শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনাকে কোনো সূরা পড়তে হবে না ।তাকবির তাহরিমা করে সানা আর আউজুবিল্লাহ হিমিনাশ শায়তনির রযিম বলে হুযুরের সূরার দিকে মন দিনে শুনতে হবে ।সূরা গুলো পড়তে হবে না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইমাম আবু হানিফার মতে।  ইমামের পিছনে নাময পরার সময় আপনার সুরা পরতে হবে না।হাদীস শরীফে আছে ক্বেরায়াতুল ইমামি ক্বেরায়াতুল লাহু অর্থাৎ ইমামের ক্বেরাতই হচ্ছে মুক্তাদীর ক্বেরাত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার সময় ইমামের সুরা শুনতে হবে।আর যখন ইমাম সুরা আস্তে পড়বেন তখন সুরা মনে মনে পড়তে হবে।ফজর , মাগরিব ও এশার নামাজের ওয়াক্তে জামাতের ফরজ নামাজের সময় ইমাম সুরা জোরে পড়েন।আর যোহর ও আসর নামাজের সময় ইমাম সূরা আস্তে পড়েন।[সূত্রঃপাঠ্যবই]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হাদীসের আলোকে ইমামের পিছনে মুক্তাদীদের কোন সুরা  পড়তে হবেনা।
১ নং হাদীসঃ  মুসলিম শরীফের ১ম খন্ডের ১৭৮ নং পৃষ্ঠায় হযরত আবূ মূসা আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, অর্থাৎ একদা রাসূল (সা.) আমাদেরকে ওয়াজ করেন। তখন তিনি আমাদেরকে সুন্নত শিক্ষা দিলেন। এবং নামাযের পদ্ধতি বর্ণনা করে বললেন, যখন তোমরা নামাযে দাড়াবে তখন কাতার ঠিক করে নিবে । এরপর তোমাদেরই একজন ইমাম হবে। আর সে (ইমাম) যখন তাকবীর বলবে। তোমরাও তখন তাকবীর বলবে। তবে সে যখন কেরাত পড়বে তোমরা তখন নীরব থাকবে।
ইমাম মুসলিম (র.) তাঁর কিতাব “সহীহ মুসলিমে” হাদীসটির মানদন্ড উল্লেখ করে বলেছেন هو عندي صحيح এটি আমার নিকট বিশুদ্ধতম হাদীস।
এছাড়াও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র.) এবং ইমাম তবারী (র.) একে সহীহ (বিশুদ্ধ হাদীস) বলেছেন।
ইমাম তবারী তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ তাফসীরে তবারীর ৯ম খন্ডের ১১২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন।
وقد صح الخبر عن رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم من قولہ اذا قرا فانصتوا۔
অর্থাৎ রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত হাদীস اذا قرا فانصتوا (যখন ইমাম কিরাত পড়বে তখন তোমরা চুপ থাকবে) এটা সহীহ বা বিশুদ্ধ।

অতএব ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার সময় আমাদের কোন সুরা পড়তে হবেনা। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call


জবাব:

এক. না। পড়তে হবে না। বরং চুপ থাকবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ   বলেছেন, مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ ‘যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৮৫০)

ইমামের কেরাতই মুক্তাদির পক্ষে যথেষ্ট- এটি সাহাবা, তাবেয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীন-যুগের ‘আমলে মুতাওয়াতির’ (যুগ পরম্পরায় চলে আসা ব্যাপক ও অনুসৃত কর্মধারা)-এর মাধ্যমে প্রমাণিত। এর বিশুদ্ধতা তাঁদের কাছে ছিল এক স্বীকৃত বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, যায়েদ ইবনে ছাবিত, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. প্রমুখের আমলও এ অনুযায়ীই ছিল। যদি রাসূলুল্লাহ মুক্তাদিকে ইমামের পেছনে কুরআন পড়ার নির্দেশ দিতেন, তাহলে তাঁদের সেটা জানা থাকত এবং তাঁরা সে অনুযায়ীই আমল করতেন আর মানুষকে শেখাতেন। অথচ তাঁদের আমল ছিল ইমামের পেছনে কুরআন না পড়া এবং তাঁরা মানুষকে এরই তালীম দিয়েছেন। (উমদাতুল ক্বারী ৬৭:৩ ফাতহুল মুলহিম ২০:২ ইলাউস সুনান ৪৩:৪ তাবারী ৩৭৮ : ১১ তাফসীর ইবনে কাসীর ১ :২৮১)

একারণে এই বিষয়ে হানাফী মাযহাবের ফাতওয়া হলো, যে কোন ধরনের নামাযে মুক্তাদির জন্য যে কোন কিরাত ওয়াজিব নয়। বরং মুক্তাদী চুপ থাকবে। কেউ যদি ইমামমের পিছনে কিরাত পড়ে তাহলে তার নামায আদায় হয়ে গেলেও মাকরূহের সহিত আদায় হবে।

হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা বুরহানুদ্দীন মরগনানী রহ. বলেন,ولا يقرأ المؤتم خلف الإمامঅর্থাৎ, মুক্তাদী ইমামের পিছনে কিরাত পড়বে না। (শরহ বেদায়াতুল মুবতাদী ১/৫৫)

মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা-এর মধ্যে রয়েছে ,
وذهب الحنفية إلى أن المأموم لا يقرأ مطلقا خلف الإمام حتى في الصلاة السرية ، ويكره تحريما أن يقرأ خلف الإمام অর্থাৎ, এবং হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কিরাম এই দিকে গিয়েছেন যে, মুক্তাদী ইমামের পিছনে কোন অবস্থায় কিরাত পড়বে না। এমন কি নিরবে কিরাত পড়ার নামাযেও। এবং ইমামের পিছনে কিরাত পড়া মাকরূহে তাহরীমী। (আল মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যা ৩৩/৫৩)

দুই. আমলের শুদ্ধি ও গ্রহণযোগ্যতার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নিয়ত। উমর রাযি. বলেছেন,لا عمل لمن لا نية له ‘যার নিয়ত নেই, তার কোন আমল নেই।’ (যাদুদ দায়িয়াহ : ৬) তবে নিয়ত মুখের আমল নয়; বরং নিয়ত বলা হয় মনের সংকল্পকে। (যার স্থল হল হৃদয় ও মস্তিষ্ক।) সুতরাং আপনি যে নফল নামায পড়তে যাচ্ছেন, তা মন-মস্তিষ্কে উপস্থিত করবেন। তারপর তাকবীরে তাহরীমা বলে ওই নামায শুরু করবেন। এতেই যথেষ্ট হয়ে যাবে। মুখে কোনও কিছু  বলতে হবে না। (রওযাতুত ত্বালেবীন ১/২২৪)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী

সূত্রঃ http://quranerjyoti.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ