﺣَﺘّٰﻰ ﻛَﺎﺩَ ﺍَﻥْ ﻳُﻜَﺒِّﺮَ ﻓَﺮﺍٰﻯ ﺭَﺟُﻠًﺎ ﺑَﺎﺩِﻳًﺎ ﺻَﺪْﺭَﻩُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺼّﻒِّ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻋِﺒَﺎﺩَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻟَﺘُﺴَﻮُّﻥّ ﺻُﻔُﻮْﻓَﻜُﻢْ ﺍَﻭْ ﻟَﻴُﺨَﺎﻟِﻔَﻦّ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑَﻴْﻦَ ﻭُﺟُﻮْﻫِﻜُﻢْ. নু‘মান ইবনে বাশীর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাতারগুলোকে এমনভাবে সোজা করতেন যেন তিনি তদ্দারা তীর সোজা করবেন। এভাবে তিনি করতে থাকলেন যতদিন না তিনি দেখলেন যে, আমরা তাঁর থেকে বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছি। অতপর একদিন তিনি (সালাতের জন্য) বের হলেন। যখন তিনি তাকবীর দিতে যাবেন সেই মুহূর্তে এক ব্যক্তিকে দেখলেন তার বুকটাকে কাতারের বাইরে বের করে রাখতে। তা দেখে তিনি বললেন, আল্লাহর বান্দারা, হয় তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করবে নতুবা তোমাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই বিরোধিতা সৃষ্টি করে দেবেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৭১৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০০৭

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ