হুমম! বহুদিন আগে একটা কৌতুক শুনেছিলাম। কোন এক লোককে জাহান্নাম ঘুরিয়ে দেখানো হচ্ছে। সেখানে দেশ অনুযায়ী জাহান্নামীদের পৃথক ভাবে রাখা হয়েছে এক একটা গর্তে। এবং সব দেশের পাপীদের জন্যই ফেরেশতা রাখা আছে গর্তের মুখে। যাতে কেউ পালাতে না পারে। শুধু বাংলাদেশের গর্তের উপর কোন ফেরেশতা নেই। তো স্বাভাবিক ভাবেই লোকটি প্রশ্ন করল এই দেশের লোকদের জন্য পাহাড়াদার নেই কেন? ওরা কি পালানোর চেষ্টা করে না?
জবাবে তাকে বলা হল ওরা অবশ্যই পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পারে না। একজন উঠতে গেলে অন্যজন তাকে টেনে নামায়। নিজেও উঠতে পারে না আর অন্যকেও উঠতে দেয় না! আর তাই পাহাড়া দেবার কোন প্রয়োজন হয় না।
(গল্পটা পিছন থেকে টেনে ধরা লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলা। এর কোন জাতিগত বা ধর্মীয় ভিত্তি নেই। আমি আমার দেশকে ভালবাসি)
তো আপনি যাদের কথা বললেন তাদের অবস্থা হল এমন। তারা নিজেদের দূর্বলতা ঢাকতে আপনাদের সাথে দুশমনি করছে। আর দুশমন দমন করার সহজ উপায় জানেন তো?
বন্ধুত্ব করে নেওয়া। স্যারদের কাছে নালিশ করে হয়ত কিছু সময়ের জন্য ওদের থামাতে পারবেন। কিন্তু ওদের মনের শয়তানী কিন্তু রয়েই যাবে। কিন্তু তাদের মনে কোনভাবে স্থান পেতে চেষ্টা করুন। একসময় দেখবেন আপনার বিপদে ওরাই এগিয়ে আসবে।
কাজটা হয়তো কিছুটা সময় সাপেক্ষ আর কঠিন। কিন্তু ফল হবে অসাধারণ। এই খেলাই তো শেষ না। গোটা জীবনই একটা খেলা। ওদের সাথে মিশে যান। যদি কটাক্ষ করে কিছু বলে নরম চোখে তাকাবেন। আর স্যরিও বলতে পারেন। আপনি এটাকে একটা experiment হিসেবে নিন। ধরে নিন মানুষের মন নিয়ে ছোট্ট একটা study. কিন্তু ওরা তো আর সেটা জানবে না। ওরা কয়েকবার এরকম আচরণ করে ভাববে - নাহ! জুনিয়রদের সাথে এমন আচরণ করা উচিৎ হয়নি।
আর স্যারই যেহেতু দলে রাখতে চাইছে তাহলে আশা করি দলেও থাকতে পারবেন। বলটি পাম্প করে নিন।
উত্তর দিতে গিয়ে তাল হারিয়ে ফেললাম কিনা কে জানে! জটিল প্রশ্ন After all. কিন্তু আমার বিশ্বাস কাজ হতে পারে। ধন্যবাদ।