আমাদের এলাকায় কিছু লোক আছে তারা রোজা রাখে নামাজ পড়ে না।তাদেরকে আমি বলছিলাম তোরা যে রোজা রাখস নামাজ পরস না সারাদিনে রোজা এক ফরজের জন্য পাচ ওয়াক্ত নামাজের পাচ ফরজ বাদ দিতিছা।তারা উত্তরে আমাকে বলে রোজা বছরে একবারে আসে আর তা ছেড়ে সারাবছর রোজা রাখলেও তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব না আর এখন রোজা করে নামাজ না পড়লেও পড়ে কাজা করে নেয়া যাবে।তাদের কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেছি এখন আপনারা কিছু বলুন সঠিক সমাধান কি হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি তাদের বুঝিয়ে বলুন_এ কাজ করলে রোজা হবেনা।প্রয়োজনে ভয় দেখিয়ে বোঝান।মাঝে মাঝে অপমান করেও বোঝাতে পারেন।এক কথায় যেকোনো ভাবে বোঝান

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি তাদের কে এভাবে বুঝান যে নামাজ হলো ১৭ ফরজ  আর রোজা হলো ১ ফরজ তাই নামাজ ছাড়া রোজা রেখে লাভ কি  আর নামাজ ছাড়া রোজা আল্লাহ্ কবুল করবেন কিনা সন্দেহ আছে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি তাদের নামাজ না পড়ার শাস্তি গুলো জানান।আর জানান নামাজ ১৭ ফরজ রোজা ১ ফরজ। নামাজ না পড়ার শাস্তি: দুনিয়াতে ছয়টি আযাব ১, তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত হইবেনা। ২, আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন। ৩, যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা। ৪, তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না। ৫, আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে। ৬, ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে। ♦মৃত্যুর সময় আজাব তিনটি ১, অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃতু্যবরণ করিবে। ২, ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে। ৩, মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে, তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে। কবরের মধ্যে তিনটি আজাব ১, তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে। ২, তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে। ৩, আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে, দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হইবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলিয়া যাইবে। সেই ফেরেশ্তা পুনরায় তাহাকে জীবিত করিয়া হাড় মাংস এক করিয়া আবার আঘাত করিতে থাকিবে। এই ভাবে কিয়ামত পর্যন্ত লোহার মুগুর দিয়া তাহাকে আঘাত করতে থাকবে। ♦হাশরের মাঠে তিনটি আজাব ১, একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরের দিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের মাঠে লইয়া যাইবে। আল্লাহ পাক তাহাকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখবেন না। সে চির কালের জন্য দোযখী হইয়া নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে। নবী করিম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে আট শ্রেণীর লোকের উপর কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট থাকবেন। তাহাদের মুখের আকৃতি অত্যন্ত কুশ্রী ও ভীষণাকার হইবে। হাশরের মাঠে প্রত্যেক ব্যক্তি তাহাদিগকে দেখিয়া ঘৃণা করিবে। এই কথা শুনার পরে সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে সমস্ত লোক কাহারা? নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বললেন — ১, জ্বেনা-কারী ২, অবি-চারক বাদশাহ্ বা হাকিম। ৩, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান। ৪, সুদখোর ৫, পর-নিন্দাকারী ৬, অন্যায়কারী এবং অত্যাচারী ৭, মিথ্যা সাক্ষীদাতা। ৮ বে-নামাযী। ইহাদের মধ্যে বে-নামাযীর শাস্তিই বেশী হইবে। বে-নামাযীকে আগুনের পোশাক পড়াইয়া শিকলে বাঁধিয়া আগুনের কোড়া মারতে থাকবে। বেহেশত তাহাকে বলতে থাকবে তুমি আমার দিকে অগ্রসর হইওনা। দোযখ তাহাকে বলবে আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি। তোমার দ্বারা আমার পেটের ক্ষুধা নিবারণ করব। এই বলিয়া দোযখ তাহার জিহ্বা বাড়াইয়া ভিতরে নিয়া যাইবে। নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জাহান্নাম দোযখের মধ্যে লমলম নামে একটি কুপ আছে। উহা অসংখ্য সাপ বিচ্ছুতে ভর্তি। প্রত্যেকটা সাপ একটি পাড়ের সমতুল্য এবং একটা বিচ্ছু হাতির সমতুল্য হইবে। সেই সমস্ত সাপ বিচ্ছু সব সময় বে-নামাযীকে কামড়াইতে থাকিবে, একবার কামরাইলে সত্তর বৎসর পর্যন্ত তাহার যন্ত্রনা থাকিবে এবং কাহারও মৃত্যু হইবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ঈমান লাভের পর ইসলামি শরিয়তের আবশ্যিক ইবাদত ও দ্বীনের মূল ভিত্তি হলো নামাজ। আর বেহেশতে প্রবেশের চাবি হলো নামাজ। এ কারণেই ঈমান লাভের পর মুসলমানের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো নামাজ। কুরআনুল কারিমের সুরা বাকারার ৪৩নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নামাজের নির্দেশ দিয়ে ঘোষণা করেন, তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা কর, জাকাত প্রদান করএবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা দেন, নামাজ বেহেশতের চাবি। চাবি ছাড়া বেহেশতে প্রবেশ অসম্ভব। তারপরও মানুষ দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী জীবনে চলার পথে অহরহ গোনাহে জড়িয়ে পড়ে, দুনিয়ার সাময়িক মোহ মায়ায়, লোভ লালসা পড়ে একান্ত আপনজন আল্লাহ তাআলাকে এবং তার নির্দেশসমূহে ভুলে থাকে। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের দ্বারা গোনাহমুক্ত জীবন লাভের একটি অনন্য উদাহরণ পেশ করেছেন, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে আর ওই নদীতে যদি সে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তবে তার শরীরে কী কোনো ময়লা থাকবে? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘না’ তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত হলো এমন। (বুখারি ও মুসলিম) নামাজই হলো মানুষের জন্য একমাত্র কল্যাণমূলক ইবাদত। যা মানুষকে দুনিয়া ও পরকালের সব কল্যাণ দান করে। নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা মুমিন ব্যক্তির হৃদয়ের আবেগ অনুভূতি পরীক্ষা করেন। যারা এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাদের জন্যই জান্নাত সুনিশ্চিত। আপনি তাদের এভাবে বুঝান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ