আপনার সমস্যাটি মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে, সাধারণ ব্যথা হতে পারে,মস্তিস্কের প্রদাহের জন্য হতে পারে। * আপনি প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন। * প্রতিদিন সামান্য গরম পানিতে লেবুর রস ও বিট লবণ একত্রে করে দুইবেলা পান করুন। *প্রতিদিন দুইবেলা সামান্য গরম জলে লেবু ও আদার রস মিশিয়ে পান করুন। * ব্যথা বেশি করলে জলপাই তেল, সরিষার তেল বা নারিকেল তেল গরম করে মাথায় অথবা কপালে মালিশ করুন কয়েক মিনিট যাবত। *গরম শেক দিতে পারেন। খুব বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
১. আদাঃ মাথার রক্তনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করার মাধ্যমে মাথা ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে আদা। সম পরিমাণ আদার রস এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিনে এক বা দুই বার পান করুন। এছাড়াও ১ চামচ আদার পাউডার এর সাথে ২ টাবিল চামচ পানি মিশিয়ে কপালে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রাখুন। অথবা ১/২ টুকরো আদা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। ২। পুদিনার রসঃ পুদিনার দুটি প্রধান উপাদান মেন্থল ও মেন্থন যা মাথা ব্যথা কমতে সাহায্য করে। একমুঠো পুদিনার রস কপালে লাগিয়ে রাখলে মাথা ব্যথা কমে। ৩। পিপারমেন্ট ওয়েলঃ পিপারমেন্ট ওয়েলে মেন্থল থাকে যা রক্তনালীর বাঁধা দূর করে, যার ফলে মাথা ব্যথা দূর হয়। ফুটন্ত পানিতে কয়েকফোটা পিপারমেন্ট এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটির ভাব প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করুন কয়েক মিনিট যাবৎ। ৪। তুলসীঃ তুলসী পেশীকে শিথিল করতে পারে। মাসেল টেনশন দূর করার মাধ্যমে হালকা মাথা ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে তুলসী। এছাড়াও এর শান্ত ও বেদনানাশক ভূমিকাও আছে। এক কাপ ফুটানো পানির মধ্যে ৩-৪ টি তাজা তুলসী পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এতে সামান্য মধু মিশিয়ে আস্তে আস্তে পান করুন। ৫। কাঠবাদামঃ কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট ইত্যাদি বাদামে স্যালিসিন থাকে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম এর অন্তর্ভুক্ত নয় কারণ এটি লিগিউম জাতীয়। বাদামের স্যালিসিন স্যালিসাইলিক এসিডে পরিণত হয় যা অ্যাস্পিরিনের মতোই কাজ করে। এছাড়াও বাদামে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা পেশীকে শীতল হতে সাহায্য করে। নিয়মিত বাদাম খেলে ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। যদিও এটি অনেকের ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। তাই মাথা ব্যথা শুরু হলেই কয়েকটি বাদাম খেয়ে নিতে পারেন। তবে মাইগ্রেনের ব্যথার ক্ষেত্রে বাদাম অকার্যকর।
পৃথিবীর প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ মাইগ্রেনের ব্যথাতে ভূগে থাকে। মাইগ্রেনের ব্যথা খুবই অসহনীয় এবং এই রোগের সম্পূর্ণ নির্মূল করতে অনেক দিন সময় লাগে। মাইগ্রেনের ব্যথা মুলত মাথার যে কোন এক পাশে হয়ে থাকে এবং ধীরে ধীরে তা পুরো মাথাতে ছড়িয়ে যায়। এই ব্যথার কারনে মাথার ভিতরের ধমনী গুলো শুকিয়ে যেতে থাকে। তাছাড়া মাথার রক্ত নালীতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে দেয় ফলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ একটি পরীক্ষাতে পাওয়া যায় সারা বিশ্বের তুলনায় আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ মানুষ প্রতিনিয়ত মাইগ্রেনে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে দেখা গেছে ১৬ থেকে ৩৬ বছর বয়সের মানুষের মাইগ্রেনের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। মাইগ্রেনে আক্রান্ত হলে সেই রোগী নিস্তেজ হয়ে যাওয়া অধিক পরিলক্ষিত হয়। বিস্তারিত...