আসালামু আলাইকুম।


আমাদের মসজিদে পায়ে পা মিলায় না, কাঁধে কাঁধ ও মিলায় না। আর দাঁড়াবার সময় ১ আঙ্গুল ফাঁক রাখে। এতে কি আমার নামাজ হবে ? এবং "সামিয়াল্লাহু নিমান হামিদা " বলার পর হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাই না , আমার কি নামাজ হবে ?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জি, ভাইয়া ! এতে আপনার নামায হয়ে যাবে। কারণ কাঁধে কাঁধ মিলানো, সামিআল্লাহ বলার সময় হাত উঠানো ফরজ বা ওয়াজিব পর্যায়ের কিছু নয়। তাই এগুলো না করা হলেও নামাযের কোনো সমস্যা হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ ভাই, নামাজে দাড়ানো ফরজ। তবে কতটুকু  পা ফাকা রাখবে এ ব্যাপরে শরীয়তের কোনো বাধ্য বাধকতাও নেই। সুনির্দিষ্ট পরিমানও বলা নেই। বরং শারীরিক গঠন ও সুবিধানুযায়ী দাড়াবে। এ বিষয়টি ফরজ কিংবা ওয়াজিব পর্যায়ের নয় যে, নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারন হিসেবে এটা অবদান রাখতে পারে। কেউ যদি নামাজে চার আঙ্গুল পরিমান পা ফাকা করে দাড়ায় তাহলে সেটাই তার জন্য উত্তম হবে। যদি কারো শারীরিক গঠনের কারনে আরো বেশী ফাকা করে দাড়ানোর প্রয়োজন হয় তবে সে দাড়াতে পারে, এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবে না। তবে পুরুষের জন্য একদম ফাকা না রেখে দাড়ানো মাকরুহ। তবে সেক্ষেত্রেও অসম্পুর্নাভাবে নামাজ হয়ে । যেসব হাদীসে পায়ের সাথে পা ও কাঁধের সাথে কাঁধ (বুখারী) এবং হাটুর সাথে হাটু  (আবু দাউদ) মিলানোর কথা বলা হয়েছে, সেটা মুলত কাতার সোজা করার কথা উদ্দেশ্য। এই নয় যে, বাস্তবেই পায়ের সাথে পা ঠেকাতে হবে। তাহলে হাটুর সাথে হাটু ও কাধের সাথে কাধ ‍মিলানো সম্ভব হয়না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ