আসালামু আলাইকুম।


আমাদের মশজিদে পায়ে পা মিলাই না কাধে কাধ অ মিলায় না আর দাড়াবার সময় ১ আঙ্গুল ফাঁক রাখে , এতে আমি কি নামাজ হবে ?



এবং "সামিয়াল্লাহু নিমান হামিদা " বলার পর হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাই না , আমার কি নামাজ হবে ?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হ্যা৷ নামায হবে৷ কারন সেগুলো ফরজ বা এয়াজিবও না৷ এবং অনেক মাজহাবে তা সুন্নতোও না৷ কারন এই সম্পর্কে হাদিসগুলো রহিত হয়ে গেছে৷ সুতরাং নামাজ হবে৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রশ্ন:-১ এর উত্তর:-


নামাজে কাতার সোজা করা ওয়াজিব সমতুল্য। যত দূর চেষ্টা করবেন কাতার সোজা করতে ইচ্ছাকৃত হলে মাকরুহে তাহরীমির গুনাহ হবে।

প্রশ্ন:-২ এর উত্তর:-

"সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ" এর সময় যে হাত উত্তোলন করা হয় এটাকে বলে রাফে ইয়াদাইন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো রাফে ইয়াদাইন করেছেন, কখনো করেননি। সাহাবা, তাবেয়ীন ও পরবর্তীদের মধ্যে উভয় পদ্ধতিরই অনুসারী ছিলেন। এরই সুত্র ধরে শাফেয়ী, হাম্বলী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইনের পদ্ধতি এসেছে। অপরদিকে হানাফী, মালেকী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইন না করার মতটি গ্রহণ করা হয়েছে। স্ব স্ব স্থানে উভয় মতই শরীয়ত স্বীকৃত। কেননা দুটোরই উৎস সুন্নাহ। তবে বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদের আলোকে কোনো ফকীহ কোনো একটিকে উত্তম ও অগ্রগণ্য মনে করেন। আর অন্যটিকে মনে করেন বৈধ ও অনুত্তম। আবার অন্য ফকীহ এর বিপরীত মত পোষণ করেন। চার মাজহাবের ক্ষেত্রে এই পার্থক্যটুকু শুধু নফল নিয়ে । অর্থ্যাৎ চার মাজহাবই এ বিষয়ে একমত যে , রফে ইয়াদাইন করা হোক বা না হোক এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না । যেহেতু এটা নফল । সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রসিদ্ধ মত হলো : নামাজে রাফে ইয়াদাইন না করা। যেহুত আমরা হানাফি মাজহাব এর অনূসারি তাই রাফে ইয়াদাইন না করা আমাদের জন্য ওয়াজিব।


দলিল:-১ ( দুররুল মুখতার, ফতওয়ায়ে শামী)
দলিল:-২ ( মুসনাদে আবু হানিফা, বাহারুল মাসায়েল, ফতওয়ায়ে কাজিখান, রুদ্দুল মুহতার ইত্যাদি ফিকহের কিতাব)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ